<p>মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে ফের কালবৈশাখীর তাণ্ডব বয়ে গেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এই ঝড় বয়ে যায়।</p> <p>মাত্র ছয় মিনিটের ঝড়ে আদমপুর, মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে ৫০-৬০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং ২০-৩০টি  আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানাপ্রাচীরসহ শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটির তার ছিঁড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। </p> <p>জানা যায়, ঝড়ে আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও, আদখানি, মধ্যভাগ, কেয়ালিঘাট, তেতইগাঁও, হখতিয়ারখোলা গ্রামের ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আদখানি এলাকার বদরুনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর গাছ পড়ে ধসে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ও বাড়ির গাছপালা উপড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। </p> <p>মধ্যভাগের শাব্বির এলাহী বলেন, বিকেলে হঠাৎ সাত-আট মিনিটের ঝড়ে গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘরবাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। </p> <p>এ সময় মাধবপুর ইউনিয়নেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাত্রখোলা, মাধবপুর,নোয়াগাঁও, ছয়চিড়ি, পারুয়াবিল ও মাধবপুর চা বাগান এলাকায় গাছপালা, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। </p> <p>মাধবপুর গ্রামের শাওন আহমদ জানান, তাদের গ্রামে পাঁচ-ছয়টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।</p> <p>একাধিক গাছ ভেঙে পড়েছেইসলামপুরেও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে গোলেও হাওর, মোকাবিল, কুরমাসহ প্রায় ১০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।</p> <p>মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসিদ আলী বলেন, তার ইউনিয়নে ৪০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিশেষ করে চা বাগান এলাকায় বেশি ঘর ধসে পড়েছে। </p> <p>বিদ্যুতের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর জানান, তিনটি ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।</p> <p>কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, কমলগঞ্জে তিনটি ইউনিয়ন ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।</p> <p>উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কালবৈশাখীর সাথে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার পতনউষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।</p>