পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজ বাসার দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম আশা খান (১৫)। তিনি আজিমপুর সাফিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজ বাসার দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম আশা খান (১৫)। তিনি আজিমপুর সাফিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত (পরিদর্শক) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, নিহত ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তার মৃত্যুর তদন্ত করছে।
নিহতের ভাই আশিক খান বলেন, বাসার দরজা ভেঙে আশাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
সম্পর্কিত খবর
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরায় জুলাই ব্রিগেড নামের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
বিস্তারিত ভিডিওতে...
।সমালোচনার মুখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক লেখক ড. আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আই অলরেডি রিজাইন্ড, পিস।’
গত ১৭ এপ্রিল এক অফিস আদেশে ড. আমিনুল ইসলামকে প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয় ডিএনসিসি।
এই আদেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা ঠিক উপদেষ্টা নয়।
ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি করেন তিনি। এখন উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।
শিক্ষকতার বাইরে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় লেখক আমিনুল ইসলাম। ২০২৩ সালে তার লেখা প্রবন্ধ ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ রকমারি বেস্ট সেলার পুরষ্কার পেয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরেও বইমেলায় প্রকাশিত দুইটি বই ‘নিলী নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ডিএনসিসি প্রশাসকের উপদেষ্টা নিয়োগের পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নেটিজেনরা বলছেন, ড. আমিনুল ইসলাম প্রায় ৫ মাস আগে উপদেষ্টা হতে নিজের ফেসবুকে আবেদন জানান।
দুই বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে এস্তোনিয়ার নাগরিক হন আমিনুল। ২০২২ সালের ২০ মার্চ ডেনমার্কে বাংলাদেশের দূতাবাসকে লেখা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বিষয়টি জানা যায়। তাতে আমিনুলের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে জানিয়ে তার পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সমালোচনার মুখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন লেখক ড. আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আমিনুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আই অলরেডি রিজাইন্ড, পিস।’
গত ১৭ এপ্রিল এক অফিস আদেশে ড. আমিনুল ইসলামকে প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয় ডিএনসিসি।
জানা গেছে, বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত ড. আমিনুল।
তার এই নিয়োগের পর অনেকেই তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগসহ নানা ইস্যু নিয়ে সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ইচ্ছাতেই নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
নিয়োগের সংবাদটি শুনে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নেটিজেনরা বলছেন, ড. আমিনুল ইসলাম প্রায় ৫ মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্টে নিজেকে উপদেষ্টা বানানোর জন্য সবার কাছে আকুল আবেদন জানান।
নেটিজেনরা বলছেন, আমিনুল ইসলাম প্রায়ই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সাত কলেজের ভিসি হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন।
আকরাম মজুমদার নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তিনি এত বড় দেশপ্রেমিক যে ২০২২ সালেই নিজের নাগরিকত্ব বাতিল করে ইউরোপের নাগরিক হয়েছিলেন।
এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ড. আমিনুলের ২০২২ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি আদেশের কপিও ভাইরাল হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা ছিল, আমিনুল ইসলামকে এস্তোনিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের যে আবেদন করেছেন সেটি মঞ্জুর করা হয়েছে।
নেটিজেনরা বলছেন, এই নিয়োগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল আলম ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, এ কথার কোনো ভিত্তি নেই।
এই নিয়োগের ব্যাপারে উপদেষ্টা মহোদয় (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) অবগত নন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ড. আমিনুলকে নিয়োগ নিয়ে জারি করা আদেশে উত্তর সিটি জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫৩ নং ধারা অনুযায়ী পরামর্শের প্রয়োজনে প্রশাসক মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক হিসেবে বিবেচিত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।
ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।
উত্তরা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ব্লাড গ্রুপ জানতে পেরেছে এবং রক্তদান সম্পর্কে সচেতন হয়েছে।
বিস্তারিত ভিডিওতে...