রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া
আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া
শেয়ার
রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাত পোহালেই বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলাকে রঙ্গিনসহ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তারা এ শিল্পকে নিয়ে হতাশ। এ শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি সহযোগিতা দাবি তাদের।

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে সারা বাংলাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ইউনিয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে বসবে বৈশাখী মেলা।

আরো পড়ুন
টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল, হাজার হতে কত বাকি রোনালদোর

টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল, হাজার হতে কত বাকি রোনালদোর

 

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, আশুজিয়া ইউনিয়নের বীরগঞ্জ বাজার, সান্দিকোনা ইউনিয়নের সাহিতপুর বাজার, রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ী বাজার, গড়াডোবা ইউনিয়নে ভূঞারবাজার, উপজেলার পৌরসদরসহ আরো ছোট বড় বিভিন্ন বাজারে বসবে বৈশাখী মেলা ১৪৩২।

এমেলাগুলোকে রঙ্গিন করতে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর ও মোজাফরপুর ইউনিয়নে গগডা গ্রামের মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পাশাপাশি মৃৎশিল্পীরা তাদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর বলে জানান তারা।

বৈশাখী মেলায় প্রধান উপকরণই হলো মৃৎশিল্পীদের হাতে তৈরি পণ্যগুলো। তবে শিশুরাই এই শিল্পের পণ্য বেশি কিনে থাকেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা লক্ষ করা গেছে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে উপজেলার বলাইশিমুল ও মোজাফরপুর ইউনিয়নের লস্করপুর ও গগডা গ্রামে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য মৃৎশিল্প এখনো জীবন্ত রয়েছে এই দুই গ্রামে। পরিবার ভিত্তিক এই শিল্পে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী, পুরুষ, কিশোর-কিশোরীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

বলাইশিমুল ইউনিয়নে লস্করপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের ৫ থেকে ৭টি পরিবার মাটি দিয়ে তৈরি করছেন নানান রকমের শিল্পপণ্য- ব্যাংক, পুতুল, ষাঁড়, গরু, ঘোড়া, হাতি, থালা-বাসনসহ নানা খেলনা ও গৃহসজ্জার সামগ্রী। এসব তৈরির জন্য  পুকুর, হাওর ও বিল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে কাদা মাটি। তৈরি শেষ হলে চলছে রঙ ও ভার্নিশের কাজ, অনেক ক্ষেত্রে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে চিত্রকর্মও।

আরো পড়ুন
পহেলা বৈশাখে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা ও উৎসব

পহেলা বৈশাখে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা ও উৎসব

 

এ ব্যাপারে ৬০ বছর বয়সী মৃৎশিল্পী নওমিতা রাণীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমাগোর পরিবার অনেক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছি। পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা, ঈদ কিংবা স্থানীয় মেলা এলে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়।

তখন পরিবারের ছোট-বড় সবাই সহযোগিতা করে। আমরা বাপ-দাদার পেশাকে ধরে রেখেছি, কারণ আমাদের আর কোনো পেশা জানা নেই। তবে এই শিল্প চর্চা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও পরিশ্রমের। নেই আধুনিক কোনো প্রযুক্তি কিংবা যন্ত্রপাতির সহায়তা। সম্পূর্ণ হাতে গড়া এসব পণ্য আজো বাজারে কদর পাচ্ছে, তবে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা।

মৃৎশিল্পীদের কাজ দেখতে আসা নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারিফ উদ্দিন হানিফের সঙ্গে দেখা হলে তিনি বলেন, ‘এই শিল্প আমাদের বাঙালিয়ানা ও সংস্কৃতির জীবন্ত প্রতীক। যেভাবে তারা কাজ করছেন, তা না দেখলে বোঝা যাবে না কতোটা নিষ্ঠা ও শ্রম লাগে এতে।’

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, ‘এই শিল্পীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা করা হয় না। এ সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা গেলে একদিকে যেমন এই ঐতিহ্য রক্ষা পাবে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মও আগ্রহী হবে এই শিল্পে।’

মুঠোফোনে উপজেলা মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আবুল কাশেম আকন্দের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মৃৎশিল্পীরা অনেক কষ্ট করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। সরকারের সহযোগিতা পেলে তারা এ শিল্পকে আরো ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’

আরো পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

সন্ধ্যার মধ্যে ১১ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

 

কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিকজন জিয়াউর রহমান জীবন বলেন, ‘এক সময় প্রায় প্রতিটি গ্রামেই দেখা যেত এমন মৃৎশিল্পের চর্চা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেলেও লস্করপুর ও গগডা গ্রামের এই পরিবারগুলো এখনো সেই ধারা বহন করে চলেছে। প্রয়োজন শুধু একটু যত্ম ও সহযোগিতা- তাহলেই বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প ফিরিয়ে পাবে তার হারানো গৌরব।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
বিজয়নগর সীমান্তে ভারত যাওয়ার পথে দম্পতি আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার সময় এক বাংলাদেশি দম্পতিতে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কাউহাটি সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের মৃত অধীর চন্দ্র দাসের ছেলে গৌতম চন্দ্র দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী কবিতা রাণী দাস (৪৫)। তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আরো পড়ুন
রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ

রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ

 

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, 'বিষ্ণপুর বিওপির বিজিবির টহল দল সীমান্ত পিলার থেকে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে তাদেরকে আটক করে। আটকের পর তারা জানায়, গৌতম দাসের শশুর বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর আগরতলায়। কিছুদিন আগে তার শাশুড়ি মারা যায়। শাশুড়ির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা অবৈধ পথে ভারতে যেতে চাচ্ছিলেন।

'

মন্তব্য

রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
রামগতি-কমলনগর : ৬ মাসে বিএনপির ২ শতাধিক মহিলা সমাবেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল "রামগতি-কমলনগর" উপজেলা নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর-৪ আসন। এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এমপি হন বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হন নিজান।

 

ওই নির্বাচন তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন আ. লীগ থেকে সিএসপি আব্দুর রব চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি থেকে আ.স.ম আব্দুর রব, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ থেকে মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আশরাফ উদ্দিন নিজানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আ.স.ম আব্দুর রবের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

দীর্ঘ ১৭ বছর এ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা-হামলা ও কারাভোগ উপেক্ষা করে এখন উজ্জীবিত। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আ. লীগ সরকার পরিবর্তনের পর আন্দোলন কর্মসূচির চাপ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মামলা-হামলার চাপও। এ কারণে অপেক্ষাকৃত স্বস্তিতে থাকলেও ত্রয়োদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে বিএনপি। 

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর রামগতি ও কমলনগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক সভা-সমাবেশ করেছে বিএনপি।

প্রতিটি সভা-সমাবেশে ধানের শীষের প্রচারণা ও গণসংযোগ করা হচ্ছে। রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৬২ টি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও নারী সমাবেশ করা হয়েছে। এসব উঠান বৈঠকে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল।

এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক এম. দিদার হোসন, সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইউছুফ পাটোয়ারী সদস্য সচিব আবু সাঈদ দোলন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু, সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভূঁইয়া। অন্যদিকে রামগতিতে  উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. জামাল উদ্দীন সদস্য সচিব মোঃ সিরাজ উদ্দিন ও যুবদল নেতা শিবলী নোমানসহ সেখানকার নেতারা অংশগ্রহন করেন।

সম্প্রতি কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। তারাও আশরাফ উদ্দিন নিজানের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন। এতে দলটির তৃণমূল বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

দলটির একটি সূত্র জানায়, এ আসনে দলটির কর্ণধার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার জন্য ৬ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ লক্ষ্যে তিনি রামগতি-কমলনগরে মোট ১৬২টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড ভিক্তিক উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ করে এ আসনের সাধারণ ভোটারদেরকে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪ হাজারের উপরে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে তৃণমূলে বিএনপির শক্ত অবস্থান তৈরী হয়েছে।

অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর দলের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকে নানা অপরাধ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করলে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান তা শক্তহাতে দমন করেন। এতে দলের বিতর্কিত নেতাকর্মীরা অনেকটা ভয়ে তটস্থ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগরে বিএনপি এখন আশরাফ উদ্দিন নিজানর নেতৃত্বে বেশ চাঙ্গা। এছাড়া বিএনপির আহত নিহত নেতাকর্মীদের ঘর করে দেওয়া, আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ বিশেষ বিশেষ দিনে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ায় আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রতি তৃণমূলের আস্থা আরো বেড়ে যায়।

অন্যদিকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিক রয়েছে। দীর্ঘদিন দাবি পূরণ করতে ৯ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি বিশাল শ্মশান নির্মাণ করে দেন নিজান। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে এই নেতার গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে গেছে অনেক বেশি।

কমলনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু ছায়েদ দোলন বলেন, 'বিগত ১৭ বছর মামলা হামলায় আমাদের নেতাকর্মীরা জর্জরিত ছিল। এখন আমাদের নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের নেতৃত্বে দলকে সংগঠিত করতে তৃনমূল পর্যায়ে কাজ করছি। নিজানের বাহিরে এ আসনে আমরা বিকল্প কোনো চিন্তা করছি না।'

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, 'এ আসনটি মূলত বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চল থেকে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ধানের শীষ প্রতীকে দুইবার এমপি হয়েছেন। তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার জায়গা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মানুষ যেমন জীবন দিতে প্রস্তুত,ঠিক রামগতি-কমলনগরেও আশরাফ উদ্দিন নিজানের জন্য নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।'

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের বলেন, 'প্রতিদিন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন উঠান বৈঠক ও সভা-সমাবেশ হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজানসহ আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করছি। অতীতের তুলনায় বিএনপি অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত।'

সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, 'প্রতিনিয়ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছি। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আওয়ামী লীগ মুক্ত নতুন বাংলাদেশে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি। ধানের শীষের পক্ষে মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছে। সব সময় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত আছি। মুলত এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। আ.লীগ বিএনপিকে মামলা হামলা দিয়ে জর্জরিত করে তুলে। সেখান থেকে মুক্তকরে বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আশাকরি আমার নেতা তারেক রহমানকে এ আসনটি বিপুল ভোটের মাধ্যমে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।'

মন্তব্য

ধান শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ধান শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর

চাঁদপুর সদরে বৈদ্যুতিক পাখায় ভেজা ধান শুকাতে গিয়ে  বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ারা বেগম গুলিশা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী। 

আরো পড়ুন

সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, বৃদ্ধ দম্পতির চলাচলের পথ বন্ধ (ভিডিওসহ)

সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, বৃদ্ধ দম্পতির চলাচলের পথ বন্ধ (ভিডিওসহ)

 

নিহতের ছেলে নূর ইসলাম জানান, তাদের বসতঘরের একটি কক্ষে বড় আকারের বৈদ্যুতিক স্ট্যান্ড পাখা দিয়ে ভেজা ধান শুকাতে যান তার মা।

এসময় ওই পাখার তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এক পর্যায়ে তিনিসহ প্রতিবেশীরা মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন

রাঙামাটিতে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৫

রাঙামাটিতে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৫

 

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'

মন্তব্য

চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় পিকআপ উল্টে প্রাণ গেল শিশুর

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় পিকআপ উল্টে প্রাণ গেল শিশুর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মহাসড়কের পাশে মালবাহী পিকআপ ভ্যান উল্টে পড়েছে। এতে ওই পিকআপের ওপরে থাকা এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুটির মা-বাবাসহ আরো সাতজন। 

আজ শনিবার সকাল ৭টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়ীয়া চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর নাম জাকিয়া ইসলাম (৫)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন (৩৮), মা লাইজু বেগম (৩০), ভাই মো. ফয়সাল (১৪), নানি সেলিনা বেগম (৬০), খালা রিমা আক্তার (২৮), খালাতো বোন সুমাইয়া আক্তার (৫) এবং গাড়ির চালক মো. রায়হান (২৪)। 

নিহত জাকিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন ভোলা জেলার বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

 

ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি হওয়ার সুবাদে ঢাকা থেকে পরিবার ও মালামালসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন জামাল উদ্দিন। মালামালসহ তাদের বহন করা পিকআপ ভ্যানটি বাঁশবাড়িয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস ওই পিকআপ ভ্যানটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এতে বাসটির পেছনের অংশের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সজোর ধাক্কা লাগে এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি নিহত হয়।

 

আহত হন শিশুটির মা, বাবা, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনসহ ৭ জন। পরে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। 

বারো আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মমিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী পিকআপভ্যানটি থানায় এনে রাখা হয়েছে। আহতরা সকলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত শিশুর মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ