<p>ঘরে রাখা বস্তার ভেতর থেকে কিছু একটা বের করতে যাচ্ছিলেন নুরন নাহার (৫২)। বস্তায় হাত দিতেই হাতের আঙুলে ছোবল মারে অজ্ঞাত কোনো বিষধর সাপ। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিন সন্তানের জননী নুরন নাহার। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের কৈয়ারপুল এলাকার তালুকদারবাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তিনি এ বাড়ির মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী। </p> <p>নুরুন নাহারের ভাতিজির স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, ‘এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাচির চিৎকারে আমরা বাড়ির সবাই দৌড়ে ওনার ঘরে যাই। গিয়ে চাচির মুখে শুনে ও কিছুটা ধারণা করে ওনার হাত বেঁধে দিই। এরপর সবাই ধরাধরি করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক ওনার প্রেশার মেপে দেখেন, প্রেশার অনেক বেড়ে গেছে। তারপর আমরা একটি ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু উনি গিলতে পারেননি।’</p> <p>পারভিন আক্তার আরো জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার ওনাকে দেখে বলেছেন, এটা কোনো বিষধর সাপের কামড়। স্ট্রোক করেছেন তিনি। তাই ডাক্তাররা ওনাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই চাচি মারা যান।</p> <p>এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন রাখা হয় না। তাই আমরা রোগীকে চাঁদপুর আড়াই শ শয্যা হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দিই।’ </p> <p>হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি।</p>