পরনে সাদা-লালপাড় শাড়ি, সঙ্গে নুডলস স্ট্র্যাপ ব্লাউজ। চোখে সানগ্লাস, তার সামনে চুল। যাকে বলে নববর্ষের সাজে সাহসিকতার ছোঁয়া। এমনই একটি রিল পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে কলকাতার অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী।
পরনে সাদা-লালপাড় শাড়ি, সঙ্গে নুডলস স্ট্র্যাপ ব্লাউজ। চোখে সানগ্লাস, তার সামনে চুল। যাকে বলে নববর্ষের সাজে সাহসিকতার ছোঁয়া। এমনই একটি রিল পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে কলকাতার অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো ওই রিলটিতে কখনো অভিনেত্রী ঘোড়সওয়ার। কখনো আবার তিনি ময়দানে দৌড়চ্ছেন। ইতিমধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
তবে এখন এই বিষয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চান না নেটিজেনরা।
অনেকেই লিখছেন, সাজগোজ একেবারেই রুচিহীন। কেউ কেউ আবার আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় থাকলে এই রিলটি অভিনেত্রীর শেয়ার করাই উচিত হয়নি।
বলে রাখা ভালো, প্রয়াত সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে ঊষসী বামমনস্ক।
সম্পর্কিত খবর
আলফ্রেদো জেমস "আল" পাচিনোর জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের ২৫ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) জন্মগ্রহন করেন একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী এ কিংবদন্তিতূল্য মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাকে চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেতার একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
চলচ্চিত্রে ব্যাপক উপস্থিতি এবং অভিনীত চরিত্রগুলির বৈচিত্রময়তার দিক দিয়ে বিচার করলে তার জুড়ি হতে পারেন কেবল মার্লোন ব্রান্ডো এবং রবার্ট ডি নিরোর মতো মহান অভিনেতাগণ।
আল পাচিনো নিউ ইয়র্ক সিটি ম্যানহাটন বরয় তার ইতালীয়-মার্কিন মা-বাবা সালভাতোর পাচিনো এবং রোজ গেরার্ডির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাচিনোর বয়স যখন দশ বছর বয়স তখন তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে পাচিনো আর তার মা তার নানা-নানি, কেট ও জেমস জেরার্ডির সঙ্গে থাকতে দি ব্রনস, নিউইয়র্কে চলে আসেন।
আল পাচিনোর বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার কভিনাতে চলে যান এবং সেখানে একজন বীমা সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন এবং তার নিজস্ব রেস্তোঁরা পাচিনো'স লঞ্জ খোলেন। পাচিনোর ম্যানহাটন’স স্কুল অফ পারফরমিং আর্টস এ ভর্তি হন। সংকটাবস্থার জন্য ১৯৯০ এর শুরুর দিকে “পাচিনো’স” বন্ধ হয়ে যায় যা এখন “সিট্রাস গ্রিল” নামে পরিচিত।
অবিবাহিত এবং চিরকুমার থাকা স্বত্ত্বেও, পাচিনোর তিনটি সন্তান আছে। এদের প্রথমজন জুলি মারি। যার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কোচ জ্যান ট্যারাণ্টের সম্পর্ক রয়েছে। তার সঙ্গে অভিনেত্রী বেভারলি ডি, এনজেলোরসম্পর্ক ছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত।
গডফাদার ট্রিলজির সহশিল্পী ডায়ান কিটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আল পাচিনোর। আর যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তারা হলেন- মারথা কেলার, লিনডেল হবস, কেথালিন কুইনলান, টুইসডে ওয়েড।
টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে দেহরক্ষী লাগে ঠিকই; কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
বৃহস্পতিবার রাতে সেলফিবাজদের ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
কারণ অনেক জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে, এই কাজটা আসছে।
অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না।
তিনি লেখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হতো।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।
তিনি লেখেন, সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হবো জানিনা।
হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাৎসি। আর কোনো ডেকোরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।
বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরো কয়েকশো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না। ধন্যবাদ।
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে উদ্দেশ করে ইউটিউবার ম্যাক্স অভি রিয়াজ ‘কালের কণ্ঠ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নামের আগে হিরো লাগালেই কি হিরো হওয়া যায়। উনি কাজকর্মে কী এমন হিরোগিরি দেখাইছেন, উনি কি স্টার, মেগাস্টার?’
বিস্তারিত ভিডিওতে...
।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনত্রী সাদিয়া আয়মান দাবি করে কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। গেল কয়েক দিনে এই অভিনেত্রীর দুই পোশাকে বিকৃত ৮টির বেশি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ফ্যাক্ট চেক করে দেখা গেছে, ছবিগুলো সাদিয়া আয়মানের নয়।
রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক নারীর ছবি সংগ্রহ করে সেগুলোতে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে সাদিয়া আয়মানের মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘স্নিগ্ধা সারথী’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সাদিয়া আয়মান হিসেবে চালানো হয়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে স্নিগ্ধার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে লোকেশন হিসেবে দেখা যায় ভারতের।
এ ছাড়া অন্য পোশাকে আরো কয়েকটি ছবি সাদিয়া আয়মানের নামে চালানো হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান বলছে, ‘দিল মারিয়ান নেহা’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত কিছু ছবির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ছবিগুলোতে মুখমণ্ডল ছাড়া অন্য সব কিছুতে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
পাশাপাশি একই নারীর টিকটক অ্যাকাউন্টে একই পোশাক পরিহিত তার একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যা আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।