<p>জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উজ্জ্বল মিয়া (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল উপজেলার শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।</p> <p>রবিবার (৩১ মার্চ) বিকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহজনকভাবে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।</p> <p>আটকরা হলো- বালিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবু সাঈদ ও প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন। তারা দুজনই নিহত উজ্জ্বল মিয়ার বন্ধু।</p> <p>পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া গ্রামের উসর আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া। গত বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর মোবাইলে ফোন পেয়ে বাহিরে চলে যায়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় খুঁজতে থাকে পরিবারের লোকজন। না পেয়ে পরের দিন থানায় অভিযোগ করেন তার বাবা।</p> <p>রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে বাড়ির পাশে প্রতিবেশী আপেল মিয়ার পরিত্যক্ত টয়লেটের সেফটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। প্রতিবেশীরা টয়লেটের হাউজ খুলে উজ্জ্বলের মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।</p> <p>নিহতের বাবা উসর আলী অভিযোগ করে বলেন, ছেলে উজ্জ্বলকে বাড়ি থেকে ডেকে হত্যা করে টয়লেটের হাউজে রেখে দেয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করেন তিনি।</p> <p>জামালপুর সদর সার্কেল সোহরাব হোসেন বলেন, গত ২৭ মার্চ নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে। পরে আমরা তার অভিযোগ গ্রহণ করি। জানতে পারি রাতে একটি ইমো নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি করা হয়। পরে সেই নম্বরটা আমলে নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বিভিন্নভাবে তদন্তের চেষ্টা চলছিল। রবিবার হঠাৎ তার লাশ একটি টয়লেটের পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। </p>