শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন সামন্তসার ইউনিয়নের চর সামন্তসার এলাকার ফিরোজ মোল্লার ছেলে কবির হোসেন মাওলানা (৪৮), আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪২), সুরজাত আলী মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা (৫০) ও স্থানীয় ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহানা বেগম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদে ৬০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালীর সমর্থক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কবির মাওলানা, সামন্তসার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল মাস্টার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মাদবর দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য ২০০ ভিজিএফ স্লিপ নেন। সেই স্লিপের চাল নিতে বাধা দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে নান্টু খানের সমর্থক ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালায়। ককটেল বিস্ফোরণে চারজন আহত হন।
কথা হলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালী অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের পর থেকে নান্টু খানের সঙ্গে আমার লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। আজ আবার নান্টু খান আমার লোকজনকে চাল দিতে বাধা দেয়।
আবার আমার লোকজনের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খান বলেন, ‘মোবারক ঢালী গোসাইরহাট উপজেলার। তিনি ও তাঁর লোকজন সামন্তসার ইউনিয়নে এসে কর্তাগিরি করতে চান। আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে নান্টু খানের লোকজনকে ২০০ স্লিপ দেওয়া হয়।
এ বিষয় নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, ‘ভিজিএফ চাল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’