যে দুই কারণে মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ ছিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে দুই কারণে মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ ছিল
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার কারণে আজ শনিবার রাজধানীর সড়কে যাত্রীর যেমন চাপ ছিল, তেমন ছিল মেট্রো রেলেও। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানের লক্ষ্যে আজ যারা মেট্রোকে বেছে নিয়েছিলেন তাদের কিছুটা ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে।

শনিবার সকাল ও দুপুরে দুই দফা মেট্রো রেল চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল। পরে চালু হলেও স্বাভাবিক হতে পারেনি কয়েক ঘণ্টাতেও।

আরো পড়ুন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমন্বয়কদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমন্বয়কদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা

 

জানা যায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ ছিল।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সকালে ৯টা ৪৯ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ভর্তি পরীক্ষার কারণে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল। ওইসময় যাত্রীরা মেট্রো রেলের একটি কোচের দরজা পর্যন্ত এসে পড়ায় ওই দরজা বন্ধ হচ্ছিল না।

বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে দরজা খোলা থাকায় ১০ মিনিটের মতো ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

আরো পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন

 

পরে আবার উত্তরা উত্তর স্টেশনে ‘সিগন্যাল সিস্টেমে ত্রুটির’ কারণে দুপুর ১টা ৩২ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকায় মেট্রো রেল চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই সিগন্যাল সিস্টেমে পাওয়ার সাপ্লাই হয় দুটি ট্রান্সফরমার থেকে।

এর মধ্যে একটিতে সমস্যা হয়েছিল।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজধানীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
রাজধানীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হওয়া যুবক

রাজধানীর ডেমরায় এক কুয়েতপ্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) টেংরা লালশাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান ওই এলাকার সিরাজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার বাবার নাম আলমগীর হোসেন।

 

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তবে কিছুদিন ধরে নিয়ন্ত্রণহীন বিরক্ত করে আসছিলেন। পরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ভুক্তভোগী ওই নারী হাবিবুরের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে কাপড় পরিবর্তন করার সময় হাবিবুর ভুক্তভোগীর ছোট বোনের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন।

এ ঘটনা হাবিবুরের পরিবারের কাছে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে তার ছোট বোনের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখান হাবিবুর। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ওই নারীর বাসার সামনে বসে থাকতেন হাবিবুর। 

আরো পড়ুন

আবরার ফাহাদের স্বাধীনতা পদক প্রসঙ্গ, যা বললেন ফারুকী

আবরার ফাহাদের স্বাধীনতা পদক প্রসঙ্গ, যা বললেন ফারুকী

 

এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে হাবিবুর ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে পালিয়ে যান ওই যুবক।

এ ঘটনায় বাধা দিলে ওই নারীর দেবরকেও মারতে যান বলেও অভিযোগ হাবিবুরের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ও শালি একসঙ্গে থাকেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ওই নারী থানায় মামলা করলে হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য

চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে রাজনৈতিক কমিটমেন্টের বিকল্প নেই : কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে রাজনৈতিক কমিটমেন্টের বিকল্প নেই : কাদের গনি চৌধুরী
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করতে হলে রাজনৈতিক কমিটমেন্টের বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ যদি স্বল্প ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারে, তবে আমরা কেন পারব না? আমরা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি, অথচ স্বাস্থ্য খাতটিকে উন্নত করতে পারছি না। স্বাস্থ্য খাতের আমাদের দৈন্যতাবিপুলসংখ্যক রোগীর দেশের বাইরে চলে যাওয়া থেকেই বোঝা যায়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশি রোগীদের আকৃষ্ট করতে কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে।

বাংলাদেশের রোগীদের টার্গেট করে উন্নত মানের হাসপাতাল গড়ে তুলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সরকারি ও বেসরকারি খাত দেশে রোগী ধরে রাখার মতো কার্যকর কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে না। বরং রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের নেতিবাচক আচরণ, সেবার পরিবর্তে ব্যাবসায়িক মনোবৃত্তি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসা দিয়ে রোগীর আস্থা নষ্ট করে ফেলছে। বেশির ভাগ চিকিৎসক রোগীর আস্থা অর্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তারা পেশাটাকে সেবার পরিবর্তে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এ প্রবণতাই রোগীদের বিদেশমুখী করে তুলেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইউনানি আয়ুর্বেদিক গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আগড্যাব) আয়োজিত এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

আগড্যাব সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মেহেদী হাসান, যুগ্ম সচিব শফিউল আলম, ডা. আবু জাহের, ডা. গাউছুল আজম চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আগড্যাব মহাসচিব ডা. আমিনুল বারি কানন।

এ সময় একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী রোগীদের ৫৩ শতাংশ বিদেশ যান মূলত রোগ নির্ণয় বা চেকআপের জন্য। যত রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান তার ৫ শতাংশ চিকিৎসক। চিকিৎসার জন্য বিশ্বের যেসব দেশের মানুষ বিদেশে বেশি যায় সেই তালিকার দশম স্থানে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘বলা হয় বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় উন্নতি হয়েছে।

কিন্তু ভারতে সবচেয়ে বেশি রোগী যায় হৃদ‌রোগের অস্ত্রোপচারে। সারা দেশে ৩৪টি কেন্দ্রে হৃদ‌রোগের অস্ত্রোপচার হয়, এর মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রই ঢাকা শহরে। দেশের ৯৫ শতাংশ অস্ত্রোপচার হয় ঢাকায়। সারা দেশে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকলে পরিস্থিতি এমন হতো না।’

তিনি এ-ও বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গণ্য করতে হবে। উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থায় আধুনিক মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টসহ দক্ষ টেকনিশিয়ান গড়ে তুলতে হবে। চিকিৎসকদের ব্যবসার পরিবর্তে সেবামনস্ক হতে হবে এবং রোগীর সেবা মুখ্য হয়ে উঠতে হবে।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। এই অ্যাপ্রোনের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।’

মন্তব্য

ভিড়ের চাপে মেট্রোতে ঠেলে ঠেলে ঢোকাতে হচ্ছে লোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিড়ের চাপে মেট্রোতে ঠেলে ঠেলে ঢোকাতে হচ্ছে লোক
সংগৃহীত ছবি

কর্মজীবী নারী শাহনাজ পারভীন বাসায় গিয়ে ইফতার করবেন। তাই সড়কের যানজট এড়াতে দ্রুত বাসায় ফিরতে সাড়ে ৩টায় অফিস শেষে মেট্রো রেলের সচিবালয় স্টেশন যান। প্ল্যাটফরমে এসে দেখেন প্রচণ্ড ভিড়।

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে মেট্রো রেলের সচিবালয় স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের তীব্র ভিড়।

ট্রেন আসতেই মানুষ হুড়ােহুড়ি করছে ওঠার জন্য। ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রীকে বাধ্য হয়ে পরবর্তী ট্রেনে যাত্রা করতে হচ্ছে।

শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘দুটি ট্রেন চলে গেল উঠতে পারেনি। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

ট্রেনের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের ঠেলে ঠেলে মেট্রোর ভেতরে ঢোকাতে হচ্ছে।’

পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দিনেও মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী মেট্রো ট্রেনগুলোতে অফিসফেরত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে একটি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার তিন মিনিট পর কেউ যদি প্ল্যাটফরমে ওঠেন, তবে তিনি আর পরবর্তী ট্রেনে উঠতে পারছেন না। তাকে দ্বিতীয় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এমনও হয়েছে, কোনো কোনো যাত্রীর একটি পা ভেতরে রাখার মতো জায়গা নেই। ফলে ট্রেন থেকে তাদের নেমে যেতে হয়েছে।

মেট্রো রেলকর্মীরা ট্রেনের দরজায় থাকা যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন। তবে আজ দরজায় মানুষ আটকে যাওয়া বা ব্যাগ আটকে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা দেখা যায়নি।

কর্তৃপক্ষ জানায়, পবিত্র রমজান মাসে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফলে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী মেট্রো ট্রেনগুলোতে অফিস ফেরত যাত্রীদের চাহিদা বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।

সচিবালয় স্টেশন থেকে উত্তরার নিয়মিত যাত্রী সাদ্দাম বলেন, ‘রমজানের আগে বিকেলে এত ভিড় হতো না। ভিড় হতো অফিস ছুটির পরে, সন্ধ্যার আগে। এখন তো সরকারি অফিস বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে অফিস ছুটির পরে সবার তাড়া থাকে দ্রুত বাড়ি পৌঁছানোর। ফলে গতকাল থেকে মেট্রো রেলে অধিক ভিড় দেখা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, সাধারণ সময়ে বাসে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিরপুর-১০ নম্বরে যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তারপর বাসের ফ্যানগুলো থাকে নষ্ট, অসহ্য গরমে নাজেহাল হওয়ার মতো অবস্থা। সেই ক্ষেত্রে মেট্রো রেল একটা আশীর্বাদের বাহন। ঠেলাঠেলি করে কোনো রকম ট্রেনে উঠতে পারলেই ২৫ মিনিটের মধ্যে মিরপুর পৌঁছা যায়।

শরীফুল নামের একজন বলেন, ‘ইফতারের আগে বাসায় যাওয়ার জন্য মেট্রো রেলের বিকল্প নেই। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি প্রচণ্ড ভিড়। প্রথম ট্রেনে উঠতে পারেনি। দ্বিতীয় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। অন্য একজন যাত্রী নাজমুল বলেন, উত্তরা যাব। বাসে গেলে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারব কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। কষ্ট করে ট্রেনে উঠতে পারলে ৩৫ মিনিটের মধ্যে স্টেশনে পৌঁছাতে পারব, এটা নিশ্চিত। অফিস ছুটির পর প্ল্যাটফরমে এসে দেখি প্রচণ্ড ভিড়। ট্রেনে উঠতে পারব কি না, সেটাই বুঝতে পারছি না ‘

মেট্রো রেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) রমজানে মেট্রো রেলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে জানায়, সর্বপ্রথম মেট্রো রেল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সকাল ৭ট ১০ মিনিটে ছাড়বে ও সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়বে। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে সর্বপ্রথম ট্রেন সকাল সাড়ে ৭টায় এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। এই সময়সূচি অনুযায়ী পুরো রমজান মাস অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত চলবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে চারজনের মৃত্যু : ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে চারজনের মৃত্যু : ফায়ার সার্ভিস
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর শাহজাদপুরে একটি আবাসিক হোটেলের ভবনে আগুনে লাগার পর অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।

সোমবার (৩ মার্চ) আগুন নির্বাপণের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোনের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।

তিনি বলেন, ভবনটিতে আগুন লাগার পর হোটেলে থাকা চারজন ভয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ছাদে থাকা চিলেকোঠার দরজাটি বন্ধ ছিল।

ফলে অতিরিক্ত ধোঁয়ায় তারা মারা যান।

ভবনটির চিলেকোঠায় তিনজনের মরদেহ এবং একজনকে শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ছাদে যাওয়ার জন্য চিলেকোঠার দরজা বন্ধ ছিল। ধোঁয়ার কারণে আবাসিক হোটেলের ভেতরে যারা ছিলেন তারা বাঁচার জন্য ওপরের দিকে উঠে যান। ওপরে উঠতে গিয়ে তারা দেখতে পান ছাদের দরজা বন্ধ।

এরপর তারা আর সেখান থেকে বের হতে পারেননি। তাই মনে হচ্ছে ধোঁয়ার কারণেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

চার লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চারজনের মরদেহ ছাড়া দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুনের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। মালিক বা কর্তৃপক্ষের কাউকে আমরা পাইনি। কমিটি গঠনের পর তদন্ত করে আগুনের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ