<p>ভোলার সদর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে লঞ্চযাত্রীসহ দুই পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ভোলা, বরিশাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা গেছে,  শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়ার কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে মিছিল বের করে জংশনবাজার হয়ে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে জমায়েত হয়। এ সময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেনের আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে জংশন বাজার থেকে ফেরিঘাটে এলাকায় গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে লঞ্চযাত্রীসহ ৩০-৩৫ জন আহত হয়।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এ খবর জেনে আনারসের সমর্থক স্থানীয় সালাউদ্দিন মেম্বার লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেলের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এভাবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি অ্যাম্বুল্যান্স, একটি অটোরিকশা, আবুল হাজারী নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দোকান, ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটনের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।</p> <p>ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, আনারসের সমর্থক সোহরাওয়ার্দী মাস্টার বলেন, তারা ইলিশা ইউনিয়নের ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন লিপলেটসহ জংশন বাজারে গেছেন গণসংযোগ করতে। এটি তাদের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান ছোটনের নেতৃত্বের মোটরসাইকেলের লোকজন তাদের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় লঞ্চযাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ও তাদের ২৫-৩০ জন কর্মী আহত হয়েছে। পরে সালাউদ্দিন মেম্বার লোকজন নিয়ে এসে তাদেরকে বাঁচিয়েছে।</p> <p>মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া বলেন, ফিল্ড ও ভোটার তার পক্ষে। তার লোকজন কেন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবে। এতে তো তারই ক্ষতি। আনারসের লোকজনই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তার সমর্থকদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে। ২০-২৫ জনকে আহত করেছে। </p> <p>ভোলা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, ইলিশাতে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশ যাওয়ার পর যে যার মতো সরে পড়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে ১০-১২ জনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। </p>