<p>সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের রাতে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুর রহমান চৌধুরী।</p> <p>অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে শহিদুর রহমান গাড়ি করে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন। ফুলবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন তাঁর গাড়ি গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় চালক তাকে ও তাঁর স্ত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। তারা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।</p> <p>হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করে শহিদুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘কয়েকজনকে চিনতে পেরেছি। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফির সমর্থক।</p> <p>তবে এমন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফি বলেন, ‘এমন অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ফায়দা নিতে এমন অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়া খুবই দুঃখজনক। গোলাপগঞ্জের মানুষ জানেন, আমি কোন ধরনের মানুষ।’</p> <p>সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুর রহমান থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছেন সকালে। আমি সকাল থেকে বাইরে নির্বাচনের ডিউটিতে। তবে যতটুকু জেনেছি উনি অভিযোগে বলেছেন, কেউ ঢিল দিয়েছে। তাতে উনার গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে গেছে।’ </p> <p>কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফির সঙ্গের ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেননি।’</p> <p>উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আজ বুধবার গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির, শহিদুর রহমান চৌধুরী ও যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান।</p> <p>মঞ্জুর কাদির শাফি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার বড়োভাই অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের এই নেতার মৃত্যুর পর তার ছোটভাই মঞ্জুর কাদির উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন।<br />  </p>