চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই কলেজছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা নাজিমুদ্দিন (২৮) নামের যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেনে। এতে ব্যর্থ হলে ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
এদিকে প্রকৃতির ডাক সেরে আসতে দেরি হওয়ায় ওই কলেজছাত্রীর নানা-নানি বাথরুমে গিয়ে দেখতে পায় নাজিমুদ্দিন বাথরুম থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় কলেজছাত্রীর নানা-নানিকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রী চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ থেকে নানার বাড়ি দক্ষিণ গাছবাড়িয়ায় বেড়াতে আসে। একই দিন সাতকানিয়া এলাকার খাগরিয়া ইউনিয়নের নতুন চর খাগরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে নাজিমুদ্দিনও খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
এ সুযোগে ঘাতক নাজিমুদ্দিন এ অপকর্মের ফাঁদ পেতে বসেন।
ওই ছাত্রীর নানা-নানিরা হলেন আব্দুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৫০)। আহত ফরিদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নাজিমুদ্দিনের মা রোকেয়া বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার ছেলে নাজিমুদ্দিনের কোরবানির ঈদের পর বিয়ের দিন ধার্য রয়েছে।
’
ওই কলেজছাত্রীকে কেন হত্যা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে এ রকম জঘন্য কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নাজিমুদ্দিনের ৪ ভাই দুই বোনের মধ্যে নাজিমুদ্দীন দ্বিতীয় সন্তান।’
নাজিমুদ্দিনের এলাকায় গিয়ে জানা যায়, তিনি ইতিপূর্বে অনেক নারীঘটিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নিহত কলেজছাত্রী চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
চন্দনাইশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই চন্দনাইশ থানার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আহতদের চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক নাজিমুদ্দিনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।