<p>হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। </p> <p>নিহতরা হলেন আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০), লিলু মিয়া (৪০), তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার আগোয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি জানান, বানিয়াচং থানা, সুজাতপুর তদন্তকেন্দ্র ও হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনস থেকে পুলিশ সদস্যরা এসে অর্ধশতাধিক রাউন্ড বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাঝে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>পলাশ রঞ্জন দে বলেন, ‘উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই দুজনের সমর্থনকারী অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে বাজারে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। এতে আরো শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক লিলু নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সিলেটে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার মৃত্যু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’</p> <p>মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া জানান, দুই পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছিল। এই বিরোধের কারণেই বৃহস্পতিবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।</p> <p>স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘর ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে পুরুষ সদস্যরা।</p>