<p>বান্দরবানের রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত ও গ্রেপ্তারকৃতদের পরণে ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর পড়া ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। </p> <p>স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলার বাকত্লাই এলাকায় তারা প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এরপর আজ সকালে জুমে কাজ করতে যাওয়ার সময় জঙ্গলের ভেতরে দুটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়ে তা উদ্ধা করা হয়।</p> <p>থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, বাকত্লাই এলাকা রুমা উপজেলাধীন। কিন্তু থানচি থেকে কাছে হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করতে থানচি থানাকে বলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে যাচ্ছি। এখনো বিস্তারিত জানি না। ফিরে এসে এ বিষয়ে জানানো যাবে।</p> <p>এ বিষয়ে যৌথবাহিনী ও কেএনএফ এর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।</p> <p>গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে তিনটি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৩ এপ্রিল থেকে যৌথবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। গত ৮ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী এ অভিযানে যুক্ত হয়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান চলাকালে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাবাহিনীর একজন কর্পোরাল ও ‘কেএনএ’র এক সক্রিয় সদস্য নিহত হয়।<br />  </p>