মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়ায় নাবালক ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা কে এম রিন্টু (৫২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। নিহত রিন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, মোবাইল আসক্ত ছেলে কে এম রিফাতকে (১৭) মোবাইল ফোনে গেমস খেলতে বাধা দেওয়ায় রিফাত ক্ষুব্ধ হয় এবং শনিবার রাতে এশার নামাজরত অবস্থায় রিফাত তার বাবাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত রিন্টুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পলাশ পাড়ায় রিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ বিএনপিতে নাই : শামা ওবায়েদ

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ বিএনপিতে নাই : শামা ওবায়েদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, যে যেই ধর্ম-বর্ণের মানুষ হই না কেন, আমরা সকলেই সমান। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, আমরা মানুষ। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ আমাদের বিএনপিতে নেই।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নিজ নির্বাচনী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাজরাতলা সার্বজনীন মহাশ্মশানের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে। যে দফার আদলে আগামী দিনের বাংলাদেশ উন্নয়ন উন্নয়নের উন্নতি হবে পরিচালিত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদয়ের উদ্দেশ্য শামা ওবায়েদ বলেন, আপনাদের আত্মার আমার সম্পর্ক। এটা মাটির সম্পর্ক।

আপনারা মা-বোনেরা যারা এসেছেন সকলের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক আল্লাহ প্রদত্ত। সেই সম্পর্ক কেউ মুছে ফেলতে কেউ পারবে না। সুতরাং আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।

হাজরাতলা সার্বজনীন মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক শ্রী অরুণ মন্ডলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক নেতা জাহিদ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর প্রমুখ।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জের হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেরানীগঞ্জের হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভাড়ালিয়া এলাকায় হাসান হত্যা মামলার ৩ আসামিকে বরিশাল জরলার ভোলা ও ঝালকাঠি হতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আসামি মো. আজাদ হোসেন (২৬), মো. সাঈদ হোসেন সানজিন (২৩) এবং মো. আপন (২৫)। গ্রেপ্তার আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১০ এর মিডিয়া সেলের মাধ্যমে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া-র‌্যাব-১০) অধিনায়কের পক্ষে শামীম হাসান সরদার (সহকারী পুলিশ সুপার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভাড়ালিয়া এলাকায় নিহত মো. হাসানের (২৬) সঙ্গে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি মো. আজাদ হোসেন, মো. সাঈদ হোসেন সানজিন ও মো. আপন ভিকটিমকে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

এতে হাসান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে হাসান চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।

উক্ত ঘটনায় নিহত হাসানের বাবা মো. হালিম (৫৩) বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র‌্যাব-৮ এর সহযোগীতায় ভোলা সদর পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাসান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. আজাদ হোসেন, মো. সাঈদ হোসেন সানজিন এবং দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি সদর থানার উত্তর মানপাশা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় অপর আসামি মো. আপনকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে র‌্যাব-১০ জানায়।

 

মন্তব্য

পুলিশের বিরুদ্ধে আসামি গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
পুলিশের বিরুদ্ধে আসামি গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় চেক ডিস-অনার মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমানের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে ও স্থানীয় মনি স্টোরের মালিক মো. জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিস-অনারের একটি সিআর মামলা (নম্বর ৭৭/২৫) করা হয়। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমান প্রাইভেট কারের চালক মনির ও একজন সোর্স নিয়ে আসামি জুয়েলকে তাঁর গোডাউন থেকে গ্রেপ্তার করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে তাঁকে প্রাইভেট কারে করে আশুলিয়ার পবনারটেক এলাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন।

আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মীর সুলাইমান বলেন, ‘আমি একটু দরকারি কাজে বাড়িতে এসেছি, আগামীকাল এসে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলব।’ 

আশুলিয়া থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।

ঘটনা সত্য হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদকন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদকন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা
প্রতীকী ছবি

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. কালাম হাওলাদার।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সামাজিক লজ্জা, চাপ এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় চরম হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারের ধারণা, এসব কারণে লামিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

শোকাহত পরিবার জানায়, লামিয়া ঢাকায় পড়াশোনা করছিলেন। তবে, মাত্র এক মাস আগে ১৮ মার্চ পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

ঘটনার পর সাহসিকতার সঙ্গে তিনি থানায় গিয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং দুমকি থানা পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

 

পটুয়াখালী দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ