হাজীগঞ্জ

বুয়েটে ও চুয়েটে চান্স পেলেন হাফেজ ২ জমজ ভাই

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বুয়েটে ও চুয়েটে চান্স পেলেন হাফেজ ২ জমজ ভাই
সংগৃহীত ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের হাফেজ বাবার হাফেজ দুই জমজ ছেলে চলিত শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) চান্স পেয়েছেন। তারা হলেন, হাফেজ মো. মুজাহিদুল ইসলাম ও হাফেজ মো. আজহারুল ইসলাম। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে তাদের নাম রয়েছে। 

উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের হাফেজ মো. আবুল কাশেম এর ছেলে এই দুই ভাই।

দুইজনই কোরআনে হাফেজ।

আরো পড়ুন

মাগুরার সেই শিশুর জীবন সংকটাপন্ন, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

মাগুরার সেই শিশুর জীবন সংকটাপন্ন, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

 

তাদের বড় ভাই মোস্তফা আমির ফয়সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তারপরের জন চট্টগ্রামে থেকে এমবিএ করছেন। আর তারা ছোট দুই জমজ ভাই হাফেজ মো. মুজাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ও হাফেজ মো. আজহারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

তাদের বাবা হাফেজ মো. আবুল কাশেম একজন  ব্যবসায়ী। হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং  হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরো পড়ুন

মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা

মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা

 

এ প্রতিক্রিয়ায় হাফেজ আবুল কাশেম  জানান, তার যমজ সন্তান ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসা থেকে পবিত্র কোরআন মুখস্থ শেষে হাজীগঞ্জ আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। পরে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়।

সেখান থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাশ করে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুর্গাপুরে পানবরজ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুর্গাপুরে পানবরজ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় একটি পানবরজ থেকে রাসেল মোল্লা (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় তার চাচা আব্বাস মোল্লার পানবরজে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল ওই গ্রামের নাছের মোল্লার ছেলে এবং পেশায় একজন পানচাষি ছিলেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এটি আত্মহত্যা না কি হত্যাকাণ্ড—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাসেল একজন সহজ-সরল এবং পরিশ্রমী যুবক ছিলেন। তার নিজস্ব জমিতে পানবরজ ছিল। শুক্রবার বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর রাতে তার চাচার পানবরজে বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তারা থানায় খবর দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাসেল ছিল শান্ত স্বভাবের ছেলে। এলাকায় কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না।

হঠাৎ এমন মৃত্যুতে আমরা হতবাক।’ এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে সংগ্রামের জীবন বেঁছে নিয়েছেন রেণু মিয়া (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে সংগ্রামের জীবন বেঁছে নিয়েছেন রেণু মিয়া (ভিডিওসহ)
ছবি: কালের কণ্ঠ

সমাজে অসহায় পরিস্থিতির সঙ্গে মেকাবিলা করে বাঁচতে হয় অনেককেই। অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। হতে হয় নির্ভরশীল। জীবনের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলে সহযোগীতা পাওয়ার নিশ্চয়তা তৈরি করতে হয়।

এমন করুণ পরিণতি কখনোই কারো কাম্য নয়। রেণু মিয়ার জীবনও তেমনই।

বিস্তরিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

নোয়াখালীতে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নোয়াখালীতে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মীর হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩১) নামের এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাদ্দাম রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মমিনুল হকের ছেলে।

তিনি ছাত্রদলের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় রাজগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিসানের মালিকানাধীন সোলেমান ট্রেডার্সে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নিজ গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন সাদ্দাম। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মৌখিকভাবে বেগমগঞ্জ থানায় অবহিত করেন।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের একটি নতুন নির্মাণাধীন বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গেলে কয়েকজন শিশু সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পলিথিন মোড়ানো মরদেহ দেখতে পায়। তারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন। নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাদ্দামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

পরকীয়া সন্দেহে প্রথম স্ত্রীর পর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হত্যা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
পরকীয়া সন্দেহে প্রথম স্ত্রীর পর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হত্যা
নিহত নাদিরা ও তার স্বামী খোকন

পরকীয়া সন্দেহে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ৬ বছর পর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউনিয়নের ঝিকাতলায় নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্র ও নিহতের পরিবার জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের ফখর উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে খোকন মিয়া (৪০) ২০১০ সালে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় তার সহকর্মীকে বিয়ে করেন। পরে সেখানেই তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

এক বছর পর তার স্ত্রী ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া করছে এই সন্দেহে বাসাতেই কুপিয়ে হত্যা করে। 

মামলার পর গ্রেপ্তার হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়। এ অবস্থায় আপিল করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন খোকন। এর মধ্যে ফের বিয়ে করেন নিজ গ্রামের পাশে বগাপুতা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাদিরা আক্তারকে।

বিয়ে পর স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কপাটিয়াপাড়া এলাকার কামরুজ্জামানের দোতলা একটি বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া বাসায় ওঠেন। স্ত্রী নাদিরাও একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। 

জানা যায়, নাদিরা ফোনে কথা বললে ব্যাপক সন্দেহ করে খোকন। এতে দুইজনের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়।

এ নিয়ে গত বুধবার খোকন স্ত্রী নাদিরাকে মারধর করলে নাদিরা ফোন করে বিষয়টি বাড়িতে জানান। এতে আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন সকালে খোকন মোবাইল ফোনে শ্বশুরকে জানায়— সে নিজে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। দ্রুত লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আরো পড়ুন
২৩৮ কোটি টাকা সরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বিসিবির

২৩৮ কোটি টাকা সরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বিসিবির

 

নাদিরার বাবা নজরুল ইসলাম জানান, মেয়ের জামাই খোকনের ফোন পেয়ে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। এরপর বারবার তাকে (আমিনুল) কল করলেও ফোনটি বন্ধ পান তিনি।

পরে ঘটনাটি তার ছেলেকে জানান। পরে তিনিও গাজীপুর গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেঝেতে নাদিরার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান। এরপর থেকেই হত্যাকারী খোকন পালিয়ে রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ