<p>ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশে প্রায় এক মাস আগে অপহরণ করা হয়েছিল আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে। ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার চায়না মোড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনায় জড়িত দম্পতি আবু সাইদ ওরফে সুমন (৪০) ও আইরিনকে (৩৪)।</p> <p>সুমন সবগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার লুৎফর রহমানের ছেলে এবং তাঁর স্ত্রী আইরিন কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া শিশু নোমান গাজীপুর মহানগীরর বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিক মোক্তার হোসেনের ছেলে।</p> <p>গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তার দম্পতি এবং শিশুটির মা-বাবা পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত ৩ এপ্রিল সকালে গার্মেন্টস শ্রমিক বাবা কর্মস্থলে চলে যান। দুপুরে শিশুটিকে গোসল করিয়ে খাটে শুইয়ে রেখে মা নিজেও গোসল করতে যান। গোসল শেষে ঘরে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে আশপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন। এ ঘটনার পর থেকে পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া দম্পতিকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁদের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পর দিন ওই দুজনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা করে শিশু নোমানের বাবা।</p> <p>পুলিশের উপকমিশনার আরো জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবু সাইদ ওরফে সুমনকে কুড়িগ্রাম থেকে এবং আইরিনকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার চায়না মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে আইরিনের কাছ থেকে নোমানকেও উদ্ধার করা হয়। </p> <p>গ্রেপ্তারকৃত আইরিন স্বীকার করেছেন, শিশু নোমানকে ময়মনসিংহে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করছিলেন তিনি। </p> <p> </p>