ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর
নিহত ইমরান হোসেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের  স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়।

এদিকে হাসপাতাল ভাঙচুর চলাকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন।

পরে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিল। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটিতে রেখেছিল। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে।

আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয়নি। পরে নানা অজুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরও তারা মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ওষুধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ওষুধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর চালায়।

রোগীর মা নাজমা বেগম বলেন, ট্রমা হাসপাতালের ডা. আতাউর রহমান শুক্রবার সকাল ৮টায় আমার ছেলের অপারেশন করায়। মারা গেছে রবিবার বিকাল ৫টা বাজে, কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও তারা জানায়নি। রাতে আমরা মারা যাওয়ার খবর পাই। তারা মারা যাওয়ার পরেও ওষুধ আনতে বলেছিল আমাদের। আমরা রোগী মারা গেছে দাবি করার পর তারা ওষুধ ফেরত পাঠায়। এটা রাত ৯টার ঘটনা। ডাক্তারের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজী হয়নি। তারা আমার ছেলেকে অবহেলায় মেরে ফেলেছে। তারা কয়েক দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা নিয়েছে। কিন্তু একবারও বলেনি আমার ছেলে মারা গেছে।

রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে মো. রাজ রকি (৩২) নামে এক চোরাকারবারির পায়ুপথ থেকে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি। সোমবার সন্ধ্যায় জীবননগর থানা মোড় থেকে তাকে আটক করার পর এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৭২৮.৯৬ গ্রাম। এর মূল্য ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ টাকা।

আটক রাজ রকি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজ রকিকে আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে মলদ্বার থেকে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং উদ্ধার করা স্বর্ণের বার ট্রেজারিতে জমা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

মন্তব্য

১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১৫ মাসের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত বৃদ্ধের নাম আব্দুর রশিদ (৬০)। সে উপজেলার মধুখালি গ্রামের মৃত সইমুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ তার মেয়েকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আদর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে রশিদকে পাশের বাড়ির একটি ঘরে আটক রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রশিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

রাতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগে মামলার দায়ের করে শিশুটির বাবা।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণচেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা আসামি রশিদকে গ্রেপ্তার করেছি।

মন্তব্য

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা দু'য়েকের ব্যবধানে শিশু, বৃদ্ধসহ ছয়জনকে কামড়েছে একটি পাগলা কুকুর। এর আগে এটি সঙ্গে থাকা একটি বাচ্চা কুকুরকে কামড়ে মেরে ফেলে।

আহতরা হলো, প্রহলাদ ঘোষ (১২), রবিউল ইসলাম (১৩), আবুল হোসেন (৭৮) সুকুমার দাস (৬২), মো. মোজাহিদ (১২) ও শিউলী বেগম (২০)। পৌর এলাকার রাধানগর চৌরাস্তা ও ঘোষ পাড়া মোড় এলাকায় তারা কুকুরের কামড়ের শিকার হন।

এর মধ্যে শিউলী বেগম ঢাকা থেকে আখাউড়ায় বেড়াতে আসেন। আহত সুকুমার দাস ও প্রহলাদ ঘোষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুকুরটিকে মারতে এলাকার লোকজন মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও লুৎফর রহমান জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ছয়জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর প্রহলাদ ঘোষ ও সুকুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাড়ির ছাদ থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  উপজেলার পূর্ব চিতোষী ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেনের বাড়ির ছাদে কে বা কারা নির্মমভাবে হত্যা করে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে ওই যুবককে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। 

প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, তার দেবর নজরুল ইসলাম হঠাৎ চিৎকার শুরু করে বাড়িতে চোর ঢুকেছে এবং চোরের দল ছাদ থেকে পাশের গাছ দিয়ে বেয়ে নেমে গেছে।

এসময় বাড়ির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে দেখেন, এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। ওই নারী দাবি করেন, সন্ধ্যার আগেই বাড়ির ছাদে উঠার সিড়ির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ছাদের আশপাশে কিছু গাছ আছে। যা দিয়ে ছাদে উঠানামা করা যায়।

এমন দৃশ্য দেখার পর থানা পুলিশকে জানানো হয়। রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। 

থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, ঘটনার শিকার ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আলমগীর হোসেন।

একই গ্রামের মৃত শহীদ উল্লাহ ছেলে। ওসি আরো জানান, গরু জবাইয়ে ছোরা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করে জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহতদের স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, তার স্বামী এলাকায় বিভিন্ন আয়োজনের মাইকিং করে সংসার চালাতেন। কারো সঙ্গে স্বামীর বিরোধ ছিল কি না, এমন তথ্যও তার কাছে নেই। কান্না জড়িত কণ্ঠে তাসলিমা বেগম জানান, স্বামী হত্যার বিচার পাব কি না জানি। তবে এখন নাবালক দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব, তাদের নিয়ে কি খাব।

এদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কথা রয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ