পরকীয়া সন্দেহে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ৬ বছর পর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউনিয়নের ঝিকাতলায় নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও নিহতের পরিবার জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের ফখর উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে খোকন মিয়া (৪০) ২০১০ সালে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় তার সহকর্মীকে বিয়ে করেন। পরে সেখানেই তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এক বছর পর তার স্ত্রী ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া করছে এই সন্দেহে বাসাতেই কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলার পর গ্রেপ্তার হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়। এ অবস্থায় আপিল করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন খোকন। এর মধ্যে ফের বিয়ে করেন নিজ গ্রামের পাশে বগাপুতা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাদিরা আক্তারকে।
বিয়ে পর স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কপাটিয়াপাড়া এলাকার কামরুজ্জামানের দোতলা একটি বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া বাসায় ওঠেন। স্ত্রী নাদিরাও একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন।
জানা যায়, নাদিরা ফোনে কথা বললে ব্যাপক সন্দেহ করে খোকন। এতে দুইজনের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে গত বুধবার খোকন স্ত্রী নাদিরাকে মারধর করলে নাদিরা ফোন করে বিষয়টি বাড়িতে জানান। এতে আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন সকালে খোকন মোবাইল ফোনে শ্বশুরকে জানায়— সে নিজে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। দ্রুত লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আরো পড়ুন
২৩৮ কোটি টাকা সরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বিসিবির
নাদিরার বাবা নজরুল ইসলাম জানান, মেয়ের জামাই খোকনের ফোন পেয়ে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। এরপর বারবার তাকে (আমিনুল) কল করলেও ফোনটি বন্ধ পান তিনি।
পরে ঘটনাটি তার ছেলেকে জানান। পরে তিনিও গাজীপুর গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেঝেতে নাদিরার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান। এরপর থেকেই হত্যাকারী খোকন পালিয়ে রয়েছে।