দলীয় প্রতীকে আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না : ড. তোফায়েল

সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
দলীয় প্রতীকে আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না : ড. তোফায়েল
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ। ছবি : কালের কণ্ঠ

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর দলীয় প্রতীকে হবে না। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন তিনি।

উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন কেউ চাচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও এ নিয়ে কাজ করছে। গত ১৫ বছরে দেশে যে নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচন হয়নি। আমরা চুন খেয়ে এখন দই দেখে ভয় পাই। একটি ভালো নির্বাচন করতে ভোটারেরও দায়িত্ব আছে।
ভোটারদের দায়িত্ব হলো একজন শিক্ষিত ও ভালো মানুষকে নির্বাচনে দাঁড়াতে সাহায্য করা ও এবং ভোট দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব আমাদের মধ্যে নতুন ধরনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এই আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। আরো কয়েক হাজার মানুষ আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।

এটির ফল যদি আমরা পেতে না পারি, এ সময়টি যদি আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারি; তাহলে আবার এ রকম সুযোগ কোনো দিন আসবে কি-না সেটি সুদূরপরাহত।’ 

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘যে দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররমের খতিব পালিয়ে যান, চেয়ারম্যান-মেম্বার পালিয়ে যান, এটা কোন দেশ! আপনি, আমি সেই দেশের বাসিন্দা। আমরা কোন দেশে দাঁড়িয়ে আছি, তা বুঝতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, কিন্তু এভাবে সব অংশে পালিয়ে যাওয়ার নজির নেই।’

জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে ড. তোফায়েল বলেন, ‘প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া যাবে না।

কারণ আমাদের দেশের সংবিধান তা সমর্থন করে না। তবে শিক্ষিত ও ভালো প্রার্থীকে ভোটাররা ঠিক করবেন। তারা শিক্ষিত প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।’

জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য আবুদর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর রহমান খান রোমান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান মিঠু, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ভুইঁয়া জয় ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আদালত মাঠে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই এই মারামারি হয়। আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রুপ এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। 

এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পাঁচজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন ছাত্রদল নেতা মো. ফিরোজ আলম খান ইউসুফ, যুবদলের রিয়াজ, জহির, রাসেল এবং হানিফ হাওলাদার। 

এ সময় জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

দলীয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য পটুয়াখালী 
সফরে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

এ উপলক্ষে পুরাতন আদালত মাঠে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশ আসতে শুরু করেন।

তারা আরো জানায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা মাকসুদ বায়জিদ পান্না এবং তৌফিক আলী খান কবিরের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়। এ সময় আগে থেকেই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির পক্ষের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেওয়া এবং মঞ্চে ওঠা নিয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম হতে দেখা গেছে।

নেতাকর্মীদের মারামারির সময় মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুস রহমান এবং মাহবুবুল হক নান্নু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বায়জিদ পান্না বলেন, ‘আমি যখন মঞ্চে উঠতে যাই তখন ছাত্রদল সভাপতি এবং যুবদলের কয়েকজন আমাকে বাধা দেয়। এ সময় আমি নেমে এলেও আমার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।

এতে চারজন আহত হয়।’ 

স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

শিয়ালের কামড়ে আহত ২

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
শিয়ালের কামড়ে আহত ২
সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুরের হাকিমপুরে শিয়ালের কামড়ে জহুরুল ইসলাম (৩৬) ও তার ছোট ভাই মাহিদুল ইসলাম (২৬) আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বৈগ্রাম গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জহুরুল ও মাহিদুল বৈগ্রাম গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেয়ালদাড় ইউপি সদস্য বকুল হোসেন।

 

ইউপি সদস্য জানান, জহুরুল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পাশে আলু ও সরিষার জমি দেখার জন্য মাঠে যান। এমন সময় দুটি শিয়াল তার দিকে ছুটে আসে। জহুরুল নিজেকে রক্ষা করতে হাতের কাছে পাওয়া একটি আধলা ইট ছুড়ে মারেন। এতে শিয়ালরা আরো ক্ষিপ্ত হয় এবং তাৎক্ষণিক আরো কিছু শিয়াল তাকে আক্রমণ করে।

তিনি আরো জানান, জহুরুল ও শিয়ালের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় জহুরুলের মুখ ও বুকে আঁচড় লাগে। তার চিৎকার শুনে পাশে থাকা মাহিদুল ছুটে গেলে তাকেও কামড় দেয় শিয়াল।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কামরুন্নাহার আজাদী রিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত দুই ভাই হাসপাতালে এসেছিলেন।

প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব : সালাহউদ্দিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব : সালাহউদ্দিন আহমেদ
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ভোটার তালিকাসহ নির্বাচন সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ চলমান। নির্বাচনী আইন সংস্কার কাগুজে ব্যাপার, তাই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি সময় লাগার কথা নয়। আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব।

কোনো একটি মহলকে রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য, তাদের অবৈধভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কালক্ষেপণ করা অন্তর্বতীকালীন সরকারের উচিত হবে না।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর-উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাকশালের কথা বলে যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় সে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক সংকটে কেবলমাত্র শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূমিকাই এ দেশের মানুষ দেখেছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক-এগারো সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে দেশে একদলীয় শাসনের পথ সুগম হয়। ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কবর রচনা করেছিল। শেখ হাসিনা এ দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ও সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রবর্তন করতে চেয়েছিল এবং প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল। তাই সে রকম একটি একনায়কতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশ হতে চিরতরে উৎখাত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

মন্তব্য

আড়াইহাজারে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
আড়াইহাজারে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মিলন মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রাধানাগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহতের ভাই জহর আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মিলন আড়াইহাজার-সোনারগাঁও এলাকা দিয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মতিন এবং প্রতিপক্ষ জহর আলী গংদের মধ্যে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইসমাইলের নেতৃত্বে মতিন, সুফিয়ান, আরিফ, সাঁজোয়ারসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলনকে পিটিয়ে আহত করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলবে।

নিহতের শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ