ঢাকা, শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
১ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

‘ঘর পাইতেছি, কিন্তু ছেলে তো নাই’

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘ঘর পাইতেছি, কিন্তু ছেলে তো নাই’
ছবি: কালের কণ্ঠ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত জাকির হোসেনের কেনা জমি ও তার কবরের পাশে একটি ঘর নির্মাণ করছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এই ঘরে থাকবেন তার গৃহহীন মা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বাকলজোড়া ইউনিয়নের পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামে জাকিরের মায়ের কাছে ঘর নির্মাণসামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। এ সময় উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মাশুল তালুকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল খান রুদ্র, হীরা আব্বাসীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

 

জাকির মৃত ফজলু মিয়া ও মিছিলি বেগমের একমাত্র ছেলে। স্বামী মারা যাওয়ার পর জীবন জীবিকার তাগিদে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় কাজ করতে চলে যান মিছিলি। মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন তিনি। জাকির ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের কাঁচপুর সেতুর কাছে ঠিকাদারের অধীনে ওয়াসার পানির লাইন মেরামতের কাজ করতেন।

 

ছেলের উপার্জনের টাকা একটু একটু করে জমিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে কিনেছিলেন জমি কিন্তু সেখানে করা হয়নি কোনো ঘর নির্মাণ। কোটা আন্দোলনে ২১ জুলাই বিকেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জাকির।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে না থাকায় কষ্টে দিন কাটছে মিছিলির। নিজের ঘর নেই, রাতে থাকতে হয় স্বজনদের বাড়িতে।

ছেলের উপার্জনে কেনা জমিতেই দাফন করা হয়েছে জাকিরকে। সেই কবরের পাশেই একটি ঘরে করে থাকার ইচ্ছে মায়ের। অবশেষে পূর্ণ হচ্ছে সেই ইচ্ছে।

মিছিলি বেগম বলেন, 'আমি এখন ঘর পাইতেছি, কিন্তু ছেলে তো নাই আমার। ভিটেমাটি না থাকায় ছোট জাকিরকে নিয়ে ঢাকায় চলে গিয়েছিলাম।

মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে বড় করেছি, কাজ শিখিয়েছি। ছেলের কাজের টাকা দিয়ে গ্রামে ঘর তৈরির জন্য জমি কিনেছি। কিন্তু ঘর নির্মাণের আগেই আমার ছেলে দুনিয়া থেকে চলে গেল।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, 'জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত জাকিরের মায়ের বসবাসের জন্য ঘর নেই, এমন খবর পাই। পরে ঘরের জন্য আর্থিক বরাদ্দের চাহিদা দিলে জেলা প্রশাসক স্যার বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজকে ঘর নির্মাণসামগ্রী হস্তান্তর করেছি। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের কাজ সম্পূর্ণ হবে।' 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মায়ের সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ, থানায় বাবার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
মায়ের সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ, থানায় বাবার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মায়ের সহায়তায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগীর পিতা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই কিশোরীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার কারণে বাড়িতে থাকতে পারেন না।

এই সুযোগে স্ত্রী ফরিদা পারভিন তার ১২ বছর বয়সী কন্যাকে ভগবাননগর গ্রামের রবির ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ ও কৃষ্ণ কুমার মণ্ডলের ছেলে সন্ন্যাসী মণ্ডলের কাছে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিতেন। 

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গত ৭ মার্চ ভগবাননগর গ্রামের জোছনার মালিকানাধীন ভাড়া বাড়ীতে শরীফ এসে তার স্ত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া একইভাবে গত ৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে সন্ন্যাসী কুমার পাশ্ববর্তী কুলচারা গ্রামের তোজামের বাড়ীতে নিয়ে তার কন্যাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে। 

আরো পড়ুন
বিশেষ অভিযানে আ. লীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩০

বিশেষ অভিযানে আ. লীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩০

 

বাদী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা কেউ যাতে দেখতে না পায় সে জন্য তার স্ত্রী ফরিদা পারভীন ঘরের বাইরে থেকে পাহারা দিতেন।

গত ১২ মার্চ তার মেয়ে ধর্ষণের এসব ঘটনা তাকে জানালে স্ত্রীর সঙ্গে বাদীর ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়।

এ বিষয়ে ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শরীফ ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল পূলহরি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে থানার ওসি মাসুম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তারপরও আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে বিতর্ক, বিএনপিকর্মীকে গুলি করলেন আ. লীগ কর্মী!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে বিতর্ক, বিএনপিকর্মীকে গুলি করলেন আ. লীগ কর্মী!
ছবি : কালের কণ্ঠ

এবার যশোরের চৌগাছায় চায়ের দোকানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্কে আওয়ামী লীগ কর্মী ইমরানের গুলিতে আহত হয়েছেন বিএনপিকর্মী আজগর হোসেন (২৫)। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বই প্রকাশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বই প্রকাশ

 

আহত আজগর ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে।

এ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন
কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে প্রায় ৩১ লাখ টাকার ভারতীয় চাল জব্দ

কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে প্রায় ৩১ লাখ টাকার ভারতীয় চাল জব্দ

 

আহতের ফুফাতো ভাই বিপুল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে বিএনপিকর্মী ওলিয়ার রহমান এবং গুলিবিদ্ধ আজগরের বাবা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর বিতর্ক হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের পণ্ডিত মোড়ে ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের চাচাতো ভাই (আলতাফের ভাতিজা) শিপন আমাকে হুমকি দেয় ও আব্বাস-ওলিয়ারদের খুঁজতে থাকে।

তখন আমি পণ্ডিত মোড় থেকে চলে যাই। পরে তারাবির নামাজের আগ দিয়ে গ্রামের মুদি দোকানের সামনে মামাতো ভাই আজগরসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম।’

আরো পড়ুন
ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

 

তিনি বলেন, ‘এ সময় আলতাফ হোসেনের আরেক ভাতিজা ইমরান পিস্তল উঁচিয়ে আমার (বিপুল) দিকে গুলি ছোড়ে। আমি সরে গেলে গুলি পাশে থাকা আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়।

পরে স্থানীয়রা ইমরানকে আটক করে মারপিট করে এবং পুলিশে খবর দেয়। তবে এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে ইমরানকে নিয়ে সরে পড়ে। পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসাসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।’

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে তার বাবা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তিনি ফিরে এজাহার দায়ের করবেন। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

মন্তব্য

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানো সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানো সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্যসচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

আজ শনিবার কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্তে ফয়সাল আহমেদ খোকনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি আরও জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না।

যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে জসীম উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল আহমেদ খোকন ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।

অবস্থার অবনতি হলে পরে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

গুরুতর আহত জসীম উদ্দীন মোহনগঞ্জের পানুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ভুক্তভোগী পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন।

আহত ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীনের স্ত্রী নিশা আক্তার বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা খোকন ও তার সহযোগীরা জসীম উদ্দীনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

চাঁদা না দেওয়ার তারা ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার বিকালে মোহনগঞ্জ শহরের পাথরঘাটা এলাকায় জসীমের ওপর হামলা হয়। হামলায় রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোকনসহ ১০-১২ জন অংশ নেয়। 

মন্তব্য

ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ার শেরপুরে ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের ডিজে হাইস্কুল খেলার মাঠ থেকে তাকে আটক করা হয়। 

আটক ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নাম হাফিজুল আসিফ শাওন (৩৪)। তিনি শেরপুর শহরের জগন্নাথপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

শাওন শেরপুর পৌর শাখা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এ ঘটনায় আজ শনিবার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ময়নুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন।

আরো পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে শহীদ সায়েমের কবরস্থান ভাঙচুরের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

জুলাই বিপ্লবে শহীদ সায়েমের কবরস্থান ভাঙচুরের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে শহরের ডিজে হাই স্কুল খেলার মাঠে আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল বিক্রি করছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাফিজুল আসিফ শাওন। বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পেরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

মাদক বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যৌথ বাহিনী। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জগন্নাথ পাড়াস্থ নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে রক্ষিত আলমারির পাশ থেকে এক বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, ফেনসিডিলসহ আটক হওয়া হাফিজুল ইসলাম শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাকে শনিবার দুপুরে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ