শাজাহানপুর

পার্টনারের কোটি টাকা নিয়ে উধাও বাবা-ছেলে

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
পার্টনারের কোটি টাকা নিয়ে উধাও বাবা-ছেলে
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ার শাজাহানপুরে দুইজন ব্যবসায়ী পার্টনারসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ব্যবসার লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ন কবীর (৫২) ও মেহেদী হাসান রনি (২৯) নামে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হুমায়ন কবীর শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ সি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের কাঁটাবাড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরো পড়ুন
প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বর্ষবরণ আয়োজন সফল : ঢাবি উপাচার্য

প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বর্ষবরণ আয়োজন সফল : ঢাবি উপাচার্য

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মেহেদী হাসান ও তার প্রতিবেশী নুর মোহম্মদ রোকন ২০১৯ সাল থেকে উপজেলার রহিমাবাদ সি-ব্লক এলাকার বাজারে অভিযুক্ত পিতা-পুত্র হুমায়ন কবীর ও মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে একত্রে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন।

দীর্ঘদিন একসঙ্গে ব্যবসা করার কারণে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিশ্বস্ততার কারণে মেহেদী হাসান ও নুর মোহম্মদ রোকনের ব্যাংকের চেক বই, জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ড্রয়ারে থাকত।

তারা গত ২৩ মার্চ সকালে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখতে পান, দোকানে তালা লাগানো। পরে বাবা-ছেলে হুমায়ন কবীর ও মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বাড়িঘরে তালা লাগিয়ে পরিবারসহ উধাও। মেহেদী হাসান রনির শ্বশুরবাড়ি টেকুড়গাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাদের কোনো হদিস মেলেনি।

ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান ও নুর মোহম্মদ রোকন জানান, দীর্ঘদিনের ব্যবসায় বিনিয়োগ করা মেহেদী হাসানের ১১ লাখ ও নুর মোহম্মদ রোকনের ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাদের ব্যাংকের চেক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ব্যবসায়ী লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে ৫০ লক্ষাধিক টাকাসহ মোট ৭৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবারসহ পালিয়ে গিয়েছে তারা।

আরো পড়ুন
‘নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা’

‘নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা’

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবা-ছেলে হুমায়ন কবীর ও মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে মেহেদী হাসান রনির সম্বন্ধি জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার নিজেরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। অভাবী সংসারের কাঁচা তরকারির ব্যবসা করে জমানো টাকা হারিয়ে তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সব জায়গায় খোঁজ করেও তাদের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, 'অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে পুলিশের।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাড়ির কাছে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
বাড়ির কাছে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ছবি: কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র করার দাবিতে পরীক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর একটা থেকে ঘণ্টাব্যাপী নান্দাইল-কেন্দুয়া সড়কটি অবরোধ করে রাখেন পরীক্ষার্থীরা।

এ সময় সড়কে দুপাশে যাত্রীবাহী বাসসহ কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। বাসযাত্রীরা তীব্র গরমে ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবছর দশ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। খুব ভোরে উঠে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার প্রস্তুতি নিতে হয়। এতে ভোগান্তি বেড়ে যায়। তাই আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে সেখানে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এই দাবি আদায়ের জন্য আমরা সকল পরীক্ষার্থী মিলে সড়ক অবরোধ করে উপজেলা প্রশাসনে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক থেকে উঠব না। 

শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে যখন নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন তখন রায়ের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল আসেন। তারা উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।

 

গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা একই দাবিতে উপজেলা সদরে আন্দোলন করছিলেন। তারাও দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজে স্থাপন করা পরীক্ষা কেন্দ্রে না যাওয়ার দবি করছেন।

মন্তব্য
পিরোজপুর

বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তি দুই লাখ মানুষের

পিরোজপুর সংবাদদাতা
পিরোজপুর সংবাদদাতা
শেয়ার
বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তি দুই লাখ মানুষের
ছবি: কালের কণ্ঠ

পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর নাব্য সংকটের কারণে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পিরোজপুর পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে পারছে না। দিনে দুই বেলা দুই ঘণ্টা করে পানি দেওয়ার কথা, তবে এক ঘণ্টাও মিলছে না পানি। মাঝে মাঝে একদিন পর পানি পাওয়া যায়।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পিরোজপুর পৌরসভার বসবাসরত দুই লক্ষাধিক মানুষ।

পিরোজপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার দেওয়া নির্দিষ্ট পানির কলগুলোতে ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যায় তা আবার যাদের বাড়িতে পানির মোটর আছে তারা তুলে নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও এসব কলে যারা পানি নিতে আসছেন, তারা পানি না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যান।

চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষের।

‎জানা যায়, ১৯৮৭ সালে পিরোজপুর জেলার মর্যাদা পায়। আর পৌরসভাটি দেড় শ বছরের পুরনো। অনেক বছর আগে পিরোজপুরের জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত পুকুর ও নলকূপ ব্যবহার করতে হতো।

জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগ ১৯৮৩ সালে সুপেয় পানির জন্য চালু করে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে শুরু করা হয় পানি সরবরাহ।

শুরুতে প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হতো প্রায় ৫০ হাজার লিটার। সময়ের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ লিটারে দাঁড়ালেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই সামান্য। ফলে চাহিদাকৃত পানি পরিশোধনে অক্ষম কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে এ পৌরসভায় সাত হাজার পরিবারের পানির চাহিদা থাকলেও পানি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৩ হাজার পরিবারের। পিরোজপুর পৌরসভার দুই লক্ষাধিক বাসিন্দার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ লাখ লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। আর উৎপাদন হচ্ছে মাত্র আড়াই থেকে তিন লাখ লিটার।

আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসেছেন পানি নিতে, কিন্তু পানি না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে হোসনেয়ারা বেগমকে। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, ‘পানি না পেয়ে খুব সমস্যায় আছি। বিশেষ করে খাবার পানির সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার পানি কিনে খেতে হচ্ছে। শুধু আমরা না, পিরোজপুর পৌরসভার অধিকাংশ পরিবারের সমস্যা একই। গত কয়েক মাস ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, গত দুই বছর ধরে পানির সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ উদাসীন হওয়ার কারণে তারা ঠিকমতো পানি পান না। প্রতিদিন সকাল-বিকেল মিলিয়ে এক ঘণ্টা করে মোট দুই ঘণ্টা পানি দেওয়ার কথা থাকলেও সব মিলিয়ে এক ঘণ্টাও পানি পান না। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা দরকার।

সোমা মন্ডল নামের এক নারী বলেন, ‘পানির জন্য অচল হয়ে গেছি আমরা। পানির অভাবে আমরা ঠিকমতো গোসল করতে পারি না, রান্নাবান্না করতে পারি না। খাবারের পানি কিনে খেতে হয়। পানির অভাবে এলাকা ছেড়ে দিচ্ছে মানুষ। আমরা এর সমাধান চাই।’

পিরোজপুর পৌরসভার পানি ও পয়োনিষ্কাশন সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বলেশ্বর নদীর নাব্য সংকটের কারণে পানি সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, নদী পুনরায় খননের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে।’

‎পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বনি আমিন বলেন, ‘দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে, পানির চাহিদাও বাড়ছে। তবে সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় কম। ফ্রান্স সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। আশা করি, এ সমস্যার সমাধান হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বালু উত্তোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি শামা ওবায়েদের

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বালু উত্তোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি শামা ওবায়েদের
ছবি: কালের কণ্ঠ

কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর ঐতিহ্যবাহী কুমার নদ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া বাজারে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।    

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো অন্যায় ও অবৈধ কাজের প্রশ্রয় দেন না। আমিও কোনো অন্যায় ও অবৈধ কাজের সঙ্গে থাকবো না।

অতএব, কুমার নদ থেকে যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কুমার নদ আমাদের সম্পদ। এটাকে রক্ষা করতে হবে।’

আরো পড়ুন
বিএনপি নেতার অবৈধ কাঠবোঝাই ট্রাকসহ চালক আটক

বিএনপি নেতার অবৈধ কাঠবোঝাই ট্রাকসহ চালক আটক

 

তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কুমার নদ থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে যদি পত্রিকায় প্রতিবেদন না হতো, তাহলে বিষয়টি আমরা জানতাম না।

প্রশাসনিক অভিযানের পরেও নাকি বালু উত্তোলন করা হয়। আমি এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। আমি জানি না কাদের ছাত্রছায়ায় কুমার নদ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কিছু কিছু নাম পত্রিকায় উঠে এসেছে।
তারা নাকি সবাই ম্যানেজ করে নাকি কুমার নদ থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কাদেরকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এটা আমি দেখবো।’

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমি এই মাটির সন্তান হিসেবে কুমার নদ রক্ষা করা আমার অধিকার। আমি সকল নেতাকর্মীকে বলবো, কুমার নদ থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ-প্রশাসনকে জানাবেন, যাতে যারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘যতদিন শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা জীবিত আছে, ততদিন সালথা-নগরকান্দার মাটিতে আর কেউ বালু উত্তোলন ও অবৈধ কাজ কেউ করতে পারবে না। এসব কাজে যদি বিএনপির কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না। আমি শুনেছি কুমার নদ থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে, তারা ফরিদপুরে বিএনপির কিছু লোকের সঙ্গে খাতির করছে। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, ফরিদপুরে কোনো অবৈধ কাজ করতে দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল কালের কণ্ঠ অনলাইনে (অভিযান সত্ত্বেও কুমার নদে অবাধে বালু উত্তোলন, সড়ক-সেতু হুমকির মুখে) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল কালের কণ্ঠ অনলাইনে (সালথায় কুমার নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকিতে পাকা সড়ক) শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন দুটি প্রকাশের পর কুমার নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। সমাবেশ শেষে তিনি কুমার নদ ঘুরে দেখেন।
 

মন্তব্য
বান্দরবানে র‌্যাবের অভিযান

বিএনপি নেতার অবৈধ কাঠবোঝাই ট্রাকসহ চালক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
শেয়ার
বিএনপি নেতার অবৈধ কাঠবোঝাই ট্রাকসহ চালক আটক
সংগৃহীত ছবি

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জামানের অবৈধভাবে পাচারকালে কাঠবোঝাই ট্রাকসহ চালককে আটক করেছে র‌্যাব।  

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার সময় শহরের মেঘলা এলাকায় কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ চালককে আটক করা হয়।

এ সময় চোরাচালান চক্রের মূলহোতা সরওয়ার জামানকে আটক করতে না পারলেও অনুমোদনহীন ৮০ টুকরো মূল্যবান প্রজাতি সেগুন, আনুমানিক ৮০ ঘনফুট  গোল কাঠ জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, মেঘলা এলাকায় অবৈধভাবে বনের কাঠ পাচার হচ্ছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় পাচারকালে ৮০ টুকরো গোল সেগুন কাঠসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়। পরে বন বিভাগকে খবর দিলে বন বিভাগের কর্মকর্তা গিয়ে সেগুলো জব্দ করে বনবিভাগের অফিসে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানায় বন বিভাগ।

স্থানীয়রা জানায়, বনবিভাগের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন অবৈধভাবে কাঠ পাচার করে আসছে বিএনপি নেতা সরওয়ার জামান, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন, রিয়াজ চৌধুরী, আলাউদ্দিন, তারেক চৌধুরী, মান্না, মো. জাহাঙ্গীর, নুরুন্নবীসহ ৮-১০ জনের একটি সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১৫ সিপিসির কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদ জানান, বনের কাঠ পাচারকালে একজন পাচারকারীসহ কাঠ জব্দ করেছি। বনবিভাগ ও আমরা যৌথভাবে মামলা দায়ের করবো। বনের কাঠ ও বনজ সম্পদ রক্ষায় আমরা এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করবো।

এ ব্যাপারের বান্দরবান বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শামসুল হক ফরেস্টার বলেন, র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে আটক কাঠগুলো অনুমোদনহীন।

চোরাচালান চক্রের মূলহোতা সরওয়ার জামানের নেতৃত্বে একাধিক পাচারকারী ওই এলাকায় অবৈধভাবে কাঠ পাচার করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে বনবিভাগ প্রায় সময় ব্যবস্থা নিলেও তাদের দমানো যাচ্ছে না।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ