প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ, মামলা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
শেয়ার
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ, মামলা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফেসবুকে প্রেমের সূত্র ধরে কুমিল্লা থেকে ডেকে এনে এক তরুণীকে গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে প্রেমিক। ধর্ষণের পর প্রেমিক পালিয়ে যায়। পরে বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রেমিককে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কালিগঞ্জ থানা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী (২৪) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক বছর ধরে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের ফরিদ পালোয়ানের (২৫) সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। প্রেমের সূত্র ধরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদ ভুক্তভোগীকে কুমিল্লা থেকে ডেকে গাজীপুরের কালিগঞ্জে এনে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে।

পরদিন ভুক্তভোগী কুমিল্লা চলে যায়। পরে গত ৯ মার্চ ফরিদ ফের ভুক্তভোগীকে ঢাকার মালিবাগে ডেকে এনে পুনরায় ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী অসুস্থ  হয়ে পড়লে প্রেমিক ওষুধ আনতে গিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগী প্রেমিকের খোঁজে গাজীপুরের কালিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যায়।
সেখানে প্রেমিক ফরিদের বাড়ির লোকজন ভুক্তভোগীকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে থানায় ডাকেন ভুক্তভোগীদের।

আরো পড়ুন
হিজাব ছাড়া প্রতিযোগিতা করা ইরানি ক্রীড়াবিদ দেশ ছাড়লেন

হিজাব ছাড়া প্রতিযোগিতা করা ইরানি ক্রীড়াবিদ দেশ ছাড়লেন

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছরের ১ অক্টোবর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আরমান হোসেনের (২৪) লাশ পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের কমনরুমে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমানের নির্দেশনায় এসআই নজরুল ইসলাম আরিফ ভুক্তভোগী বিল্লাহ বাচ্চু (৪৬), রিফাতুল ইসলাম শাহীন (২২), বাবুল মিয়া  (১৮) ও রোমান মিয়া (১৭) নামের চারজনকে থানায় নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় আরমান হত্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পরে আটক বাবুলের বাবা মোনায়েম হোসেন এসআই নজরুলের কাছে ৫৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
এক দিন পর আটক কিশোরদের মুক্তি দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

  

জানতে চাইলে এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, আটকৃতদের কোনো নির্যাতন করা হয়নি এবং তাদের কাছ থেকে কোনো টাকাও নেওয়া হয়নি। 

তবে এখন টাকা ফেরত দিলেন কেন—এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কী করব দিতে হয়েছে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘কোনো প্রকার টাকার লেনদেন হয়েছে কি না আমার জানা নেই।

মন্তব্য

চট্টগ্রামে হিযবুত তাহরীর ২ সদস্য রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে হিযবুত তাহরীর ২ সদস্য রিমান্ডে
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে সাব্বিরুল হাসান নামে একজনের দুই দিনের এবং মারুফ হাসান নামের অপরজনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৮ ও ১০ মার্চ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হিযবুত তাহরীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করেন।

তারা হিযবুতের পোস্টার লাগানো ও মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছেন। গ্রেপ্তারের পর থেকে তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
 

চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় হিযবুত তাহরীর দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাব্বিরুলের দুই দিন এবং মারুফের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য

থানায় নিয়ে ছাত্রদলের সেই বহিষ্কৃত নেতা শাওনকে নির্যাতনের অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
থানায় নিয়ে ছাত্রদলের সেই বহিষ্কৃত নেতা শাওনকে নির্যাতনের অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

‘বল পুলিশ আমার বাপ। এই বলে মুখের ভেতর গোল আলু ঢুকিয়ে কয়েকজন মিলে বেদম মারধর। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে আবারও।

’ মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত থানার একটি কক্ষে আটক রেখে এমন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী।

এর আগে ওই রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করেন উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশ। অভিযোগ ছিল, সড়কে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও তার গাড়ির চালককে মারধর। তবে ওই সময় পুলিশ কাবী আটক করতে গেলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়।

শাওন কাবীরের অভিযোগ, উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার ওপর এমন নির্যাতন চালায়। এ সময় পা, ঊরু, হাতের আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদম মারধর করা হয়।

আরো পড়ুন
দুই মামলায় জামিন পেলেন বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা শাওন

দুই মামলায় জামিন পেলেন বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা শাওন

 

বর্তমানে শাওন কাবী চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে আজ দুপুরে দুটি মামলায় তার জামিন হয়।

শাওন কাবীর বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম তাকে নির্যাতন না করতে ওই উপপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরও করে গালাগাল এবং শারীরিক নির্যাতন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্যাতনের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কোনো অবস্থায় যেন আটক ব্যক্তিকে মারধর করা না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার পরও কেন মারধর করা হলো, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

 

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, সত্যি যদি নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
হাফিজুর রহমান মনি

নিজ ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনাটি এক মাস আগের হলেও গতকাল বুধবার (১২ মার্চ) রাতে প্রকাশ্যে আসে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ আদালতে মামলা করা হয়।

বিএনপি নেতা মনি দাবি করেছেন, পারিবারিক বিষয়ে মতবিরোধ ও বাদীর উশৃঙ্খল আচরণের কারণে শাসন করায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা থেকে দেড়টার সময় তিনি গোসল করার প্রস্তুতি নিলে বাড়িতে একা পেয়ে শয়নকক্ষে ঢুকে হাফিজুর রহমান মনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় সাক্ষীরা চলে এলে মনি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী ও দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আরো পড়ুন
আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

 

কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ভদ্র মহিলা থানায় এসেছিলেন।

জানতে পেরে আত্মীয় স্বজনরা এসে তাকে থানা থেকে নিয়ে যান। এরপর কী হয়েছে জানি না।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ