সার্জারির পর হাসতে পারছেন না অভিনেত্রী, কপালও ফুলে গেছে!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সার্জারির পর হাসতে পারছেন না অভিনেত্রী, কপালও ফুলে গেছে!
সংগৃহীত ছবি

ছোট পর্দায় নিজের পরিচিতি তৈরি করে বড় পর্দায় উত্তরণ হয় ওপার বাংলার অভিনেত্রী মৌনির। বেশ কিছু বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন।

মৌনির অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও উৎসাহের অন্ত নেই। তার নির্মেদ চেহারা ও শারীরিক গঠন নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনুরাগী মহলে।

 

এবার মৌনির মুখের আদল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৌনি নাকি এমন অস্ত্রোপচারের করিয়েছেন যে আর হাসতে পারছেন না। এমনকি তার কপালের দুটি দিক ফুলে রয়েছে। এই জল্পনা কতটা সত্যি সে বিষয়ে মুখ খুললেন মৌনি।

আরো পড়ুন
৫৬-তেও শরীরে তারুণ্যের ছোঁয়া, কী খান অভিনেত্রী!

৫৬-তেও শরীরে তারুণ্যের ছোঁয়া, কী খান অভিনেত্রী!

 

সম্প্রতি নিজের আসন্ন ছবির প্রচারে যান মৌনি। সেখানেই নায়িকার মুখের অঙ্গভঙ্গি দেখে খানিক খটকা লাগে ভক্তদের। শুরু হয় গুঞ্জন। মৌনির আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার অমিল দেখছেন ভক্তরা।

যার মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে অভিনেত্রীর কপাল ও ঠোঁট। 

তার দিন কয়েক পর ফের দেখা গেল মৌনিকে। তখনো যেন সেই একই গুঞ্জন অব্যাহত। ভক্তদের মতে, মৌনি এত অস্ত্রোপচার করিয়েছেন যে মুখের গড়ন বদলে গেছে। 

এই প্রসঙ্গে মৌনি বলেন, ‘আমি এসব নেতিবাচক মন্তব্য দেখি না, পাত্তাও দিই না।

তারা তাদের কাজ করুক না, আমি পাত্তা না দিলেই হলো। কেউ যদি সমাজমাধ্যমের আড়ালে থেকে মানুষকে ট্রোলড করতে চায় করুক। যদি এ ধরনের কাজ করে আপনারা খুশি পান তা হলে তা-ই সই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মাদক সেবন করে মারধর করেন পরীমনি, অভিযোগ গৃহকর্মীর

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
মাদক সেবন করে মারধর করেন পরীমনি, অভিযোগ গৃহকর্মীর
পরীমনি

মেকআপ রুম থেকে মাদক সেবন করে এসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে ভুক্তভোগী গৃহকর্মী পিংকি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় পরীমণির সঙ্গে আরও আসামি করা হয়েছে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করা সৌরভ (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

পিংকি আক্তার (২৪) নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতী ইউনিয়নের ফাদুলিয়া গ্রামের মো. মোজাম্মেলের মেয়ে।  

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের মার্চে মামলার বাদী পিংকি আসামিদ্বয়ের বাসায় কাদের এজেন্সি নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য চাকরি নেন।

একটি বাচ্চাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে এজেন্সি হতে বাদীকে আসামিদের বাসায় নিয়োগ দেওয়া হলেও তাকে দুটি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হতো।

এছাড়া বাদীকে দিনে ও রাতে উভয় সময় বাসার রান্নার কাজ করতে হতো। তবুও বাদীর চাকরি একান্ত আবশ্যক হওয়ায় তিনি মুখ বুঝে সহ্য করে আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।  

তবে চলতি বছরের ২ এপ্রিল দুপুর ১টায় আসামি পরীমণি তার মেকআপ রুম থেকে মাদক গ্রহণ করে বাচ্চার রুমে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।

বাদী গালিগালাজ কেন করছেন জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, ‘তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরি করছিস, এখন ওকে সলিড খাবার দিবি। ’ বাদী বলে, ‘বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুসারে এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি। ’

এ সময় পরীমনি ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর মাথায়, মুখে ও চোখে এলোপাথাড়িভাবে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী বাদী পিংকি পরীমণির মারধরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বাদী তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরীমণিকে অনুরোধ করলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

ঘটনাস্থলে অপর আসামি সৌরভ উপস্থিত ছিলেন। সৌরভ পিংকিকে নির্যাতন করার জন্য পরীমনিকে উৎসাহিত করতে থাকেন এবং বাদীকে বাসার বাইরে যাওয়া থেকে বিরত করেন।

পরে ভুক্তভোগী পিংকি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে যান এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল মারধরের অভিযোগে ভাটারা থানায় পরীমণির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন পিংকি আক্তার। এবার করলেন মামলা। তবে তদন্তে কোনো অগ্রগতি না দেখায় আদালতে মামলা করেন বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নিজ বাসা থেকে ভারতীয় অভিনেতা ললিতের মরদেহ উদ্ধার

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নিজ বাসা থেকে ভারতীয় অভিনেতা ললিতের মরদেহ উদ্ধার
ললিত মনচন্দা

‘তারাক মেহেতা কা উল্টা চশমা’খ্যাত অভিনেতা ললিত মনচন্দার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিনেতার নিজের বাসভবন থেকেই উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। প্রাথমিক ধারনা অনুযায়ী, অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সোমবার উত্তরপ্রদেশের মিরাটে নিজের বাসভবন থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেতার দেহ।

আরো পড়ুন
‘পাল্টা জবাব দিতেই হবে’, কাশ্মীর হামলায় বলিউড তারকাদের শোক

‘পাল্টা জবাব দিতেই হবে’, কাশ্মীর হামলায় বলিউড তারকাদের শোক

 

নিউজ ১৮- এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অভিনেতার মৃত্যুর কারণ যে আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে মৃতের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মিরাটে অভিনেতার বাসভবন থেকে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ।

এ ঘটনায় মৃত্যুর কারণ জানতে ৩৬ বছর বয়সী অভিনেতার পরিবারের সদস্য এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সাম্প্রতি জীবনে কোনো কিছু ঘটেছিল কিনা বা মানসিক অশান্তিতে ছিলেন কিনা, এসব তদন্ত করছে পুলিশ। তবে তার কাছের মানুষরা দাবি করেছেন, গত কয়েক মাস মানসিক চাপে ছিলেন অভিনেতা। ব্যক্তিজীবনেও কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

আরো পড়ুন
আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’ : রিমু

আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’ : রিমু

 

‘তারাক মেহেতা কা উল্টা চশমা’ ছাড়াও ক্রাইম পেট্রলের মতো একাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অভিনয় করেছেন ললিত। বড় পর্দায় বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করছিলেন ললিত মনচন্দা।

মন্তব্য

প্রাণনাশের হুমকি, হিরো আলমের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রাণনাশের হুমকি, হিরো আলমের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
হিরো আলম ও ম্যাক্স অভি রিয়াজ

স্ত্রী রিয়া মনির পর আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে জীবননাশের হুমকি সহ নানা ধরনের ক্ষতি করার অভিযোগ করেছেন আরেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স অভি রিয়াজ। এ ঘটনায় ম্যাক্স অভি রিয়াজ রবিবার রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন। ২২ এপ্রিল রাতে খিলক্ষেত থানায় করা ওই জিডির নং ১২৭৭।

আরো পড়ুন
‘পাল্টা জবাব দিতেই হবে’, কাশ্মীর হামলায় বলিউড তারকাদের শোক

‘পাল্টা জবাব দিতেই হবে’, কাশ্মীর হামলায় বলিউড তারকাদের শোক

 

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি এবং হিরো আলম দুজনেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক ও ড্যান্স ভিডিও করে থাকেন।

সেই সুবাদে দেড় মাস পূর্বে হিরো আলমের রামপুরাস্থ অফিসে এক বৈঠকে হিরো আলমের ইচ্ছানুযায়ী তার স্ত্রী মডেল রিয়ামনির সাথে তার কিছু মিউজিক ড্যান্স ভিডিও নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী অভি রিয়াজ রিয়া মনিকে নিয়ে গত ১০ এপ্রিল কিছু মিউজিক ভিডিও’র রিলস তৈরি করে।

জিডি অনুযায়ী, গত ১৫ এপ্রিল রিলসগুলো রিয়াজ তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করে। ওইদিন রাতেই হিরো আলমের বাবা মারা যান এবং এর পর থেকে হিরো আলম ও তার স্ত্রী রিয়া মনির মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়।

তাদের সেই বিবাদের সাথে হিরো আলম অভি রিয়াজকে জড়িয়ে গত ১৬ এপ্রিল রিয়াজকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল বিচ্ছিন্ন করা সহ তার পরিবারের লোকজনকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।

জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে খিলক্ষেত থানার এসআই মিঠুন চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং ফেসবুক আইডি সংক্রান্ত বিষয়টি ডিবির সাইবার ইউনিটে আজকেই পাঠানো হবে।’

আরো পড়ুন
মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অভিনেত্রীকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার হলেন সেই গোয়েন্দা

মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অভিনেত্রীকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার হলেন সেই গোয়েন্দা

 

গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিরো আলমের ৭৫ বছর বয়সী পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যান। পরদিন বুধবার বগুড়ার এরুলিয়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী রিয়া মনিকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঘোষণা দেন হিরো আলম। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। এর আগে হাসপাতালে অসুস্থ বাবার পাশে না থাকার অভিযোগে স্ত্রী রিয়াকে ‘বয়কটের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন হিরো আলম।

হিরো আলমের ওই মন্তব্যের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রিয়ামণি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন হিরো আলম মানসিকভাবে ঠিক নেই।

তিনি পরকিয়ায় আসক্ত। একই সাথে তিনি অভিযোগ করেন হিরো আলম তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, হিরো আলম ২০১৭ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। পরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই ২০২২ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহানকে ডিভোর্স দিয়ে হিরো আলম রিয়ামণিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম।

মন্তব্য

নৃশংস ‘বরবাদ’ কেন সববয়সীদের উপযোগী সার্টিফিকেট পেল?

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
নৃশংস ‘বরবাদ’ কেন সববয়সীদের উপযোগী সার্টিফিকেট পেল?
শাকিব খান

গত ঈদে দেশজুড়ে বরবাদ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে ইতোমধ্যে ব্যবসাসফল হয়েছে চলচ্চিত্রটি। দেশের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।সশাকিব খান অভিনীত যেমন একদিকে নানা প্রশংসা পাচ্ছে অন্যদিকে এর ভায়োলেন্স অর্থাৎ নৃশংসতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

যেহেতু এখন সেন্সর বোর্ড নেই, তাই দৃশ্য কর্তনের প্রশ্নও নেই, ভায়োলেন্স থাকতেই পারে।

কিন্তু সেটা কোন বয়সী দর্শকদের জন্য দেখার উপযোগী সেটা উল্লেখ করে দেওয়া প্রয়োজন- এই দায়িত্ব চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের। বরবাদের ক্ষেত্রে গ্রেড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা পরিচালক নিজেও বারবার একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটি একটি ভায়োলেন্স পরিপূর্ণ সিনেমা। তারপরেও কেন সব বয়সীদের উন্মুক্ত সার্টিফিকেট পেয়েছে বরবাদ, এমনই প্রশ্ন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড-এর ওয়েবসাইট অনুসারে,   ২০২৩ সালের ৫২ নং আইন Censorship of Films Act, 1963 রহিতক্রমে সময়োপযোগী করে পুনঃপ্রণয়ণকল্পে প্রণীত হয় যা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হয়।

এই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে চলচ্চিত্রগুলির সার্টিফিকেশনের পদ্ধতি, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অংশের জন্য বর্ণনা ও শ্রেণীবিন্যাস, যেমন উপস্থাপনার ধরন, ভাষা, হিংসাত্মকতা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এই আইনের আওতায় চলচ্চিত্র প্রকাশের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরিস্থিতি নির্ধারণ করা হয়েছে যা কিনা গ্রেডিং সিস্টেমের আকারে চলচ্চিত্রকে মুক্তি দেয়া যাবে।

এই আইন অনুযায়ী বরবাদ চলচ্চিত্রকে গ্রেডিং করা হয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।

বরবাদ U গ্রেড পায়। এতে অনেক চলচ্চিত্রকর্মীই বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের মতে এটি একটি অ্যাডাল্ট বা পূর্ণ বয়স্ক চলচ্চিত্র। এটাকে কোনো কর্তন ছাড়াই মুক্তি দেওয়া যেত কিন্তু U গ্রেডের পরিবর্তে A গ্রেড দেওয়া প্রয়োজন ছিল। এটি সম্পূর্ণ সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভুল সিদ্ধান্ত বলেও তারা উল্লেখ করছেন।
 

চলচ্চিত্র সমালোচক রাশেদুজ্জামান রাকিব এক ভিডিও বার্তায় বলছেন, 'বরবাদ চলচ্চিত্রটি একটি ভায়োলেন্সপূর্ণ চলচ্চিত্রটি। এটি সব বয়সের জন্য উন্মুক্ত করা ঠিক হয়নি। এতো নৃশংসতা সব বয়সের উপযোগী নয়। বরবাদ চলচ্চিত্রটি পূর্ণ বয়স্কদের উপযোগী চলচ্চিত্র। এটিকে A গ্রেড-এর সার্টিফিকেট দেওয়া প্রয়োজন ছিল।'

তবে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড বলছে সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করেই চলচ্চিত্রটিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড-এর সদস্য কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, 'আমরা সিনেমাটি দেখেছি, এরপর আমাদের সদস্যরা সকলেই মত দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ওপর ভিত্তি করেই বরবাদকে U সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।' 

ছবিটিকে কি U গ্রেড দেওয়া যথার্থ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী নওশাবা বলেন, 'এখানে আমার মন্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না। এ বিষয়ে আমি চুপ থাকতে চাই।'  

চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য ইকবাল কবির জুয়েল সংস্থাটির সদস্য হিসেবে মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'আমি চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আপনি যদি একজন চলচ্চিত্র কর্মী হিসেবে আমার অভিমত জানতে চান তাহলে আমি বলতে পারি।' 

ইকবাল কবির জুয়েল পেশাগতভাবে চলচ্চিত্র সম্পাদনা করেন। তার কাছে চলচ্চিত্র কর্মী হিসেবেই মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'দেখেন এ ধরনের চলচ্চিত্র বন্ধ হওয়া উচিত। এসব মস্তিষ্ক বিকৃতকারী চলচ্চিত্র। সবাইকে আহবান করবো এমন চলচ্চিত্র যেন না নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রে যা দেখানো হয়েছে তা অনেকাংশেই বাস্তবে ঘটে না, আমরা নারীর প্রতি সহিংস নই। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিপ্লবের পর আবার তাদের কাজ শুরু করেছে। ফলে দেখানো জিনিস অনেকাংশেই বেমানান।' 

ইকবাল কবির জুয়েল আরো বলেন, 'এই ছবি সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়ার পর কর্তন নিয়ে কথা উঠেছিল, তখন টিশার্ট পরে অনেকেই পথে নেমেছিল। তারা আনকাট দেখতে চান। এই ছবিতে আনকাট ধর্ষণ দৃশ্য রয়েছে, আমার প্রশ্ন হলো আপনারা কি আনকাট ধর্ষণ দেখতে চান? শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এমন ছবি নির্মাণ বন্ধ হওয়া উচিত। কেননা সমাজে এসব এসবের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।'

তবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছবিটিকে কর্তন ছাড়াই মুক্তি দেওয়া যেত। এ এক্ষেত্রে শুধু গ্রেডিং U এর স্থলে A করে দিতে হতো। এতে করে কর্তন ছাড়াই সিনেমাটি মুক্তি পেত ও কমবয়সীদের জন্য সিনেমাটি দেখা নিষেধ থাকতো। 

দর্শকদের জন্য উপযুক্ততার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রগুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। কারণ এতে যৌনতা, সহিংসতা, পদার্থের অপব্যবহার, অশ্লীলতার ব্যবহার, অথবা শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের জন্য সাধারণত অনুপযুক্ত বলে মনে করা হয় এমন অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। বেশিরভাগ দেশেই এমন কিছু রেটিং সিস্টেম রয়েছে যা সার্টিফিকেশন , শ্রেণীবিভাগ , সার্টিফিকেট বা রেটিং নামে পরিচিত বিভিন্ন ধরণের নির্ধারণ জারি করে। এটা সম্প্রতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে।  

‘বরবাদে’ শাকিব ফের জুটি বেঁধেছেন ইধিকা পালের সঙ্গে। এতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মামুনুর রশীদ, ইন্তেখাব দিনার, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর প্রমুখ। 


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ