কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনায় থাকা পরীমনি এবার কাজে মনযোগ দিয়েছেন। নিজেকে ভেঙ্গে গড়ছেন নতুন করে। নতুন নতুন চরিত্রে হাজির হয়ে মুগ্ধ করছেন দর্শকদেরও। অভিনয়ের পাশপাশি এই নায়িকার রূপের রহস্য নিয়ে নেটিজেনদের মনে প্রায় সময়ই প্রশ্ন উঁকি দেয়।
রূপের রহস্য জানালেন পরীমনি
বিনোদন প্রতিবেদক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপনের দৃশ্যে পরীমনি তার রূপের রহস্যের কথা জানিয়েছেন। শেয়ার করা ভিডিওতে পরী আবারো তার চিরচেনা সেই লাস্যময়ী রূপেই নেটিজেনদের মাঝে ধরা দিয়েছেন।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা সবাই ব্যস্ত কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়া কী বিলাসিতা।’ এরপর বলেন, ‘মোটেও না নিজের যত্ন নেওয়া মানে নিজেকে ভালোবাসা।
এর পর রূপের রহস্যের কথা উল্লেখ করে পরী বলেন, ‘একটা ভালো অনুভূতি, পুরো দিন বদলে দিতে পারে। একটুখানি যত্ন পারে এনে দিতে নতুন আত্মবিশ্বাস। নিজেকে ভালোবাসো নিজের যত্নে। আমার রূপের রহস্য রোজ শাওয়ার জেল।
সম্পর্কিত খবর

ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক

ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব ছিলেন একজন ভারতীয় সানাই বাদক। ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। সানাইকে উচ্চাঙ্গ সংগীত বাদনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে এই অমর শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
১৯১৬ সালের ২১ মার্চ (আজকের এই দিনে) বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাও গ্রামে বিসমিল্লাহ খান জন্মগ্রহণ করেন।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের পূর্বপুরুষেরা বিহারের ডুমরাও রাজ্যের রাজ সংগীতজ্ঞ ছিলেন। তার সংগীত গুরু ছিলেন প্রয়াত আলী বকস্ বিলায়াতু।
সানাইকে ভারতের উচ্চাঙ্গ সংগীত জগতের যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার একক কৃতিত্ব ভারতের উচ্চাঙ্গ ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেবের। ১৯৩৭ সালে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে একে ভারতীয় সংগীতের মূল মঞ্চে নিয়ে আসেন তিনি।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিল্লির লাল কেল্লায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে বিসমিল্লাহ খান সাহেব তার অন্তরের মাধুরী ঢেলে রাগ কাফি বাজিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সারা ভারতবর্ষকে।
আফগানিস্তান, ইউরোপ, ইরান, ইরাক, কানাডা, পশ্চিম আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জাপান, হংকং সহ পৃথিবীর প্রায় সকল রাজধানী শহরেই ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব তার সঙ্গীত প্রভা ছড়িয়েছেন।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, তানসেন পুরস্কার, মধ্য প্রদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তালার মৌসিকী, ইরান প্রজাতন্ত্র, সংগীত নাটক একাডেমির ফেলো, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন।

অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার, যা বললেন অনন্ত
অনলাইন ডেস্ক

‘হাতে তিন-চারটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করতে চাই না।’ এভাবেই এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্র নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এরপর আর সিনেমা করাটাও সুন্দর দেখায় না।
জানা যায়, ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার।
বর্ষা বলেন, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। তত দিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তা-ও সে এ কথা বলছে।’
এরপর বর্ষা বলেন, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অনন্ত জলিলের অভিনয় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে এলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’

মাঝরাতে রুমে গিয়ে প্রস্তাব, অক্ষয়কে ফিরিয়ে দেন আয়েশা
বিনোদন ডেস্ক

তিনি বলিউড খিলাড়ি। নিজের সোনালি সময়ে ভক্ত অনুরাগীদের কাছে যেমন ছিলেন প্রত্যাশিত, তেমনি নায়িকাদের হৃদয়েও ঝড় তুলেছেন বারবার। সহ-অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের হিট নায়িকা শিল্পা শেঠিদের হৃদয়ের পুরুষ ছিলেন। তবে সেই অক্ষয় কুমার কিনা মাঝরাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে যান আরেক নায়িকার বাড়িতে।
নব্বইয়ের দশকে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমা করেছেন অক্ষয় কুমার ও আয়েশা জুলকা। মিষ্টি নায়িকা আয়েশা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রযোজকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন। ঋষি কাপুর, অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, আমির খান- বলিউডের তাবড় তাবড় নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধুই তাই নয়, নীতিশ ভরদ্বাজ, বিবেক মুসরান, কামাল সাদানার মতো নতুন হিরোদের সঙ্গে জুটি বেঁধেও একের পর এক হিট দিয়েছেন আয়েশা।
শোনা যায়, আয়েশাকে নাকি দারুণ পছন্দ ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। গুঞ্জন রটেছিল ‘দালাল’ সিনেমার পর আয়েশাও নাকি মিঠুনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ঠিক এই সময়ই এন্ট্রি নেন অক্ষয়। ‘খিলাড়ি’ সিনেমায় আয়েশার সঙ্গে জুটি বাধার পরই শুটিংয়ের বাইরে অক্ষয়ের প্রেম শুরু!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টিভি নাইন বাংলা’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবর নিয়ে বলিউডে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
জানা গেছে, আয়েশার ঘরে ঢুকে নাকি প্রেমের প্রস্তাব দেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তবে তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাবকে নাকচ করেন আয়েশা। কেননা, অক্ষয়ের স্বভাবের কথা তিনি জানতেন।
অক্ষয় ও আয়েশা বেশ কিছু হিট সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘খিলাড়ি’, ‘ওয়াখত হামারা হ্যায়’, ‘জয় কিষান’, ‘বারুদ’-এর মতো সিনেমা। বর্তমানে অক্ষয় বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়ক হলেও আয়েশা রয়েছেন বলিউড থেকে অনেকটাই আড়ালে।

যে কারণে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকেন সালমা হায়েক
বিনোদন প্রতিবেদক

বিশ্ব এখন প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষের দিন শুরু হয় প্রযুক্তি দিয়ে। জীবনযাপনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই প্রযুক্তির ছোঁয়া। তবে প্রযুক্তিময় পৃথিবীতে ব্যতিক্রমী কিছু মানুষও রয়েছেন যারা নিজেদের রেখেছেন এই যান্ত্রিকতার বাইরে।
সালমা হায়েক বলেন, তিনি যতটা সম্ভব প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।
ম্যারি ক্লেয়ার ম্যাগাজিনকে সালমা হায়েক বলেন, ‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মানুষের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দেয়, কারণ এতে মস্তিষ্ক অলস হয়ে পড়ে। আমি সবকিছু হাতে লিখি।
সালমা হায়েকের আরো কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হায়েক আরও জানান, তিনি বেশ কয়েকটি লাভজনক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, এবং তার স্বামী তার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেন। তবে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন যে, প্রচুর অর্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি অর্থ নিয়ে আলোচনা পছন্দ করেন না, বিশেষ করে অন্য ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে।