<p>নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়ে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।</p> <p>আজ বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাপ পিরিচ প্রতীকের আনোয়ার হোসেন ও আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের ধাওয়া ও পাল্টাধাওয়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। </p> <p>আহতদের মধ্যে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাঁচদোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন (৪০) ও কাপ পিরিচ প্রতীকের সিদ্দিকের (৩০) পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।</p> <p>পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ‘কাপ পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে টিপু (৩১), দুলাল (২৭) অভিসহ ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভেতরে আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।</p> <p>অভিযুক্ত কাপ পিরিচের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুয়মায়ুন ও তার লোকজন। এতে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। আমাদের ৮-১০ জনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।’</p> <p>নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটগ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পেয়েছি।’</p> <p>এদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রে ৭.৭৮ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়। এই উপজেলায় মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৯টি।<br />  </p>