স্লোগান দিয়ে নববর্ষের মঞ্চ ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
স্লোগান দিয়ে নববর্ষের মঞ্চ ভাঙচুর
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রাম ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠান হওয়ার স্থলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা ছিল।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত মঞ্চ ভাঙচুর, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা। এই ঘটনার পর চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আর আয়োজন করা হবে না বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের নেতারা।

আরো পড়ুন
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বরাদ্দ ২৫ কোটি, ব্যয় ১৯ কোটি

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বরাদ্দ ২৫ কোটি, ব্যয় ১৯ কোটি

 

সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী টিটু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি টিম এসে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান করার মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলের পর্দা ছিঁড়ে ফেলছে। আমরা আজকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠান করার মতো পরিবেশ আর নেই।’

আরো পড়ুন
মেট্রো রেলে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন উপদেষ্টা, ছবি ভাইরাল

মেট্রো রেলে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন উপদেষ্টা, ছবি ভাইরাল

 

হামলা কারা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা হুঁশিয়ার সাবধান, খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে কোনো অনুষ্ঠান হবে না’ এমন স্লোগান দিয়ে এসে ভাঙচুর চালায়। মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছুই আর নাই। আমরা বসা ছিলাম।

মিছিলের স্লোগান শুনে আমরা সরে গিয়েছিলাম।’

আরো পড়ুন
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১৪ টাকা

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১৪ টাকা

 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিসি হিলে কিছু লোকজন এসে অনুষ্ঠানের কিছু ব্যানার ও কাপড় ছিঁড়ে ফেলছে। সংবাদ শুনে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আসছি। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাতের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মেরা পিকে লাল সবুজের পতাকা উড়ালেন ডামুড্যা হাসপাতালের টিএস

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
মেরা পিকে লাল সবুজের পতাকা উড়ালেন ডামুড্যা হাসপাতালের টিএস
সংগৃহীত ছবি

নেপালের সর্বোচ্চ ট্রেকিং পিক হিসেবে খ্যাত মেরা পিকে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন লালন সিদ্দিকী ও রায়হান দোলন। গত ১৫ এপ্রিল নেপালের দুর্গম মাকালু-বরুন ন্যাশনাল ফরেস্টে তাদের এই অভিযান শুরু হয়। 

জানা যায়, দীর্ঘ ১০ দিন পাহাড়ি বিপদ সংকুল পথে পায়ে হেঁটে তারা ২৪ এপ্রিল বিকেলে ৫২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বেসক্যাম্পে এবং ২৫ এপ্রিল ৫৮০০ মিটার উচ্চতায় মেরা পিকের হাই ক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিকের শীর্ষ ছোঁয়ার যাত্রা।

সারারাত ধরে বয়ে যাওয়া তীব্র বাতাস আর হাড় কাঁপানো শীত তাদের এই যাত্রাকে কঠিন করে তোলে। কিন্তু অভিযাত্রীদলের পর্বতারোহণের যথাযথ প্রস্তুতি আর হার না মানা মানসিকতা এই বিরূপ আবহাওয়াকে পরাস্ত করে মেরা পর্বতশৃঙ্গে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে।

ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, আজ সকাল ৭ টা ২৮ মিনিটের সময় নেপালের মেরা পিকে লাল সবুজের পতাকা উড়ায়। ১০ দিন আগে নেপালের দুর্গম মাকালু-বরুন ন্যাশনাল ফরেস্টে এই অভিযান শুরু করি।

আজ আমরা সফল হয়েছি।

পেশাগত জীবনে লালন সিদ্দিকী একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা আর রায়হান দোলন একজন সিনিয়র সহকারী সচিব।

মন্তব্য

একে একে হাতছাড়া হচ্ছে বাহারের ‘বাহারি রাজত্ব’

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
একে একে হাতছাড়া হচ্ছে বাহারের ‘বাহারি রাজত্ব’
কুমিল্লা-৬ আসনের আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়ি ও অফিসে এখন সুনসান নিরবতা। ছবি : কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে তিন মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। এখন একে একে সবকিছুই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তার। আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হচ্ছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আয় করা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব।

আরো পড়ুন
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

 

   
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই এমপি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন।

এই সুবাধে তিনি ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন পুরো কুমিল্লায়। কুমিল্লার অন্যান্য আসনের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে অপতৎপরতা চালাতেন। তার ক্যাডার বাহিনী পাঠাতেন কালো রঙের বিশেষ মাইক্রোবাসে। তারা এলাকায় প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকি দিতেন এবং শহরে আসলে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিতেন।
ভাড়ায় ক্যাডার বাহিনী নিতে এ কারণেও কেউ কেউ তার কাছে আসতেন। আর সেসব প্রার্থীদের অস্ত্র ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সহযোগিতার নামে হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। তবে সরকার পতনের সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে দানব খ্যাত বাহারের সব রাজত্ব। এমনি কি তার মেয়ে সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সুচনার ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তির জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 

ইতিমধ্যে তার গাড়ি চালককে দেওয়া অশ্লীল গালাগালের এক অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় ছিল তার দু’তলা বাড়ি। বাড়ির সামনের অংশে ছিল তার ব্যক্তিগত অফিস। ওই অফিসে বসেই বাহার তার এ রাজত্ব নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখানে বসেই সিদ্ধান্ত হতো কুমিল্লার ১১টি আসনের নির্বাচনে কে এমপি হবে।

টাকার ব্রিফকেস যার যত ওজন তার ভাগ্য লেখা হতো এ বাড়িতেই বসে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এই বাড়িতে এসে বাহারের পা ছুঁয়ে সালাম নিতে আসতেন। তিনি যার দিতে তাকাতেন, ক্যাডার বাহিনীর কল্যাণে তিনিই এমপি হতেন।

আরো পড়ুন
আ. লীগের কাউকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করালে কঠোর ব্যবস্থা : টুকু

আ. লীগের কাউকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করালে কঠোর ব্যবস্থা : টুকু

 

ঢাকায় তার একাধিক বাড়ি ফ্ল্যাট থাকলেও বাহার অধিকাংশ সময় থাকতেন কুমিল্লা নগরীর এ বাসায়। এখানে বসেই কুমিল্লা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তার বাড়ি ও অফিসে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সরগরম থাকত। বাড়ির সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকত বিলাসবহুল গাড়ি। অফিস ও বাড়ির সামনে সব সময় থাকতো নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে সরব থাকত। বাড়িটি হয়ে উঠেছিল তার ক্ষমতার কেন্দ্র। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়ি ও অফিসে হামলা, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এই বাড়িটিতে সুনসান নিরবতা। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তার মুন্সেফ বাড়ি এলাকায় বাড়ি ও অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস ও বাড়ি তালাবদ্ধ দেখা যায়। মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন থেকে শুরু করে যতসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতো যেখানে সেখানে এখন মানুষ নেই। কেউ আসছে না কোন বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে, দেখা মিলেছে না কুমিল্লার প্রভাবশালী নেতাদেরও। বাড়ির সামনে ছোট ছোট ছেলেরা ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাড়ির পাশে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে আসেন এলাকার মুসুল্লিরা। তারাও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। 

স্থানীয় বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক মো.আবুল কাশেম বলেন, এখন এই বাড়িটি দেখাশুনার জন্যও কেউ নেই। ভয়ে কেউ নিরাপত্তার দেয়ার কাজে আসছে না। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পর হাজী বাহার কিংবা স্ত্রী ও কন্যারা কোথায় আছেন তা জানি না। বাড়িটি এভাবেই পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ি অফিসের চারদিকে ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ি সামনে ও পিছনে ৫ আগস্ট ও এর পরবর্তী সময়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পোড়ার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে আগুনে পোড়া কালো রঙ।

তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, সরকার পতনের পর হাজী বাহার ও তার বড় মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র ডা. হসিন বাহার সূচনা সীমান্তে পথে ভারতে পালিয়ে যান। সাথে বাহারের স্ত্রীও রয়েছেন।

বাহারের বাড়ির সামনে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এভাবে বাহার সম্রাজ্যের পতন হবে, দেশ ছেড়ে তিনি পালিয়ে যাবেন, বাড়িতে হামলা হবে, লুটপাট হবে, আগুন দেওয়া হবে, আমরা এমনটি কখনো ভাবিনি। সরকার পতনের ৮ মাস পরও ওই বাড়ি দেখতে দিনের বেলায় অনেক লোক ভীড় করে। বাহারের বাসার অদূরে মনোহরপুর এলাকায় সোনালী স্কোয়ার মার্কেট। এই মার্কেটে এখনো বাহারের মালিকানাধীন শতাধিক দোকান রয়েছে। কিছু দোকানের পজিশন বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাকি দোকানের ভাড়া বাহারে কোন একাউন্টে যায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরমধ্যে বাহার ও তার স্ত্রী কন্যার নামে থাকা সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় কার হিসাবে টাকা জমা হয়, কিংবা নগদ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা ভারতে পাচার করেন কিনা তাও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে মার্কেটের কোন ব্যবসায়ী কথা বলতে চাননি গণমাধ্যমে। 
 
অপরদিকে, নগরী রামঘাটলা এলাকায় বাহারের নিয়ন্ত্রণে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বহুতল ভবনটিতেও অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করার পর এখন স্থাপনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে রামঘাট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান,  ৫ আগস্ট এবং পরে একাধিকবার ওই ভবন থেকে মালামাল লুটপাট করা হয়। এখন সেখানে ইট পাথর দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই।
 
এদিকে বাহারের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুমিল্লা টাউন হল সুপার মার্কেটও এখন তার হাতছাড়া। এক সময় এই মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ওই  মার্কেটের টাকা জমা হচ্ছে টাউনহল মিলনায়তনের ব্যাংক হিসাব নম্বরে। সেই সাথে তার সোনালী আবাসিক হোটেলও ছাড়তে হচ্ছে। গত ৩১ মার্চ হোটেল ছাড়ার কথা থাকলেও ফার্নিচার সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন অজুহাতে কয়েকদিন অবস্থান করছেন। এমপি বাহার ভারতে অবস্থান করায় হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করো তার বক্তব্য জানা যায়নি।

আরো পড়ুন
পাঁচ বছর পর ফিরল অপহৃত স্কুলছাত্র

পাঁচ বছর পর ফিরল অপহৃত স্কুলছাত্র

 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর শাখার আহবায়ক আবু রায়হান বলেন, সাবেক এমপি বাহারের বাড়ি একটি অভিশপ্ত বাড়ি।  এই বাড়ি থেকেই অবৈধ কর্মকাণ্ডের নির্দেশ আসতো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনাসহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীদের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর হামলা করা হয়। তাই বাহার তার মেয়ে সূচনাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে আমাদের নিকট প্রমাণাদি আছে। আইনের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সাজা আমরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, অবৈধভাবে সাবেক এমপি বাহার টাউন হলের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়ার টাকা নামমাত্র টাউন হলকে দিয়ে বিপুল টাকা নিজের ব্যাংক হিসাবে নিচ্ছিলেন। এখন ভাড়ার টাকা টাউন হলের ব্যাংক হিসেবে জমা নেওয়া হচ্ছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন
সংগৃহীত ছবি

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ চার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের মামলার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও জেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় আমার দেশ পাঠকমেলার উদ্যোগে জেলার চৌরাস্তায় সমবায় মার্কেট চত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাঠকমেলা জেলা সভাপতি ওবায়দুল্লা মাসুদ, ইমাম সমিতির প্রতিনিধি হাফেজ আব্দুর রশিদ, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের জেলা সমন্বয়ক নুর আফতাব রুপম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনটিভির জেলা প্রতিনিধি লুৎফর রহমান মিঠু, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার ও দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ আমিন সরকার, সময়ের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার দেশের উপজেলা প্রতিনিধি জয়নাল আবেদিন বাবুল, বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি, আমার দেশ-এর উপজেলা প্রতিনিধি রমজান আলী, রানীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি মোবারক হোসেন, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি জাকির মোস্তাফিজ মিরু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা, পাঠকমেলার সদস্য সমাজকর্মী আদিউল ইসলাম ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রাফিক সরকার ও আমার দেশ-এর জেলা প্রতিনিধি ফজলে ইমাম বুলবুল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

মন্তব্য

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে মানববন্ধন
সংগৃহীত ছবি

আমার দেশ সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আমার দেশ পাঠকমেলা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আমার দেশ পাঠকমেলা জামালপুর জেলার সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাকিউল ইসলাম খান টিপুর সভাপতিত্বে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাংলাদেশ বেতার ও এসএ টিভির ফজলে এলাহী মাকাম, জামালপুর আইন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক জামালপুরের সাবেক সভাপতি অজয় কুমার পাল, আমার দেশের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ইউসুফ আলী, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজের শুভ্র মেহেদী, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম, ইত্তেফাক ও নিউ নেশনের শাহ জামাল, ঢাকা ট্রিবিউনের বিশ্বজিৎ দেব, মোহনা টিভির উসমান হারুনী, মাই টিভির শামীম আলম, দৈনিক জনতার এসকে সোহেল, আরটিভি ও যায়যায়দিনের জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, এখন টিভির জুয়েল রানা, নিউজ টুয়েন্টিফোরের তানভীর আজাদ মামুন, দীপ্ত টিভি ও দেশ রূপান্তরের তানভীর আহমেদ হীরা, এনটিভি ও খবরের কাগজের আসমাউল আসিফ, ঢাকা পোস্টের মুত্তাছিম বিল্লাহ, বাংলা টিভির নূর মো: ফজলুল করিম কাওছার, একুশে টিভির খন্দকার রাজু আহমেদ ফুয়াদ, আমার দেশের সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি সোলায়মান বাবু, মেলান্দহ প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান রতন, মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি রকিবুল হাসান বিদ্রোহী, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি শামছুল হুদাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও একাত্তর টিভির মালিক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ