অস্কারযাত্রা শেষ হলেও এবার আইফা অ্যাওয়ার্ডে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছে ‘লাপাতা লেডিস’। সদ্য ঘোষিত আইফা অ্যাওয়ার্ডে দশটি পুরস্কার জয় করে কিরণ রাওয়ের সিনেমাটি। সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, সেরা সংগীতসহ দশটি পুরস্কার ঘরে তোলে সিনেমাটি। সেই সঙ্গে বেস্ট অরিজিনাল স্টোরি’র পুরস্কার পেয়েছেন লাপাতা লেডিসের লেখক বিপ্লব গোস্বামী।

আরো পড়ুন

কবর থেকে তোলা হলো তানজিন তিশার সহকারীর লাশ

 

কালের কণ্ঠের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে বিপ্লব গোস্বামী জানান, তিনি সৌভাগ্যবান। ‘সেরা মৌলিক গল্পকার’ হিসেবে আইফা পুরস্কার পেয়ে এ লেখক বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান।

ভবিষ্যতের কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘আমার হাতে এখন দুটি প্রজেক্ট রয়েছে। একটি বম্বের (বলিউড) কাজ, অপরটি সাউথের। বলিউডের কাজটি আমিই পরিচালনা করছি। এটা আমারই লেখা। এতে পরিচিত মুখের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবে। যেহেতু আমার গল্পগুলোতে সামাজিক বার্তা থাকে তাই এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। বলিউডের পাশাপাশি সাউথের জনপ্রিয় এক নির্মাতার সঙ্গে আরেকটি বড় প্রজেক্টে কাজ করছি। সেখানে বড় বড় তারকাদের দেখতে পাবেন। সেটিও আমার লেখা।’

‘লাপাতা লেডিস’ ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। সিনেমাটির কল্যাণে বিপ্লব গোস্বামীও এখন তুমুল জনপ্রিয় বাংলাদেশে। তাই প্রতিবেশী দেশের ভক্ত অনুরাগীদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি এ লেখক। বাংলাদেশের ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ভক্তদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা সবাই আমাকে ভালোবাসেন জানি। আপনাদের জন্যও ভালোবাসা। আমার খুব ভাল লাগে যে বাংলাদেশের মানুষ আমার কাজের প্রশংসা করে। আমার কাজ দেখেছে। সবার জন্য শুভ কামনা।’

এর আগে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এ গুণী লেখক। সামনে আবারও বাংলাদেশে ঘুরতে আসার প্রত্যাশা জানিয়ে লেখক বলেন, ‘আমার ইচ্ছা অনেক। শিগগিরই আসব বাংলাদেশে। আমি এখননো কক্সবাজার দেখিনি। কক্সবাজার দেখার ইচ্ছা আছে। বাংলাদেশে কাজ করারও ইচ্ছা আছে। যদি কখনো সম্ভব হয় করব। কাজ ছাড়াও আমি আপনাদের ওখানে আসব, ঘুরব। বাংলাদেশের মানুষও আমার আপনজন।’

২০১৮ সালে একটি জাতীয় চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতায় বিপ্লব গোস্বামীর লেখা চিত্রনাট্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। প্রায় চার হাজার চিত্রনাট্য থেকে বিপ্লবের লেখা বাছাই করা হয়। আমির খান তাঁর চিত্রনাট্যের স্বত্ব কিনে নেন। সেই চিত্রনাট্য নিয়ে সিনেমা প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত নেন আমির। পরিচালক তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। সে গল্প থেকেই নির্মিত হয় লাপাতা লেডিস, যা দর্শক ও সমালোচকদের মন জয়ের পাশাপাশি পৌঁছে যায় অস্কারের মঞ্চেও।

আরো পড়ুন

বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

 

রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘স্নিগ্ধা সারথী’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সাদিয়া আয়মান হিসেবে চালানো হয়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে স্নিগ্ধার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে লোকেশন হিসেবে দেখা যায় ভারতের।

এ ছাড়া অন্য পোশাকে আরো কয়েকটি ছবি সাদিয়া আয়মানের নামে চালানো হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘দিল মারিয়ান নেহা’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

পাশাপাশি একই নারীর টিকটক অ্যাকাউন্টে একই পোশাক পরিহিত তার একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যা আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

আরো পড়ুন

সম্পর্ক ভেঙে গেছে সামিরা খান মাহির!

 

এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো এই বিতর্কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ইমান নিজেই। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্ট করে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানালেন, ‘ইন্টারনেটে যা রটেছে, তা একেবারেই বিভ্রান্তিকর।

সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রী ইমান আরো লেখেন, ‘প্রথমেই বলতে চাই, কাশ্মীরের পেহেলগামে যা ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা করি। স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। আর এবার বলতে চাই।

আরো পড়ুন

হাসি শেয়ার করা গেলে কান্নাও শেয়ার করা যায়

 

অভিনেত্রী লেখেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার এবং আমার পরিবারের সঙ্গে পাক সেনা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আমেরিকার বাসিন্দা এবং ভারতকন্যা। হিন্দি, তেলুগু, গুজরাটি এবং ইংরেজি বলতে পারি।

গত বছর দিল্লিতে নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হয়। সেখানেও বেশ প্রশংসা কুড়ায়।

এ নাটকের চরিত্র সংখ্যা প্রায় ৪০টি। এসব চরিত্র হলো সূর্য সেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল, নেত্র সেন, বাঙালি উকিল প্রমুখ। এসব চরিত্র রূপায়ণ করছেন নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মনজুরুল ইসলাম নানটু, শাহনাজ পারভিন জয়া, মামুনুর রশীদ, শ্যামল হাসান, সাবিহা জামান, আক্তার হোসেন, তারেক আলী মিলন, আতিক, রবিউল মিলটন, আল আমিন, সুমন ঘোষ, নিপা প্রমুখ।

নাটকটির লাইট ডিজাইন এবং প্রক্ষেপণে রয়েছেন জাকারিয়া কিরন, সংগীতায়োজনে রয়েছেন আবুল বাশার সোহেল।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।