আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ :
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ :
শেয়ার
আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু

মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে স্পিডবোট চালকদের মারধরের ঘটনায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকালের দিকে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সমঝোতার পুনরায় স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়।

এর আগে স্পিডবোট চালকদের মারধরের প্রতিবাদে মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে চালকরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত ওই নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকে।

এতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ফেরি ও লঞ্চ দিয়ে নদী পারাপার হয়। পরে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য়লয়ে বোড মালিক, চালক ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করেন ইউএনও জাকির হোসেন। 

মো. জাকির হোসেনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্পিডবোট চালকদের মারধরের ঘটনায় সকাল ১১টা থেকে আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে বোড চলাচল বন্ধ থাকে।

পরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অফিসে ডাকা হয়। উভয় পক্ষের কথা শুনে কোস্ট র্গাড দুঃখ প্রকাশ করে। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সবাই একমত প্রকাশ করেন।’

উল্লেখ্য, আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে কোস্ট গার্ডের হাতে মারধরে আহত হন ফয়সাল ও রাসেল শেখ নামের দুজন চালক।

 নদীর মাঝখানে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যাত্রী বেশি নেওয়ায় নির্মমভাবে মারধর করেন বলে জানান তারা। এ ঘটনায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখেন স্পিডবোট চালকরা। 

দ্রুত সময়ে নদী পার হওয়ার জন্য পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীরা অন্য নৌযানের পরিবর্তে  স্পিডবোটে যাতায়াত করতে বেশি পছন্দ করে। দীর্ঘদিন এ নৌ রুটে স্পিডবোট বন্ধ থাকার পর গত কয়ে মাস যাবৎ পুনরায় শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিশ্বম্ভরপুর

ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ২৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বাহিনী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাইয়ের বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রনেল মিয়া বাদী হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাঘবেড় বাজার নিলামে অংশগ্রহণ করেন উপজেলার অনেকেই।

এই নিলামে ব্যবসায়ী রনেল মিয়াও অংশগ্রহণ করেন। নিলাম শেষে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে রনেল মিয়া গোল চত্বর এলাকায় গেলে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই ও তার ছেলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র হামলা চালিয়ে মারধর করে তার ২৪ লাখ টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রনেল মিয়া জানান, 'আমি ন্যায়বিচার চাই, তাই লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে তারা।'

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান জানান, 'এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' 

মন্তব্য

রূপগঞ্জে নকশা ছাড়াই হয়েছে হাজারো ভবন, ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ
রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ
শেয়ার
রূপগঞ্জে নকশা ছাড়াই হয়েছে হাজারো ভবন, ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
ছবি: কালের কণ্ঠ

বড় ধরণের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জ উপজেলা। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও।

সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা। উপজেলাটি পরপর দুইটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রূপগঞ্জের দশ লাখ বাসিন্দা। রাজধানী ঢাকার পাশে রূপগঞ্জে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে আশঙ্কা বিভিন্ন দপ্তরের। বিশ্লেষকরা বলছেন, আর বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে সেই ধাক্কা সামলাতে পারবে না রূপগঞ্জ।
এতে ধসে পড়বে কয়েক হাজার ভবন শিল্পকারখানা; প্রাণহানি হতে পারে অন্তত ২০ হাজার মানুষের। এমন বাস্তবতায় এরইমধ্যে রূপগঞ্জে নকশা বহির্ভূত ভবনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে রাজউক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়।

বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ৭৫ শতাংশ ছয়তলা বা তার চেয়েও উঁচু। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সরেজমিনে পূর্বাচল উপশহর, তারাব, গোলাকান্দাইল, ভুলতা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শত শত ভবন। এর মধ্যে ডুপ্লেক্স, দোতলা, তিনতলা ভবন রয়েছে।

রয়েছে সাত-আটতলা ভবনও। আরো উঁচু ভবনও চোখে পড়ে। খোঁজ  নিয়ে জানা গেছে, এসব অধিকাংশ ভবন অনুমোদনহীন। নকশা অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে এগুলো। যেমন খুশি তেমন করে ভবন বানানোর ধুম পড়েছে রূপগঞ্জের পূর্বাচলেও। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেইরি ফার্ম, গোডাউন, আবাসন, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে অনুমোদনহীন ভবনগুলো। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা ও আবাসিক অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহার। এরমধ্যে জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা রয়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ ভবনে। অনেক ভবন মালিক পৌরসভা ও ইউনিয়ন অফিসসহ অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করেছে। এসব ভবনেরও নকশা ব্যত্যয়ের অভিযোগ পেয়েছে রাজউক।

রাজউক আওতাধীন বহুতল ভবনগুলোর মধ্যে নকশায় কম তলার অনুমোদন নিয়ে বেশি তলা করেছে ২৭৭টি ভবন। একই সঙ্গে ইমারত নির্মাণ বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাস্তা ও পার্শ্ববর্তী ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা দখল করে বানানো হয়েছে ৭৪টি ভবন। একই সঙ্গে রাজউক ব্যতীত বিভিন্ন সংস্থা থেকে নকশার অনুমোদন নিয়ে নির্মিত ভবনের মধ্যে ২১টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে অবৈধভাবে। ৩৪টি ভবন মালিক রাস্তা ও পার্শ্ববর্তী ভবনের মধ্যে সর্বনিম্ন ফাঁকা জায়গা রাখেননি।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রসারিত বা নতুন নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানাসহ কয়েকজন বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও একটু বেশি সময় স্থায়ী হলে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা। কাজেই এ ব্যাপারে অবহেলা করার সুযোগ নেই। এই বিপর্যয় থেকে বাঁচতে সবার আগে ভেঙে ফেলতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো। দ্বিতীয়ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। ভূমিকম্পসংক্রান্ত  প্রশিক্ষণের বিষয়টি এখন থেমে আছে। এটি চলমান রাখতে হবে। মোট কথা, প্রশিক্ষণ, মহড়া, ভূমিকম্পসহনীয় স্থাপনা-এসবই হচ্ছে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির রক্ষাকবচ।

 জাকিয়া সুলতানা বলেন, যতটুকু জেনেছি দুটি ভূমিকম্পের ধরনের সঙ্গে প্রায় ১১১ বছর আগে হওয়া ভূমিকম্পের একটি মিল আছে। ১৯১৪ সালের ঢাকার পাশে রূপগঞ্জে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্প ঠিক কত মাত্রার ছিল, তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়। সেই হিসাবে ঢাকার পাশে রূপগঞ্জে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এমন ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে। 

মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোঃ ইসহাক মিয়া বলেন, জলাশয় ভরাট, বৃক্ষ নিধন, অপরিকল্পিত ও নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণসহ নানা কারণে রূপগঞ্জ ঝুঁকিতে আছে। যেহেতু গত ২০২৩ সালে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রূপগঞ্জ। সেহেতু রূপগঞ্জ নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত হয়। সবার সর্তক হতে হবে। কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজিং ইন্সপেক্টর মাহাফুজার রহমান বলেন, রূপগঞ্জ ভূমিকম্প ঝুকিপ্রবণ। তবে হাইরাইজ ভবন তেমন নেই। অপরিকল্পিত ও নকশা বহির্ভূত ভবন আছে। আমাদের কাছ থেকে ৭শ’ ভবন-শিল্পকারখানা লাইসেন্স নিয়েছে। ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে হয়তো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রূপগঞ্জে ৯০ ভাগ ভবন ধ্বসে পড়বে। বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হবে। উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
কমলনগর

স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, থানায় লিখিত অভিযোগ

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, থানায় লিখিত অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার চরলরেঞ্চ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণের শিকার ওই ছাত্রীর ভাই মাশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে অপহরণের অভিযোগে মো. নিশাদ, নুরজাহান বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপহরণের শিকার ছাত্রী স্থানীয়বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন

বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে তাকে একই এলাকার মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে মো. নিশাদ তার সহযোগীদের নিয়ে একটি সিএনজিতে এসে অপহরণ করে। আজ (২৬ এপ্রিল) শনিবার সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই স্কুলছাত্রীর কোনো সন্ধান বা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মাশরাফুল ইসলাম বলেন, 'মো. নিশাদ প্রায় সময় তার বোনকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ঘটনার দিন বিকালে পরিকল্পিতভাবে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার বোনের কোনো সন্ধান পাননি।'

আরো পড়ুন

ধান শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর

ধান শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর

 

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, 'স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।'

মন্তব্য

বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার সময় এক বাংলাদেশি দম্পতিকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কাউহাটি সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন— কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের মৃত অধীর চন্দ্র দাসের ছেলে গৌতম চন্দ্র দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী কবিতা রানী দাস (৪৫)। তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আরো পড়ুন
রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ

রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ

 

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, ‘বিষ্ণপুর বিওপির বিজিবির টহলদল সীমান্ত পিলার থেকে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে তাদেরকে আটক করে। আটকের পর তারা জানায়, গৌতম দাসের শশুর বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর আগরতলায়। কিছুদিন আগে তার শাশুড়ি মারা যায়। শাশুড়ির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা অবৈধ পথে ভারতে যেতে চাচ্ছিলেন।

'

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ