গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার কুশলা বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে এক দোকানি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুনে ১০ দোকান পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আরো পড়ুন
আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস, প্রতিরোধের উপায়
প্রত্যক্ষদর্শী ও দোকানমালিক শহীদ ফকির বলেন, ‘রাতে আমি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলাম। আনুমানিক রাত ৩টার দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি দোকানে আগুন লেগেছে। আমি দ্রুত দোকানের ঝাপ খুলে বাইরে এসে দেখি আমার দোকানসহ পাশের দোকানগুলো আগুনে পুড়ছে।
এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস এসে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নেভায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগুনে আমার দোকানসহ ইমরুল মোল্লা, ওমর আলী মৃধার ও শরিফুল ফকিরের মুদি দোকান, সাইদুল শেখ, ও আমিন চৌধুরীর চায়ের দোকান, কামরুল চৌধুরীরর ওষুধের দোকান, কপিল বিশ্বাসের মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স দোকান, গোপাল শীলের সেলুন এবং রিয়াজ চৌধুরীর মৎস্য অফিস ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’
আরো পড়ুন
ট্রেনের বগিতে মিলল কোটি টাকার হেরোইন
কোটালীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত আমরা কুশলা বাজারে ছুটে যাই।
১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ সময়ের মধ্যে ১০টি দোকান পুড়ে যায়। দোকান ঘরগুলো কাঠ ও টিনের হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি।’
ব্যবসায়ী শরিফুল ফকির বলেন, ‘কয়েকটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে দোকান করি।
আগুনে দোকান ঘরটি পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব? কীভাবে সংসার চলবে, ভেবে পাচ্ছি না। আগুনে আমাদের ১০ দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈনুল হক বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামী সোমবার কোটালীপাড়া এসে দুর্ঘটনাস্থলে যাব। সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।’
আরো পড়ুন
৪ দিন ধরে বন্ধ লালমনিরহাট-বুড়িমারী ট্রেন যোগাযোগ (ভিডিওসহ)
আজ শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রেজাউল করীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই মর্মস্পর্শী। জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়ে।’