অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় আ. লীগ নেতা মনছুর গ্রেপ্তার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
অপারেশন ডেভিল হান্ট : পটিয়ায় আ. লীগ নেতা মনছুর গ্রেপ্তার
ছবি : কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা মনছুর আলমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

মনছুর কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্দা এলাকার আবুল হাসেম মেম্বারের ছেলে। তিনি মনছুর কোলাগাঁও ইউনিয়ন ১ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা মনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি, দক্ষিণের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও খুলনা অফিস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও খুলনা অফিস
শেয়ার
জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি, দক্ষিণের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল এসব এলাকার মানুষ।

দুই ঘণ্টা পর ধাপে ধাপে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন দেশের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের আমিনবাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় ওই ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয় ও বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হয়।

 

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) গতকাল রাত ৮টার দিকে পাঠানো বিবৃতিতে জানায়, শনিবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটির ফলে পুরো বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের কিছু অংশ গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব এলাকাকে পুনরায় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত জেলাগুলোর মধ্যে ছিল খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা।
 

মন্তব্য

রামগতিতে অবৈধ ৪ ইটভাটা ধ্বংস, সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
রামগতিতে অবৈধ ৪ ইটভাটা ধ্বংস, সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার ৪টিতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৬ এপ্রিল) চালানো অভিযানে এসব ইটভাটার মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এসময় কোনো কাগজপত্র না থাকায় চিমনিসহ ইটভাটাগুলোর ভাটা ও কাঁচা ইট এস্কেলেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকায় ভবিষ্যতেও কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন মর্মে মালিকদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়।

এ উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫০টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে চররমিজ ইউনিয়নের ৪টিতে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ধ্বংস করা ইটভাটাগুলো হচ্ছে- উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের আবু তাহেরের মেসার্স ফোর স্টার ব্রিকস, গিয়াস উদ্দিনের মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস, মো. দিদারের মেসার্স শাহজালাল ব্রিকস ও মো. আকবরের মেসার্স শাহপরান ব্রিকস।

এসময় অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৪ ইটভাটার মালিককে সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় পৃথক পৃথক যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝন্টু বিকাশ চাকমা, অভিযানে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী, রামগতি ফায়ার সার্ভিস ও রামগতি থানা পুলিশের একটি দল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র ও বেআইনিভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ১৫ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ১৫ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রিয়াজ নামে ১৫ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ধর্ষিতা শিশুটির বাবা ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের গোদারাঘাট এলাকায় একটি ঝোপে নিয়ে একই এলাকার জালাল খন্দকারের ছেলে রিয়াজ (১৫) জোরপূর্বক ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় আছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রিয়াজের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার পর ভিকটিমকে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত আসামিকে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আশা করি অল্প দিনের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ভিকটিমকে আমরা কুমিল্লায় ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি এবং জবানবন্দি নিয়েছি এবং আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর কারাদণ্ড, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর কারাদণ্ড, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী

কুড়িগ্রাম জেলা প্রবেশন কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে এক দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একাধিকবার আদালতের আদেশ অমান্য, নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন দাখিল না করা এবং সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ মার্চ কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর আমলি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়া এ আদেশ দেন।

তবে পলাতক থাকায় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাব রব্বানীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন একই আদালত।

একই তারিখে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কুড়িগ্রাম সদর থানায় পাঠানো হয়েছে। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, আদালত প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেননি।

এজন্য কেন তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে না, তা চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি লিখিত ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই তারিখেও লিখিত ব্যাখ্যা কিংবা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এমনকি তিনি সময়ের আবেদনও করেননি।

পরবর্তীতে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না তা সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও গোলাম রব্বানী আদালতে সশরীরে হাজির কিংবা লিখিত ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি।

দণ্ডাদেশে আদালত বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তার এ ধরনের কার্যকলাপ আদালতের বৈধ আদেশের প্রতি অবজ্ঞার সামিল এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ৪৮৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। তদন্তারী কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী, প্রবেশন কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তার কার্যালয়, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রামকে এক দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। গ্রেপ্তার কিংবা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে।

বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী বলেন, ‘আদালত প্রবেশন কর্মকর্তাকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তিনি পলাতক থাকায় সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যথাযথ মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।’

তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ওয়ারেন্টের কপি এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি।’

এ ব্যাপারে জানতে প্রবেশন কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রবেশন কর্মকর্তাকে দেওয়া সাজার বিষয়টি জানা নেই। এর আগে আদালতের আদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। তাকে শোকজও করা হয়েছে। গোলাম রব্বানী নিয়মিত অফিস করেন না। ইচ্ছামতো আসেন-যান। তিনি কারো কাছে জবাবদিহিও করেন না। এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে আদালতের বিচারকাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন আদালত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ