বরগুনার তালতলীতে পূর্বশত্রুতার জেরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ মালিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরীক্ষার্থীর পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আহত ওই পরীক্ষার্থী হলো দক্ষিণ মালিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মুসল্লির ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন তাওহীদ। তিনি তালতলী বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
হামলাকারীরা হলো মো. বাদল, মো. সোহেল, মো. হাফিজুর, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. সোবাহানসহ আরো ৪-৫ জন। এদের সবার বাড়ি মালিপাড়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে মো. ফরহাদ হোসেন তাওহীদকে হাতুড়ি, লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা করা হয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে তাকে মারাত্মক জখম করে বাড়ির সামনের সড়কে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাওহীদকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এতে ওই শিক্ষার্থীর পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ বাদল হোসেন বলেন, ‘ওরা (তাওহীদরা) ৩-৪ জন মাদক সেবন করে মাতলামি করছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে ফরহাদের মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছে। পরবর্তীতে তাকে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আমরা ওর চিকিৎসার খরচ দিয়েছি।
’
এ বিষয়ে আহত পরীক্ষার্থীর বড় ভাই সাগর মুসল্লি বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জের ধরে ওরা (বাদলরা) আমার ছোট ভাইকে হাতুড়ি, লোহার রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। আমার ভাইয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, মালিপাড়া এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করার খবর পেয়েছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।