<p style="margin-bottom:13px">দুই বছর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই প্যানেলে ছিলেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারও। ভোটে ইলিয়াস কাঞ্চন বিজয়ী হলেও নিপুণ ও জায়েদ খানের বিষয় গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আবার নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। আগেই ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এবার আর নির্বাচন করছেন না। তিনি নানা কারণে শিল্পী সমিতির ওপর বিরক্ত।</p> <p>তবে তিনি জানিয়েছেন কেন গতবারের নির্বাচন করেছেন এই অভিনেতা। বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন তিনি।</p> <p>ইলিয়াস কাঞ্চনের ভাষ্য, ‘নির্বাচনে দাঁড়াতে নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ তাঁর প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে।’ </p> <p>কমিটি নিয়ে এত সমালোচনার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, ‘আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ত্রুটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না।’</p> <p>বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জানা গিয়েছিল, আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন নিপুণ আক্তার। কয়েক দিনের মধ্যেই প্যানেল ঘোষণা করবেন তিনি। এ ছাড়া সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আলাদা একটি প্যানেলে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন।</p>