গল্প হলেও সত্যি

মঞ্জুম্মেল বয়েজ : মৃত্যুকে হারিয়ে বন্ধুত্বের জয়ী হওয়ার গল্প

  • মালয়ালম সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা এটি
  • ২০ কোটির বাজেটে নির্মিত সিনেমাটির আয় ২৪২ কোটি
  • বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি বিদেশেও সাড়া ফেলে
শঙ্খনীল দেব

শঙ্খনীল দেব

শঙ্খনীল দেব
শঙ্খনীল দেব

শঙ্খনীল দেব

শঙ্খনীল দেব
শেয়ার
মঞ্জুম্মেল বয়েজ : মৃত্যুকে হারিয়ে বন্ধুত্বের জয়ী হওয়ার গল্প
‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’

সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয়, বরং সিনেমা আমাদের বাস্তব জীবনকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার সুযোগ করে দেয়। সিনেমা কাল্পনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শকদের শুধু মুগ্ধই করে না, বরং অনুপ্রাণিতও করে। কখনো ভাবায়, কখনো বা আবেগে ভাসায়। আর সেই সিনেমা যদি তৈরি হয় সত্য ঘটনা অবলম্বনে, তাহলে তা হয়ে উঠে শিক্ষণীয়।

ইতিহাস, বীরত্ব, সংগ্রাম কিংবা বেঁচে থাকার লড়াই—এইসব গল্প যখন রুপালি পর্দায় উঠে আসে তখন তা শুধু সিনেমা নয়, হয়ে ওঠে এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। তবে কিছু গল্প যেমন হুবহু সত্য ঘটনা থেকে নির্মিত, আবার কিছু গল্প নেওয়া হয় সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা বিভিন্ন বই-উপন্যাস থেকে। যেগুলো সত্য ঘটনার প্রতিচ্ছবি হিসেবেই ধরা হয়।
 
রুপালি পর্দায় সত্য ঘটনা অবলম্বনে অসংখ্য সিনেমা নির্মিত হয় প্রতিবছর।
যেখানে উঠে আসে বাস্তব জীবনের সত্য। পর্দায় গল্প আকারে হাজির হলেও বাস্তবে রয়েছে তার অস্তিত্ব। যা গল্প হলেও সত্যি। আজকের আয়োজনে থাকছে এমন এক সিনেমার গল্প, যা বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
আজকের গল্প ‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’-কে ঘিরে।

আরো পড়ুন
‘১২৭ আওয়ারস’ : মৃত্যুর দুয়ারে টিকে থাকার এক অবিশ্বাস্য লড়াই

‘১২৭ আওয়ারস’ : মৃত্যুর দুয়ারে টিকে থাকার এক অবিশ্বাস্য লড়াই

 

‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’ একটি বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্র। ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অসাধারণ সারভাইভাল থ্রিলারটির নির্মিত হয়েছে কেরালার কোচির মঞ্জুম্মেল এলাকার একদল বন্ধুকে ঘিরে, যারা মজার ছলেই কোড়াইকানালের বিখ্যাত ‘গুনা গুহা’ ঘুরতে যায়। এই গুহা একদিকে যেমন রহস্যময়, তেমনই বিপজ্জনক। একে শয়তানের গুহাও বলা হয়।

বন্ধুরা যখন সেখানে দলবেঁধে অ্যাডভেঞ্চারের মজা নিতে ব্যস্ত, তখন তাদের একজন, সুবি (শ্রীনাথ ভাসি অভিনীত চরিত্র) হঠাৎ করেই দুর্ঘটনাবশত গুহার গভীরে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আনন্দঘন ভ্রমণ রূপ নেয় এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্নে। এরপর শুরু হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। টান টান উত্তেজনায় এগিয়ে যায় গল্প।

গুহার গভীরে পড়ে যাওয়া সুবিকে উদ্ধারের জন্য বাকি বন্ধুরা আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সমস্যা একটাই—গুহাটি এতটাই গভীর ও সংকীর্ণ যেকোনো সাধারণ উপায়ে সেখানে নামা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীদের সাহায্য পেতে দেরি হওয়ায় বন্ধুরা নিজেরাই উদ্ধারের পরিকল্পনা করতে শুরু করে। এই সময়েই বন্ধুত্বের প্রকৃত পরীক্ষা শুরু হয়। একজন বন্ধুর জীবন বাঁচাতে অন্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিভাবে তারা এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করল, কিভাবে সুবিকে জীবিত উদ্ধার করল! জানতে হলে দেখে নিন চমৎকার মালয়ালম এ সিনেমাটি। 

আরো পড়ুন
১২০ কোটি কর দিলেন, গতবছর কত আয় করেছেন অমিতাভ?

১২০ কোটি কর দিলেন, গত বছর কত আয় করেছেন অমিতাভ?

 

২০০৬ সালে ঘটে যাওয়া বাস্তব এই ঘটনায়, সেই বন্ধু দলের সদস্য সিজু ডেভিস অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ১২০ ফুট গভীর ফাটল থেকে তার বন্ধু সুবাসকে বাঁচিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সিনেমার কারণে সেই ঘটনা আবারও আলোচনায় এসেছে, যেখানে তামিলনাড়ুর স্বরাষ্ট্র সচিব পি. আমুধা রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালককে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গুনা গুহায় ঘুরতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ জনেরও বেশি পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। 

এর আগে, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুহায় পড়ে যাওয়া সেই সুবাস জানিয়েছেন, তিনি সেই গুনা গুহায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করেন আজও। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অনুশোচনা তো করি। তবে এখন আমি দেখছি, আমার গল্প থেকে মানুষ অনুপ্রেরণা নিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটি বিপদে পড়া মানুষদের উৎসাহ জোগাতে সহায়তা করছে। এছাড়াও, পুরনো বন্ধুরা আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। আগে আমি ভাবতাম, কেন আমি বেঁচে গেলাম! এখন আমি বুঝতে পারছি – হয়তো অন্যদের আশার আলো দেখানোর জন্য বেঁচেছি আ। আমি এর জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

আরো পড়ুন
কেউ বাদ নেই! ডেটিং প্রসঙ্গে কার্তিককে খোঁচালেন নোরা ফাতেহি

কেউ বাদ নেই! ডেটিং প্রসঙ্গে কার্তিককে খোঁচালেন নোরা ফাতেহি

 

চিদাম্বরমের পরিচালনায় ‘মঞ্জুম্মেল বয়েজ’ মুক্তি পায় ২০২৪ সালে। সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রতিটি চরিত্রই বাস্তবধর্মী ও প্রাণবন্ত ছিল পর্দায়। বিশেষ করে শ্রীনাথ ভাসি, সৌবিন শাহির, দীপক পরমবল, বালু ভার্গিসদের বন্ধুত্বের যে আবেগ ফুটিয়ে তুলেছেন, তা দর্শকের মনে গভীর দাগ কাটে। পরিচালক চিদাম্বরম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গল্পটিকে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। সিনেমার টানটান উত্তেজনা, আবেগ ও বাস্তববাদী উপস্থাপন সিনেমাটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মাত্র ২০ কোটি বাজেটে নির্মিত সিনেমাটি ২৪২ কোটি টাকা আয় করে বক্স অফিসের পাশাপাশি দর্শক সমালোচকদের মনও জয় করেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কিংবদন্তি অভিনেতা আল পাচিনোর জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কিংবদন্তি অভিনেতা আল পাচিনোর জন্মদিন আজ
সংগৃহীত ছবি

আলফ্রেদো জেমস "আল" পাচিনোর জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের ২৫ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) জন্মগ্রহন করেন একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী এ  কিংবদন্তিতূল্য মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাকে চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেতার একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুন
এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

 

চলচ্চিত্রে ব্যাপক উপস্থিতি এবং অভিনীত চরিত্রগুলির বৈচিত্রময়তার দিক দিয়ে বিচার করলে তার জুড়ি হতে পারেন কেবল মার্লোন ব্রান্ডো এবং রবার্ট ডি নিরোর মতো মহান অভিনেতাগণ।

গডফাদার এবং ডগ ডেই আফটারনুন এর মতো অমর চলচ্চিত্রে অতুলনীয় অভিনয় অভিনেতা হিসাবে পাচিনো'কে নিয়ে গেছে অনতিক্রম্য উচ্চতায়।

আল পাচিনো নিউ ইয়র্ক সিটি ম্যানহাটন বরয় তার ইতালীয়-মার্কিন মা-বাবা সালভাতোর পাচিনো এবং রোজ গেরার্ডির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাচিনোর বয়স যখন দশ বছর বয়স তখন তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে পাচিনো আর তার মা তার নানা-নানি, কেট ও জেমস জেরার্ডির সঙ্গে থাকতে দি ব্রনস, নিউইয়র্কে চলে আসেন।

তারা এসেছিলেন সিসিলির করলিয়ন থেকে।

আরো পড়ুন
কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নন ট্রাম্প

কিয়েভে রুশ হামলায় খুশি নন ট্রাম্প

 

আল পাচিনোর বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার কভিনাতে চলে যান এবং সেখানে একজন বীমা সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন এবং তার নিজস্ব রেস্তোঁরা পাচিনো'স লঞ্জ খোলেন। পাচিনোর ম্যানহাটন’স স্কুল অফ পারফরমিং আর্টস এ ভর্তি হন। সংকটাবস্থার জন্য ১৯৯০ এর শুরুর দিকে “পাচিনো’স” বন্ধ হয়ে যায় যা এখন “সিট্রাস গ্রিল” নামে পরিচিত।

আল পাচিনোর বাবা সালভাতোর পাচিনো ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

অবিবাহিত এবং চিরকুমার থাকা স্বত্ত্বেও, পাচিনোর তিনটি সন্তান আছে। এদের প্রথমজন জুলি মারি। যার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কোচ জ্যান ট্যারাণ্টের সম্পর্ক রয়েছে। তার সঙ্গে অভিনেত্রী বেভারলি ডি, এনজেলোরসম্পর্ক ছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত।

তাদের ঔরসজাত দুইজন যমজ সন্তান রয়েছে, এন্টন জেমস ও অলিভিয়া রোস।

গডফাদার ট্রিলজির সহশিল্পী ডায়ান কিটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আল পাচিনোর। আর যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তারা হলেন- মারথা কেলার, লিনডেল হবস, কেথালিন কুইনলান, টুইসডে ওয়েড।

মন্তব্য

এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে দেহরক্ষী লাগে ঠিকই; কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।

বৃহস্পতিবার রাতে সেলফিবাজদের ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।

স্বস্তিকা লেখেন, আমি এখন থেকে আর কোনো ছবির প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না। পরের ছবিরও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের।
 

কারণ অনেক জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে, এই কাজটা আসছে। 

অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না।

যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউলে মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এলো, মাঝরাতে থাম্বস আপ আনতে ছুটল, তাকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। 

তিনি লেখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হতো।

পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্রি করেছে তাকেও। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব। 

তিনি লেখেন, সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হবো জানিনা। 
হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাৎসি। আর কোনো ডেকোরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। 

আরো পড়ুন
ঘর পরিষ্কারে ভিনেগারের অসাধারণ ব্যবহার

ঘর পরিষ্কারে ভিনেগারের অসাধারণ ব্যবহার

 

বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরো কয়েকশো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না। ধন্যবাদ।

মন্তব্য

নামের আগে হিরো লাগালেই কি হিরো হওয়া যায় : ম্যাক্স অভি (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নামের আগে হিরো লাগালেই কি হিরো হওয়া যায় : ম্যাক্স অভি (ভিডিওসহ)

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে উদ্দেশ করে ইউটিউবার ম্যাক্স অভি রিয়াজ ‘কালের কণ্ঠ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নামের আগে হিরো লাগালেই কি হিরো হওয়া যায়। উনি কাজকর্মে কী এমন হিরোগিরি দেখাইছেন, উনি কি স্টার, মেগাস্টার?’

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

ভাইরাল ছবিগুলো কি সাদিয়া আয়মানের?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভাইরাল ছবিগুলো কি সাদিয়া আয়মানের?
সংগৃহীত ছবি

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনত্রী সাদিয়া আয়মান দাবি করে কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। গেল কয়েক দিনে এই অভিনেত্রীর দুই পোশাকে বিকৃত ৮টির বেশি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ফ্যাক্ট চেক করে দেখা গেছে, ছবিগুলো সাদিয়া আয়মানের নয়।

রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক নারীর ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোতে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে সাদিয়া আয়মানের মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

পরে ছবিগুলো প্রচারও করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নাম্বার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

 

রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘স্নিগ্ধা সারথী’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সাদিয়া আয়মান হিসেবে চালানো হয়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে স্নিগ্ধার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে লোকেশন হিসেবে দেখা যায় ভারতের।

অর্থাৎ এই ছবিগুলোতে সাদিয়া আয়মানের মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।

1234567

এ ছাড়া অন্য পোশাকে আরো কয়েকটি ছবি সাদিয়া আয়মানের নামে চালানো হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘দিল মারিয়ান নেহা’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে লোকেশন হিসেবে দেখা যায় বাংলাদেশের।

98765

পাশাপাশি একই নারীর টিকটক অ্যাকাউন্টে একই পোশাক পরিহিত তার একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যা আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ