<p style="margin-bottom:13px">ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ইদানিং ওটিটি ও চলচ্চিত্রেও নিজেকের জাহির করছেন। কিন্তু ছোটপর্দায় বিরতি দিয়ে নয়। বরং একইসঙ্গে নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করছেন গুণী এই অভিনেতা। তবে নাটকের নানা বিষয় নিয়ে খানিকটা বিরক্তই তিনি। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সেসব।</p> <p>মানহীন নাটকের কারণে দর্শকেরা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, এমন কথা হরহামেশাই শোনা যায়। তার পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিরক্তি-উদ্ভট নাম। নাটকগুলোর এমন নাম শুনে বিভিন্ন সময়ে বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেন নাট্যজনেরা। এবার নাটকের উদ্ভট নাম নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ করিম।</p> <p>তিনি বলেন, নাটকের অধিকাংশ নামই এখন ভালো না। আমি একবার একটা নাটকের কাজ করেছিলাম, তার নাম ‘বিরসকাব্য’। কিছুদিন পর নাটকটা দেখার সময় দেখি, এটার নাম ‘বউয়ের জ্বালা’। এ ঘটনাগুলো আমরা ঠেকাতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু এগুলো ঠেকানো যায়নি। আমরা ভিউয়ের জগতে ঢুকে গেছি, যেটাকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। অস্বীকার করার প্রয়োজনও নাই। তবে সেখানে আমার একটা দায়ও আছে। দায় হচ্ছে, আমার একটা নাটক দর্শক দেখবে; কিন্তু আমার সত্তাকে বিসর্জন দিয়ে না, উলঙ্গ হয়ে না। কারণ, আমি তো আসলে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।</p> <p>মোশাররফ করিম জানালেন, একটা গল্প প্রায়ই বলি। তা হচ্ছে- একটা লোক সারাজীবন গুড় খেয়ে আসছে। লোকে তো গুড় খায়, তাকে গুড় দাও-এটা প্রযোজক বা অন্য কেউও বলতে পারেন। একজন পরিচালক কিন্তু অন্যভাবে বলতে পারেন, লোকে গুড় খায়, কিন্তু তাকে আমি গুড়ের সন্দেশ খাওয়াব। খাওয়ার পর লোকেও বলবে, আরে আমি তো এটা খাইনি। দারুণ তো। ঠিক এই জায়গায় শিল্পীর দায় আছে। নামের ক্ষেত্রে অদ্ভুভ অদ্ভুত সব নাম। কিন্তু আমি আসলে যেটা পছন্দ করি, ভেতরের গল্পটা অ্যাটলিস্ট ঠিকঠাক হতে হবে।</p> <p>‘মাথা গরম জামাই’ নামের একটা নাটকে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এমন নাম নাটকে হতে পারে মনে করছেন তিনি। বললেন, ‘মাথা গরম জামাই’ নাটকের একটা নাম হতেই পারে। এর মধ্যে খারাপ কিছু নাই। অশ্লীল কিছু নাই। কিন্তু আমাদের শুনতে যেন কেমন লাগে।</p> <p>আগেকার দিনের উদাহরণ দিয়ে মোশাররফ করিম বললেন, ‘কত সুন্দর সুন্দর নাম আমাদের একটা সময় ছিল। আমাদের সময়ে সিনেমার নাম ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘কখগঘঙ’ নামের মধ্যে একটা সাহিত্যের ছোঁয়া ছিল। এখন সেই জায়গা থেকে আমরা খুব সহজ জায়গায় চলে আসছি। মানুষের খুব কাছে চলে আসছি, সাহিত্য থেকে নেমে এসেছি। এটা কিন্তু সাহিত্যের ক্ষেত্রেও ঘটছে।</p>