<p style="text-align: justify;">নীলফামারীতে স্বামী লাবু মিয়াকে (২২) হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সাথী আক্তার (২০) ও শাশুড়ি (স্ত্রীর মা) ছাবিনা বেগমকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">নিহত লাবু মিয়া জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে।</p> <p style="text-align: justify;">মামলার বিবরণে বলা হয়, লাবু মিয়ার সঙ্গে সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সদর উপজেলার খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের ঢাকাইয়াপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার মেয়ে সাথী আক্তারের। এরপর দেড় মাস আগে স্ত্রীকে রেখে কাজের জন্য নোয়াখালী এলাকায় যান লাবু মিয়া। সেখান থেকে গত ৮ এপ্রিল ঈদের জন্য বাড়িতে ফেরেন। এরপর বাড়িতে এসে ঈদের কেনাকাটা শুরু করেন। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রী একই ঘরে ঘুমাতে গিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বিছানায় লাবু মিয়ার লাশ পাওয়া যায়।</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে নিহত লাবুর বাবা সহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে আমার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্ত্রী। এতে সহযোগিতা করেছে আমার ছেলের শাশুড়ি ও শ্বশুর। হত্যা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সকালে আমার ছেলে অসুস্থ বলে প্রচার চালায়। আমরা কেউ কিছু না জানলেও সকালে ছেলের শ্বশুর-শাশুড়ি আমাদের বাড়িতে এসে ছেলের পায়ে তেল মালিশ করতে থাকে। আমাদের সন্দেহ হলে গায়ের কম্বল সরিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। দেখি ছেলের গলায় কালো দাগ। এ ঘটনায় বউমা ও তার বাবা-মায়ের নামে মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার ও শাশুড়ি ছাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্বশুর মিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।</p> <p style="text-align: justify;">সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা করেছেন। ওই মামলায় নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।<br />  </p>