সুবাতাস বইছে ঢাকার সিনেমার। এবারের ঈদে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ঈদে দর্শকদের কাঁপিয়ে দিয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’। গল্প, অভিনয় আর বিগ স্কেলের এই সিনেমা রীতিমতো তাণ্ডব দেখিয়েছে প্রেক্ষাগৃহে।
সুবাতাস বইছে ঢাকার সিনেমার। এবারের ঈদে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ঈদে দর্শকদের কাঁপিয়ে দিয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’। গল্প, অভিনয় আর বিগ স্কেলের এই সিনেমা রীতিমতো তাণ্ডব দেখিয়েছে প্রেক্ষাগৃহে।
বরবাদ পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেছেন, ‘খুব সুন্দর একটা সিনেমা দেখলাম। দেখতে দেখতে কখন যে ইমোশনাল হয়ে গেছি আসলে বলার মতো না। সবাই ভাল করেছে। বিশেষ করে সিয়াম ভাইকে একদম আলাদাভাবে দেখসি।
দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিওটি :
সম্পর্কিত খবর
আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু।
মায়ের বর্ননা নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের সিএমভি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
চিত্রনায়ক ওমর সানী চলচ্চিত্রে খুব একটা নিয়মিত না হলেও নানা রকম ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার নতুন আরেকটি পরিচয়ে হাজির হলেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি একটি রিয়েল এস্টেট কম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ওমর সানী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়েছি।
চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ইচ্ছা থেকেই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও জানান ওমর সানী।
ব্যক্তিজীবনে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজেও সম্পৃক্ত ওমর সানী। তার এই নতুন যাত্রা ভক্তদের মাঝে নতুন আগ্রহ ও কৌতূহল তৈরি করেছে।
১৯৯২ সালে ওমর সানী নূর হোসেন বলাই পরিচালিত ‘এই নিয়ে সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর ‘চাঁদের আলো’, ‘দোলা’, ‘আখেরি হামলা’, ‘মহৎ’সহ একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের প্রশংসা করায় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না ফাওয়াদ খানের বলিউড সিনেমা ‘আবির গুলাল’। এমন আবহে দিয়া মির্জার এক সাক্ষাৎকারে ফাওয়াদকে নিয়ে বলা একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী
ওই সাক্ষাৎকারে ‘আবির গুলাল'-এর হাত ধরে ফাওয়াদের বলিউডে ফেরা নিয়ে দিয়া বলেছিলেন, ‘শিল্পকে কখনো ঘৃণার সঙ্গে মেলানো উচিত নয়।
দিয়া মির্জার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি বেশ কিছুদিন আগের। ফাওয়াদ ও তার সিনেমা ঘিরে বিতর্কের জেরে তা এখন ভাইরাল।
এরপর দিয়া মির্জা তার ইনস্টা স্টোরিতে জবাবও দেন। লেখেন, 'ভুল তথ্য দেওয়া বন্ধ করুন। গত ১০ এপ্রিল আমি একটি সাক্ষাৎকারে কিছু কথা বলেছিলাম, ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার অনেক আগে।
২০১৬ সালে ‘অ্যায় দিল হে মুশকিল’ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ফাওয়াদ খানকে। এটিই ছিল বলিউডে তার শেষ কাজ। ‘আবির গুলাল'-এর হাত ধরে প্রায় ৯ বছর পর বলিউডে কামব্যাক হতো তার।
এপ্রিলের শুরুতে 'আবির গুলাল' সিনেমার টিজার সামনে আসতেই শুর হয় সমালোচনা। মূলত, একজন পাকিস্তানি অভিনেতাকে কাস্ট করার জন্য রোষের মুখে পড়তে হয় নির্মাতাদের। ৯ মে বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটির। এবার কাশ্মীর কাণ্ডের জেরেই ভারতে ‘আবির গুলাল’-এর মুক্তি বাতিল করা হয়।
এদেশের সফল একজন অভিনেত্রী শাবানা। এদেশের চলচ্চিত্রে কাজ করে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন আকাশসম। সফল ক্যারিয়ার শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এই অভিনেত্রী। স্থায়ীভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে থাকেন শাবানা।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন,‘সুভাষদত্ত আমাকে খুবই পছন্দ করতেন। বলতেন, তোমার মুখের আদলটা বেগম রোকেয়ার মতো।
‘বেগম রোকেয়া’ চলচ্চিত্রের মহরতও হয়েছিল।
শাবানা অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। অন্যদিকে সুভাষ দত্ত প্রয়াত হয়েছেন এক যুগ আগে। এদিকে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে শাবানার স্বামী ছবিটি আবার বানানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে শাবানার সেই ইচ্ছে পূর্ণ হচ্চ্যহে না। কারণ রোকেয়ার ছবি হলেও তাতে শাবানা থাকবেন না। গণমাধ্যমকে ওয়াহিদ সাদিক জানালেন, শাবানা এখন আর বেগম রোকেয়া চরিত্রে অভিনয়ের পর্যায়ে নেই। তা ছাড়া তিনি অভিনয়ে ফিরবেনও না।
শাবানার চলচ্চিত্রে আসা অনেকটাই ছিল নাটকীয়। কথা প্রসঙ্গে শাবানা শুরুর গল্প বলেছিলেন এভাবেই, “আমি তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আমার বাবার কাজিন ছিলেন এহতেশাম সাহেব। এক ঈদে বাসায় এসে বললেন, তোর মেয়েটাকে দে, আমার সিনেমায় অভিনয় করাব। বাবা বললেন, ও তো লাজুক, ও পারবে না। এহতেশাম সাহেব বললেন, পারবে, তুই দে। আমার রোলটা ছোট বোনের, একটাই দৃশ্য। দৌড়ে এসে বলতে হবে, ‘ভাইয়া ভাইয়া, আপুর বিয়ে।’ ভাইয়া বলবে, ‘তাই নাকি!’ শট দিলাম। এক টেকেই ওকে। এহতেশাম সাহেব বাবাকে বললেন, দেখলি আমি বললাম না, পারবে! এরপর তো বড় হয়ে ‘চকোরী’ করলাম, আমার প্রথম চলচ্চিত্র। সেই ছবিতে আমার পারিশ্রমিক ছিল পাঁচ হাজার টাকা। পরে তো কয়েক শ ছবি করলাম।”