ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 

জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

 

ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।

আকাশের দিকে থাকালেই মনে হয় যেন শত শত পাখি আকাশজুড়ে উড়ছে। ফুলপুর খেলার মাঠে ঘুড়ি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার, ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিজয়ীরা হলেন এ বি এম আরিফুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, উপজেলা ছাত্রদল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুলপুর হেল্পজোন। ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ীদের আগামীকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

ফুলপুর উপজেলার মানুষের আন্তরিকতায় এ নববর্ষ উপলক্ষে অন্য রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম। দুই দিন ধরে চলবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অসচ্ছল পরিবারগুলোতে বইছে সুখের বাতাস

    বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় অসচ্ছল পরিবারের ৬০ জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
শেয়ার
অসচ্ছল পরিবারগুলোতে বইছে সুখের বাতাস

হঠাৎই অঝোরে বৃষ্টি, এরপর তপ্ত রোদের ঝলকানি। রাত পোহাতেই গ্রীষ্মকাল নিজেকে জানান দিল বেশ ভালো করেই। তবে বৃষ্টি কিংবা রোদ কোনো কিছুই তাঁদের চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসচ্ছল পরিবারের অনেকেই ছুটে এসেছেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন মাস বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যখনই সেলাইয়ের কাজ আর কাপড় কাটার কাজ শিখে গেলেন, সামনে এলো বিশাল সুযোগ। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রত্যেকেই পাবেন একটি করে সেলাই মেশিন। এ আনন্দেই তাঁদের মনে বইছে সুখের বাতাস।

সে বাতাসেই যেন রোদ-বৃষ্টির চোখরাঙানি পরাস্ত হলো। আয়োজন সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়তন। শুধু সুবিধাভোগীদের ভেতরে বসিয়ে সঙ্গে আসা স্বজনদের বাইরে অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হলো। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবাই বাড়ি ফেরেন মুখে রাজ্যের হাসি নিয়ে।

এই হাসির কারণ দেশসেরা শিল্পপরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। ৬০টি অসচ্ছল পরিবারে সুখের বাতাস বইয়ে দেওয়ার নেপথ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘ। মানুষের জন্য ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ তাঁদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। দক্ষ হয়ে যাওয়ার পর প্রত্যেককে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এই সেলাই মেশিনকে ঘিরে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন উপকারভোগীরা।

গত ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৬০টি অসচ্ছল পরিবারের নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। অসহায় পরিবারকে স্বাবলম্বী করার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ। ২৩ জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আরো কয়েকটি জেলায় বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬৪ জেলায়ই এই কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর মাধ্যমে অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রত্যয় দেশের সর্ববৃহৎ এই সামাজিক সংগঠনটির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল, তাদের জন্য কিছু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান। এরই আলোকে কাজ করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। যেখানে স্কুল নেই, সেখানে স্কুল করে দেওয়া হয়েছে, লাইব্রেরি করা হয়েছে। উপার্জনের জন্য কিছু একটা করার অংশ হিসেবে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আরেকটা উদ্যোগ হলো সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, যা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। একমাত্র বসুন্ধরা গ্রুপই সুদমুক্ত ঋণ দেয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করছি। চক্ষু হাসপাতাল আছে। সেখানে বাছাই করা রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করানো হয়।’ চাঁন মিয়া সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। উপকারভোগীরা যেন সেলাই মেশিনটি যথাযথভাবে কাজে লাগান সেই অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি উদ্যোগটি প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সফলভাবে করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

আয়োজনের শুরুতে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ছিল পিনপতন নীরবতা। মঞ্চ থেকে ঘোষণা এলো, প্রত্যেকের সামনে থাকা সেলাই মেশিনগুলো তাঁদের জন্য। মেশিন নিয়ে যাওয়ার যাতায়াত ভাড়াটাও দিয়ে দেওয়া হবে। সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব শুনে সবার মুখে ফোটে হাসির ঝিলিক। হাত-পা চলতে শুরু করল সেলাই মেশিনে। খটখট শব্দটা এবার নীরবতা ভেঙে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। মনে হচ্ছিল গার্মেন্টস কারখানায় নারীরা কাজে মগ্ন। বাড়ি ফিরে কখন থেকে সুই-সুতার ফোঁড়ে জীবনের নতুন নকশা আঁকা শুরু করবেন, সেই সময়টার অপেক্ষা সবার মাঝে। শাহীনূর বেগম নামের এক নারী বললেন, ‘এখন আর মাকে সেবা করার চিন্তা নেই। সেলাই মেশিন দিয়ে আয় করে মাকে ভালোভাবে সেবা করব।’ উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামের ওই নারী জানালেন, বিয়ের বছর দুয়েক পর স্বামী মারা যান। সংসার চালানো কষ্ট হয় বলে রাজমিস্ত্রি ভাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এরপর থেকে মাকে নিয়েই তাঁর সংসার। কাঁথা সেলাই আর ছাগল পালনের আয় দিয়ে চলত দুজনের সংসার। এখন সেলাই মেশিন পাওয়ায় নতুন করে ভালো থাকার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সেলাই মেশিন পেয়ে উপকারভোগীরা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করেন। তাঁরা বলেন, এই মেশিন তাঁদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সংসার চালানো নিয়ে তাঁদের যে চিন্তা ছিল, তা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাব বলে বেশ ভালো লাগছে। ইয়াছমিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চা বিক্রেতা বাবার একার পক্ষে সাতজনের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। বসুন্ধরার এই সেলাই মেশিন নিয়ে আমি আয় করতে পারব, যা সংসার চালাতে বেশ কাজে লাগবে। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া রইল।’ মেয়ের সঙ্গে আসা শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বসুন্ধরা আমার পরিবারের পাশে ছিল আগে থেকেই। আমার মেয়েদের তারা শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে। এখন এক মেয়েকে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে মেশিন দিল। তাদের উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না।’ প্রশিক্ষক পলি আক্তার জানান, প্রত্যেককে তিন মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেলাইয়ের কাজ শিখে ও নতুন মেশিন পেয়ে সবাই খুব খুশি। এই উদ্যোগের ফলে প্রতিটি পরিবারেই আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।’


অন্যরাও এমন উদ্যোগ নিলে দেশ এগিয়ে যাবে

১
জেসমিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মানবিক ও জনকল্যাণকর কাজগুলো সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে করলে সেটিকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে একসঙ্গে এসব কাজ করলে মানুষের কল্যাণ আরো বেশি ত্বরান্বিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাঞ্ছারামপুরে ৬০ জন অসহায় নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সারা দেশেই সেলাই মেশিন দেওয়া হবে বলে জেনেছি। আমি আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের মতো দেশে আরো যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তারাও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এতে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তারা স্বাবলম্বী হতে পারবে। এগিয়ে যাবে আমাদের স্বপ্নের এই দেশ।

 


‘অচল শরীর’ নিয়েও আব্দুল আউয়ালের সুখের হাসি

2

সুবিধাভোগীদের সবার পেছনে এক কোনায় বসা বৃদ্ধ আব্দুল আউয়াল। বৃদ্ধ বলতে শারীরিক অক্ষমতা তাঁকে যেন দ্রুত বৃদ্ধ বানিয়ে দিয়েছে। প্যারালাইজড আব্দুল আউয়াল তবু মেয়ের সঙ্গে এসেছেন। সুবিধাভোগী বাদে অন্যদের বাইরে অপেক্ষার জন্য বলা হলেও আব্দুল আউয়ালের জন্য মিলনায়তনে চেয়ার বরাদ্দ ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল। পরিবারে চার মেয়ে ও স্ত্রী। মেয়েদের সবাই পড়াশোনা করে। নিজে উপার্জন করতে পারেন না বলে স্বজনরা মিলেমিশে সংসার চালায়।

তাদের সংসারে ত্রাতা হয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দুই মেয়েকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে সহায়তা শুরু। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোতে বড়দের বাদ দিয়ে ছোটদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এখন অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ফেরদৌসি আক্তারকে সেলাই মেশিন দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

এতে খুব খুশি তিনি। আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমার মেয়েদের পড়াশোনায় আগে থেকেই সাহায্য করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এইবার ছোট মেয়েটাকে প্রশিক্ষণ দিছে আবার আজকে মেশিনও দিছে। আজকাল তো পকেটে পাঁচ টাকা না থাকলে গুদারাও পার হওয়া যায় না। কেউ বিনামূল্যে এত দামের সেলাই মেশিন দেবে, সেটা তো কল্পনা করাও দায়।

শুনেছি, বসুন্ধরার মালিক এভাবে কোটি কোটি টাকা মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দেন। আমার মতো অনেকের পরিবারের ছায়া হয়ে আছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁদের সবাইকে ভালো রাখেন।’


বসুন্ধরার ছোঁয়ায় বদলে যাবে তাহিয়ার জীবন

3

নির্ভরশীলতা যেন এক নীরব যন্ত্রণা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাড়াতলী গ্রামের তাহিয়া রহমান। স্বামী বেকার। সংসারের চাকা ঘুরছিল না ঠিকঠাক।

শ্বশুরের ওপর নির্ভর করেই চলত তাহিয়ার পরিবার। তবু তাহিয়ার মনে ছিল ক্ষীণ স্বপ্ন, কিছু করবেন সংসারের জন্য। তাঁর এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা শুভসংঘের সহযোগিতায় তাহিয়া বিনামূল্যে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ নেন।

প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাঁকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় একটি সেলাই মেশিন। সেই মেশিনই আজ তাহিয়ার স্বপ্নপূরণের সঙ্গী। তাহিয়া বলেন, ‘এখন আর কারো মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ আর সেলাই মেশিন আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।
সংসার চালাতে পারব নিজের উপার্জনে। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও এখন ভাবতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যারের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর মতো মানুষ আছেন বলেই আমাদের মতো অসহায় নারীরা স্বপ্ন দেখতে সাহস পাই। আমার মতো একজন নারীর চোখে স্বপ্ন ফেরানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ।’


মাহমুদার স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি

4

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরের ছোট্ট গ্রামে বেড়ে ওঠা মাহমুদা। তিনি শুধু একজন শিক্ষার্থীই নন, এক সংগ্রামী নারীর প্রতিচ্ছবি। বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়েন। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে জীবন ছিল যুদ্ধের মতো।

মাহমুদার চোখে অন্ধকার নামতে শুরু করলেও তাঁর মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আলোর শিখা নিভে যায়নি। এই কঠিন সময়ে মাহমুদার পাশে দাঁড়ায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। পাশে দাঁড়িয়ে শুধু সহানুভূতি নয়, বাস্তবিক সমাধান দিয়েছে তাঁকে। সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আলোর পথ দেখানো হয়েছে।

প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে একটি সেলাই মেশিন পেয়ে তাঁর চোখে আনন্দের জল চলে আসে। এই মেশিন যেন কেবল একটি যন্ত্র নয়, বরং তাঁর স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি। এখন তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। নিজের পড়ার খরচ চালাতে পারবেন।

মাহমুদা বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহযোগিতা আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন আমি শুধু নিজের খরচ চালানোই নয়, পরিবারকেও সাহায্য করতে চাই। আমাকে এত সহযোগিতার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ।’


চা বিক্রেতা বাবাকে সাহায্য করতে পারব

5

আমাদের সংসারে মা-বাবার পাশাপাশি তিন বোন ও এক ভাই। এক বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। আট বছর বয়সী একমাত্র ভাই সজীব বাবাকে সাহায্য করে, যে কারণে সে পড়াশোনা করতে পারে না। আমি অনার্সে পড়ি।

বাকি দুই বোনও পড়াশোনা করে। এত বড় সংসারের খরচ জোগাতে বাবা জোনাব আলীর খুব কষ্ট হয়। এমনও হয়েছে, পড়ার জন্য বই কিনতে পারিনি। অন্যের বই নিয়ে পড়েছি।

বাবার দেওয়া টাকায় ক্ষুধা মেটানোই আমাদের জন্য কষ্টকর। এখন আমি নতুন করে চিন্তা করতে শুরু করেছি। বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া সেলাই মেশিন দিয়ে আমি আয় করব। যা আয় হবে, তা দিয়ে সংসারের পাশাপাশি নিজের পড়ার খরচ চালাতে পারব।

বাবার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারব বলে ভালো লাগছে। আমি স্বাবলম্বী হতে যাচ্ছি এমনটা ভেবেও গর্ববোধ হচ্ছে। এ জন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে, সেটা অতুলনীয়। অসহায় নারীদের কল্যাণে সেলাই মেশিন বিতরণ অসহায় মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যারসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি দোয়া রইল।


স্বপ্নার নতুন স্বপ্ন

7
পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ইশা মনিকে নিয়ে আমার সংসার। স্বামী থেকেও নেই। মানসিক সমস্যা থাকা স্বামী কোথায় গেছে হদিস নেই। এখন আমার জীবনের নতুন পথের দিশা পেলাম।

সেলাই মেশিনটি আমাকে নতুন করে পথ দেখাবে। আমি মেয়েকে ভালোভাবে পড়াশোনা করাতে পারব। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানতাম। দুই হাজার ২০০ টাকায় পুরনো একটি মেশিন কিনে সেলাইয়ের কাজ করতাম। পাশাপাশি ছাগলও পালন করি। এসব থেকে হওয়া আয় দিয়েই আমার সংসার চলে। তবে কয়েক মাস আগে পুরনো সেলাই মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। এর পর থেকে আর কাজ করতে পারছি না।

বসুন্ধরার কথা শুনে আমি আগ্রহ দেখাই। তাদের উদ্যোগে বেশ ভালোভাবে ট্রেনিং নিয়েছি। এখন সেলাই মেশিন পেয়েছি। আগে থেকেই কাজ করতাম বলে অনেক কাস্টমার আছে। নতুন মেশিন দিয়ে সেলাইয়ের কাজ ভালো হবে বিধায় এখন সবাই আগ্রহ নিয়ে আসবে।

আমার জন্য খুব সুবিধা হলো। বিশেষ করে মেয়ের পড়ার খরচ জোগানো নিয়ে আমার আর কোনো টেনশন রইল না। আমি এখন নতুন করে চলার স্বপ্ন দেখছি। এর পেছনে রয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমি বসুন্ধরার জন্য মন ভরে দোয়া করি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অসহায় সায়েদা বানুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
অসহায় সায়েদা বানুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসাড় গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী সায়েদা বানু (৫৫)। দুই দশক আগে হঠাৎ করেই তার দুই পা অকেজো হয়ে যায়। অনেক জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় তার।

চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটি হুইলচেয়ার জোটাতে পারেননি অসহায় সায়েদা বানু। অভাব অনটনের কারণে হুইলচেয়ার কেনার সামর্থ্যও ছিল না তার। অবশেষে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে তার বাড়িতে গিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা হুইলচেয়ার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন তার হাতে।

আরো পড়ুন
আখাউড়ায় গুলিসহ তিনজন গ্রেপ্তার

আখাউড়ায় গুলিসহ তিনজন গ্রেপ্তার

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডুসহ অন্যানরা।

হুইলচেয়ার পেয়ে আপ্লূত হয়ে পড়েন সায়েদা বানু। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে অনেকবার গিয়েছি। কেউ আমাকে একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়নি।

আজ বসুন্ধরা শুভসংঘ হুইলচেয়ারসহ আমাদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বসুন্ধরা শুভসংঘ এভাবে অসহায় মানুষের সেবা করে যাক।

বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, কালের কণ্ঠে ওই নারীকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তারপর আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

 

আরো পড়ুন
রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

 

সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আমাদের জেলায় অসহায় নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। 

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কালের কণ্ঠ ডিজিটাল এডিশনের আপনজন পর্বে সায়েদা বানুকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়।

 

মন্তব্য

খুলনায় শিশুদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের দুপুরের খাবার বিতরণ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় শিশুদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের দুপুরের খাবার বিতরণ
ছবি: কালের কণ্ঠ

বৈশাখের তপ্ত দুপুরে দরিদ্র শিশুদের মাঝে একবেলার খাবার দিয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা সদস্যরা। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কালের কণ্ঠ ব্যুরো চত্বরে শিশুদের মাঝে এ খাবার তুলে দেওয়া হয়।

ছুটির দিনে খাবার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে শিশুরা। অনুভূতি প্রকাশ করে শিশুরা বলেছে, খাবার পেয়ে তারা খুশি।

এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। ‘বন্ধের দিনটি ভালোই কাটলো। যারা এই আয়োজন করেছেন, তাদের জন্য দোয়া করছি।

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি বিপুল রায় চৌধূরির সভাপতি খাবার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক কেীশিক দে, বসুন্ধরা শুভসংঘের সহসভাপতি কাজী মাহবুব, সৌমেন কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর মন্ডল, সহ-সম্পাদক মো. সাদিক, সদস্য চন্দন সরকার, ফটো সাংবাদিক নাজমুল হক পাপ্পু প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময়ই দরিদ্র, হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দরিদ্র শিশুদের মধ্যে একবেলা খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আগে খুলনায় প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

অদূর ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সুখে-দুঃখে বসুন্ধরা শুভসংঘ কাজ করবে।

মন্তব্য

শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
সংগৃহীত ছবি

মাদরাসার আবাসিক শিশু শিক্ষার্থীদের দাঁতের যত্ন শেখাতে কুমিল্লার লালমাইয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব চেঙ্গাহাটাস্থ আল ইসরা মাদরাসার (বালক শাখা) হিফজ বিভাগে এই আয়োজন করা হয়।  

দৈনিক কালের কণ্ঠের কুমিল্লার লালমাই-সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় শিশুদের দাঁত ব্রাশের পদ্ধতি ও দাঁতের যত্নে বিভিন্ন নিয়ম শেখান বাগমারা বাজারস্থ সেবা ডেস্টাল কেয়ারের বিএসসি-ডেন্টিস্ট মফিজুল ইসলাম মুন্না (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ ইন ডেন্টিস্ট্রি)।

সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন শুভসংঘের সদস্য ও মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন সামির হোসেন। দাঁতের যত্ন শেখার পর অংশগ্রহণকারী ৩৫ শিক্ষার্থীকে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি করে ব্রাশ ও এক প্যাকেট করে টুথপেস্ট দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

 

বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াকুব আলী নিমেলের সঞ্চালনায় সচেতনতামুলক সভায় উপস্থিত ছিলেন আল ইসরা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাছুম বিল্লাহ মুহাজির, বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই শাখার সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মারুপ সিরাজী, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম রাফসান, আল ইসরা বালিকা শাখার হিফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ ইসমাইল হোসেন শামীম, আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ, হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ফাহিম, কিতাব বিভাগের শিক্ষক ক্বারী নাঈম হোসেন, নূরানী বিভাগের শিক্ষক হাফেজ জাবেদ।

আল ইসরা মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিছবাহুল ইসলাম বলেন, আমি আগে শুধু সকালে ব্রাশ করতাম।

আজ থেকে সকাল-রাত দুই বেলা ব্রাশ করবো। ব্রাশ করার সঠিক নিয়মটাও সভা থেকে শিখতে পেরেছি।

আল ইসরা মাদরাসার বালক শাখার প্রধান মুফতি হাসান মাহমুদ বলেন, শিশুদের দাঁতের যত্নে এই ধরনের কর্মসূচি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের জন্য অনুকরণীয়। এমন আয়োজন করায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

আরো পড়ুন
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ, লালমাই উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ডা. শামীম ইকবাল মজুমদার বলেন, পবিত্র কোরআন হিফজ করতে গিয়ে শিশুদের মা বাবা থেকে দূরে গিয়ে মাদরাসায় আবাসিক থাকতে হয়। আবাসিকে থাকা শিশুরা দাঁতের যত্ন নিতে ভুলে যায়। সেই শিশুদের দাঁতের যত্ন শেখাতে শুভসংঘের ব্যতিক্রম আয়োজন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ