চুয়াডাঙ্গায় যুবককে কুপিয়ে জখম, দুদিন পর মৃত্যু

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
শেয়ার
চুয়াডাঙ্গায় যুবককে কুপিয়ে জখম, দুদিন পর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

চুয়াডাঙ্গা শহরে নিপুণ কুমার সাহা (২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের দুদিন পর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। 

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন নিপুণ সাহা। তিনি শহরের বড়বাজার পাড়ার কৃষ্ণপদ সাহার ছেলে।

নিপুণ শহরের টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।

সূত্র জানায়, গত ১১ এপ্রিল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ফেরিঘাট রোডের তরমুজ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী রুবেলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ১২ এপ্রিল রাতে শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে নিপুণকে একা পেয়ে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম সে।

পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান নিপুণ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত নিপুণ কুমার সাহা মারা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

অভিযুক্ত সবাইকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফরিদপুর

নির্জন চরে মাধ্যমিক শিক্ষার আলো

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
নির্জন চরে মাধ্যমিক শিক্ষার আলো
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের সদরপুরে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নটি দুর্গম পদ্মার চরে। পিছিয়ে পড়া এ জনপদে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। অবশেষে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এতে সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা ইউনিয়নবাসীর।

সদরপুর উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে। এ চরে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ছিল না কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

আশপাশের চরনাছিরপুর, চরমানাইর তিন চরেও নেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

ফলে প্রাথমিকের পর্ব শেষ করে আর এগোতে পারে না চরবাসী শিক্ষার্থীরা। চরে হাওলাদারকান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সদরপুর উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি হয়ে উঠবে শিক্ষার বাতিঘর– এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার বাসিন্দাদের।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে চলে এ চরাঞ্চলের মানুষের জীবন। শিক্ষাদীক্ষায় চরবাসী আলোর মুখ না দেখতে পেয়ে বাধ্য হয়ে সন্তানদের পৈতৃক পেশা মাছধরা বা কৃষিকাজে লাগিয়ে দিতেন।

একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় পঞ্চম শ্রেণি পাস করেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত।

হঠাৎ এক দিন এ বালুচরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গল্প শোনা যায়। প্রথম দিকে কাল্পনিক মনে হলেও এখন চরবাসীর স্বপ্নের ওই বিদ্যালয়টি বাস্তবের জমিনে দাঁড়িয়ে আছে। শিগগিরই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে সদরপুর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে উন্নয়নকাজের পরিদর্শনে যান।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে চান তিনি।

তখন স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। তখনই একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানান ইউএনও।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় জমিদানের জন্য এগিয়ে আসেন ওই অঞ্চলের হাওলাদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবুল হাওলাদার। তিনি বিদ্যালয়ের জন্য এক একর (১০০ শতাংশ) জমি লিখে দেন। এরপর বিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের জন্য সদরপুর উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। 

সদরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন। যোগাযোগের প্রধান বাহন ট্রলার। সদরপুর থেকে ঢেউখালী ইউনিয়নের শয়তানখালী নৌঘাট থেকে দেড় ঘণ্টা পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এ চরে। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এ অঞ্চলের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর হাতে যেখানে বই-খাতা-কলম থাকার কথা, সেখানে তাদের হাতে দেখা যায় চায়ের কেটলি, মাছ শিকারের সামগ্রী আর গরু-ছাগলের রশি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন জানান, ইচ্ছা থাকলেও আগে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে আর স্কুলে যেতে পারত না এ অঞ্চলের শিশুরা। মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় শিশুরা আরো পড়াশোনা করতে পারবে। বদলে যাবে চরের শিক্ষাব্যবস্থা।

নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর চরবাসীর জন্য উপজেলা প্রশাসন এ স্কুলটি উপহার হিসেবে দিয়েছে। এখন চরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে, পরিবর্তন হবে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার। ইতোমধ্যে স্কুলটির জন্য চারচালা টিনের ঘর করা হয়েছে। বেঞ্চসহ শিক্ষা উপকরণ সামগ্রীও পৌঁছে গেছে। শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘এখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশা করাও দুরূহ ব্যাপার ছিল। প্রশাসনের প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগের কারণে এ স্কুল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’

বিদ্যালয়ের জমিদাতা আবুল হাওলাদার বলেন, ‘নিজ এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় দুর্গম এলাকা থেকে নদী পাড়ি দিয়ে অন্যত্র যেতে চায় না শিশুরা। তাই এখানকার জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মান নাজুক। এখন উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ায় তাদের শিক্ষার হার বাড়বে।’

সদরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘এই উপজেলার সাবেক ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল প্রথমে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করেন। আমি এসে যখন শুনেছি তখন থেকেই চরের শিশুদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়টি নিয়ে কাজ করছেন। চরবাসী তাদের স্বপ্নের স্কুল পেয়েছে। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুলের বেঞ্চসহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়েছে। এখন উদ্বোধন ও পাঠদানের অনুমতির অপেক্ষা।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন ছাগলনাইয়ার রিক্তা

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি
শেয়ার
একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন ছাগলনাইয়ার রিক্তা
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নাহিদা আক্তার রিক্তা (২৫) নামের এক নারী। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। ওই দিনই ৫ সন্তানের জন্ম হয়। 

নাহিদা আক্তার রিক্তা ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসী আশরাফুল আলম হৃদয়ের সহধর্মিণী।

 

জানা যায়, ওই ৫ সন্তান স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ছেলে ও তিনজন কন্যা সন্তান। তবে এদের মধ্যে তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। 

এদিকে ৫ সন্তানের জন্মের খবর পেয়েই বিদেশ থেকে ফিরে আসেন বাবা আশরাফুল।

তাদের সন্তানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বাবা আশরাফুল।
 

মন্তব্য

তালায় বিতর্কিত সেই ইউএনও রাসেলের পক্ষে সাফাই গাইতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শেয়ার
তালায় বিতর্কিত সেই ইউএনও রাসেলের পক্ষে সাফাই গাইতে মানববন্ধন
ছবি : কালের কণ্ঠ

সাতক্ষীরা তালায় কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া বিতর্কিত ইউএনও শেখ রাসেলের পক্ষে সাফাই গেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় তালার সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ, উপজেলা দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজসহ উপজেলার ৭টি কলেজের ব্যানারে দুই দফায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শেখ রাসেল উপজেলার স্কুল ও কলেজ শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা জনপ্রতিনিধি ও উপজেলার সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ডেকে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ করার পর তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলা পরিষদ গেটে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের সন্নিকটে খুলনা পাইকগাছা সড়কে তালা খেয়াঘাট মোড়ে মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

খুলনা-পাইকগাছা সড়কে তেলের ব্যারেল, দোকানের তাক, বেঞ্চ, কাঠ ফেলে প্রথমে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজটের সৃষ্টি করে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০-৩০০ গজের মধ্যেই মাইকে উচ্চস্বরে আওয়াজ সৃষ্টি করে ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। 

স্থানীয় বি দে স্কুলের গেটের সামনে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রের সন্নিকটে আওয়াজের কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

এ সময় তারা তাদের প্রিয় সন্তানদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন। 

তালা উপজেলার মুড়াকলিয়ার গ্রামের অভিভাবকরা জানান, মানববন্ধনের কারণে মেইন রোডে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করায়, দূরপাল্লার যানবাহন কলেজ-স্কুল রোডে ঢুকে পড়ে। 

তালা বাজারের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন ভালো মানুষ। তিনি তালায় যোগদান করার পর থেকে উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।

তাকে সরানোর জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি এ উপজেলায় থাকলে তালার চিত্র পাল্টে যাবে।

মন্তব্য

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহে জেনারেটরের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নোমান মিয়া (২০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) শহরের পর্দা বিতান নামক একটি প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

নোমান হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়ামারা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি দোকানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী পদে কাজ করতেন।

আরো পড়ুন
কখন আম খাওয়া উচিত নয়

কখন আম খাওয়া উচিত নয়

জানা গেছে, রবিবার দুপুরের খাওয়ার পর দোকানের জেনারেটরের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে নোমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপর তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ