কনের বয়স ১৫ বছর। তাই দিনের বেলা নয় রাতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। কনের বাড়িতে হাজির হন বরযাত্রীরাও। শুধু কাজি আসার অপেক্ষা।
কনের বয়স ১৫ বছর। তাই দিনের বেলা নয় রাতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। কনের বাড়িতে হাজির হন বরযাত্রীরাও। শুধু কাজি আসার অপেক্ষা।
জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে পার্শবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের এক কিশোরের বিয়ের সম্বন্ধ হয়।
এ সময় বর ও কনের বাবাকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'বাল্যবিবাহের তথ্য পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি কাজি আসার অপেক্ষায় তারা। বিয়ে পড়ানোর সব আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক কনে ও বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ে ও ছেলের প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
চারিদিকে সবুজ ধান। সবুজের মাঝে নজর আটকে যায় বেগুনি রঙের ধান গাছে। মহাসড়কের পাশে দেখা মিলছে বেগুনি রঙের ধান গাছ। চলাচলকারীদেরও চোখ আটকে যাচ্ছে এ ধান গাছে।
বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে...
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১২ ফুট দীর্ঘ একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আহমদ কমিশনার সড়কে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সাপটি দেখতে পান পথচারীরা।
স্থানীয়রা বলেন, অজগরটি হঠাৎ সড়কের মাঝে পথচারীদের সামনে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এমন সময় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান ‘ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্ন্যাক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’-এর সদস্য আমীর হোসাইন শাওন।
তিনি জানান, অজগরটি সম্ভবত খালের পানির স্রোতে ভেসে এসে খাল পাড় ঘেঁষে সড়কে উঠে আসে। তখনই জনতার নজরে পড়ে। অজগরটি উদ্ধার করা হয়েছে। ১২ ফুট লম্বা অজগরটির ওজন প্রায় ১৭.৫ কেজি।
এদিকে, একই রাতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মন্টু সওদাগরের বাড়ির উঠোনে একটি ৪.৫ ফুট দৈর্ঘ্যের শঙ্খিনী সাপ দেখা যায়। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে সেটিও উদ্ধার করে।
শাওন জানান, পাহাড়ের গাছপালাসহ বন-জঙ্গল উজার করার কারণে বন্যপ্রাণীসহ সাপের খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
বছরে কোটি টাকা খরচ করেও মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারছে না কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। বিপরীতে মশার উপদ্রব ঠেকাতে সাধারণ মানুষের অসচেতনাতাকেই দুষছেন সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রক দপ্তর। তাদের দাবি, প্রতিদিন নগরের কোথাও না কোথাও ফগার মেশিন ও স্প্রে মেশিন দিয়ে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে জনবল সংকট থাকায় পুরো নগর ঘুরে আবারও একই এলাকায় আসতে ৩০-৪০ দিন সময় লেগে যায়।
তবে সিটি করপোরেশনের এমন কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট নগরবাসী। তাদের দাবি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গুরুত্বের ভিত্তিতে জনবহুল এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত। না হয় সামনে বর্ষা মৌসুম এবং পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু, চিগুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মশা বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়বে কুমিল্লা নগরে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের থেকে পাওয়া তথ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে, সিটি করপোরেশনে বছরের শুধু তেলের খরচ বাবদ ব্যয় হয় অন্তত ৩৬ লক্ষ টাকা এবং বছরে কর্মীদের বেতন দেওয়া হয় ৪২ লক্ষ টাকা। এ দুই খাতেই মোট ব্যয় হয় ৭৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও ওষুধ ও অন্যান্য খরচ বাবদ নুন্যতম ব্যয় ধরলেও বছরে কোটি টাকার মত খরচ হয় শুধু এ মশক নিধন খাতে।
মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রধান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সিটি করোপরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে উত্তর অংশের ১৮টি ওয়ার্ডে মশার ওষুধ বেশি ছিটানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘১৩টি ফগার মেশিন দিয়ে সিটি এলাকায় ২৩ জন কর্মী মশক নিধনে কাজ করবে। প্রতিদিন মশক নিধনে ব্যয় হয় ৭০ লিটার ডিজেল, ১৪ লিটার অকটেনসহ পদ্মা ওয়েল সরবরাহকৃত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই কুমিল্লায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে বাসাবাড়িতে দিনে-রাতে মশারি ছাড়া থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। নগরবাসী বলছেন, মশার যন্ত্রণায় তাঁরা অতিষ্ঠ। মশা তাড়াতে তারা কয়েল জ্বালানো, অ্যারোসলসহ ছিটানোসহ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেও রেহাই মিলছে না।
নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী মোল্লা আবদুর রহমান বলেন, ‘যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। শুধু রাতে নয় দিনের বেলায়ও মশা কামড়াচ্ছে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর আশঙ্কা করছি। শিশুদের নিয়ে বেশি চিন্তিত।’
২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমুল হাসান বলেন, ‘মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে কখন যেন মশার কামড়ে রোগে আক্রান্ত হয়। তাই দিনের বেলায়ও জানালা বন্ধ রাখতে হয়।’
বালুতুপা এলাকার ফেরদৌসী বেগম, সুমাইয়া আক্তার ও আজিজুর রহমান বাচ্চু বলেন, এলাকায় ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না। এ এলাকায় দিনের বেলাও মশার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। নগরীর অনেক এলাকায় আবর্জনা ময়লা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না।
কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সরওয়ার রেজা আকবর বলেন, ‘নগরীতে মশা বাড়লে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘নাগরিক সচেতনতাই পারে মশার উপদ্রব কমাতে। আমরা তো প্রতিদিন এলাকা ভিত্তিক ওষুধ দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের সব কটি সিটি করপোরেশন থেকে কম জনবল হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে। তবু আমরা কাজ চলমান রাখি। মশক নিধনের জন্য জনবল বাড়িয়ে লাভ হবে তখন, যদি নাগরিকরা সচেতন হন। নিজ আঙিনা, বাসার ছাদ পরিষ্কার রাখেন। নয়তো ডেঙ্গু হবে। অন্য রোগেও আক্রন্ত হবে। অপরিচ্ছন্ন রাখায় নাগরিকদের নোটিশ দিয়ে সতর্ক করা হয়।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, চার রাউন্ড কার্তুজসহ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. আলাউদ্দিন মাল, জহির উদ্দিন বাবর ও মো. লোকমান হোসেন। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন ও লোকমান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় কোস্ট গার্ড দক্ষিণের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিফাত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম-উল-হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস ভোলা কর্তৃক ভোলার দৌলতখান উপজেলাধীন মদনপুরের চর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন অঞ্চল সমূহের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে।