<p>ভারতের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মারধর করেছেন একই স্কুলের এক শিক্ষিকাকে। প্রতিষ্ঠানে দেরিতে আসার অভিযোগে ওই শিক্ষিকাকে মারধর করেন প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।</p> <p>ভারতের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। স্কুলের অধ্যক্ষাকে শুধু শিক্ষিকা গুঞ্জন চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করতেই দেখা যায়নি, তার জামাকাপড়ও টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তোলা হয় গুঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যক্ষার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন ওই শিক্ষিকা; কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা তার জামা টেনে ধরে রেখেছিলেন। মারধরের সময় প্রধান শিক্ষিকার ড্রাইভারও এগিয়ে আসেন এবং তাদের আলাদা কারার চেষ্টা করেন। কিন্তু ড্রাইভারও ওই শিক্ষিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন।</p> <p>মারামারির সময় পেছন থেকে কেউ বলে ওঠেন, ‘ঘটনা ভিডিও করা হচ্ছে। ম্যাডাম আপনি অভদ্র আচরণ করছেন। এই আচরণ কি আপনার জন্য শোভনীয়?’ মারধরের সময় ওই শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলে ক্যামেরার সামনে দাবি করেন তার অন্য এক সহকর্মী।</p> <p><iframe frameborder="0" height="360" scrolling="no" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/DeepikaBhardwaj/status/1786426789449130200" width="380"></iframe></p> <p>পরে দুই শিক্ষিকাকে বলতে শোনা যায়,  ‘বেশারম আওরাত (লজ্জাহীন নারী)।’ এর পরেই স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলেন প্রধান শিক্ষিকা। অধ্যক্ষ এবং শিক্ষিকা উভয়ই ঘটনার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে স্কুলে আছেন বা যে পেশায় আছেন সেখানে এ ধরনের মন্তব্য শোভনীয় নয়।</p> <p>ঘটনার সময় ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকাকে বলেন, ‘মার কে দিখা আগার দম হ্যায় তো। কেয়া কার লেগা তু অর তেরা ড্রাইভার (আপনার সাহস থাকলে আমাকে মেরে দেখান। তুই আর তোর ড্রাইভার কী করতে পারবি আমার)।’ প্রধান শিক্ষিকা উত্তরে বলেন, ‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইয়াহা (কারো দাদাগিরি এখানে চলবে না)।’ পরে অধ্যক্ষা আহত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।</p> <p>সূত্র : এনডিটিভি</p>