নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৭৫৬ সালের ৯ এপ্রিল (আজকের দিনে) মুর্শিদাবাদে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
১৬৭১ সালের ১০ মে জন্মগ্রহণ করেন আলীবর্দী খাঁ। তাঁর আসল নাম মির্জা মুহাম্মদ আলী।
নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৭৫৬ সালের ৯ এপ্রিল (আজকের দিনে) মুর্শিদাবাদে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
১৬৭১ সালের ১০ মে জন্মগ্রহণ করেন আলীবর্দী খাঁ। তাঁর আসল নাম মির্জা মুহাম্মদ আলী।
তিনি মুঘল দরবার কর্তৃক খান উপাধি পেয়েছিলেন।
আজম শাহের মৃত্যুর (১৭০৭) পর তিনি বাংলায় চলে আসেন। সেখানে চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়ে উড়িশ্যা যান। সেখানে গিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নবাব সুজাউদ্দীন খাঁর অধীনে চাকরি পান।
১৭২৮ সালে নবাব সুজাউদ্দীন খাঁ তাকে গুরুত্বপূর্ণ আকবরনগর চাকলার (প্রশাসনিক বিভাগ) ফৌজদার নিয়োগ করেন এবং আলীবর্দী উপাধিতে ভূষিত করেন।
১৭৩২ সালে তিনি বিহারের শাসনভার পান। ওই সময় বাংলার নবাব ছিলেন সুজাউদ্দীন খাঁ। ১৭৪০ সালে নবাব সরফরাজকে পরাজিত করে বাংলার নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি।
তাঁর শাসনামলে মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়।
দীর্ঘদিন যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত থাকার কারণে আলীবর্দীর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল। ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল তিনি মুর্শিদাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের খোশবাগে তার সমাধি অবস্থিত।
সম্পর্কিত খবর
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বনির্ভর করে জীবনমানে পরিবর্তন আনতে জেসিআই ঢাকা ইমপ্যাক্ট পরিবার ২০২৪ সালে ‘প্রোজেক্ট স্বনির্ভরতার প্রত্যয়ে’ কার্যক্রম শুরু করে।
সম্প্রতি ঢাকার মিরপুর ও মালিবাগ এলাকা থেকে বাছাই করে ৪টি নিম্ন আয়ের পরিবারকে আয় বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে দুই চাকার ভ্যান, সাথে তীব্র রোদ ও বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে একটি বড় ছাতা, তালা, এবং ভ্যান হস্তান্তর করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পাশাপাশি, তারা যাতে ব্যবসা শুরু করতে পারে তার জন্য প্রারম্ভিক নগদ মূলধন তুলে দেয়া হয় জেসিআই ঢাকা ইমপ্যাক্টের পক্ষ থেকে। আগামী এক বছর প্রতি মাসে একবার করে এই পরিবারগুলোর ব্যবসা ও জীবনের উন্নয়নের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
লোকাল প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার ইমরান জানান, এবছরের ৪টি পরিবার সহ "প্রোজেক্ট স্বনির্ভরতার প্রত্যয়ে" এর মাধ্যমে সর্বমোট ৯টি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে জেসিআই ঢাকা ইমপ্যাক্ট পরিবার গর্বিত।
অনুষ্ঠানে জেসিআই বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন মাসরুর মাহমুদ শুভ এবং ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিয়া তাহসিনসহ ন্যাশনাল ও লোকাল অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা শ্বিবিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. জিয়াউদ্দিন আহমদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২২ এপ্রিল। তিনি ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ইন্তেকাল করেন। ড. জিয়াউদ্দিন ১৯৩৩ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগে অধ্যয়ন শেষে তিনি একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৬৯ সালে জাপানে পিএইচডি সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আবার একই বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ড. জিয়াউদ্দিন বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি, আবাসিক হল এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের প্রাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবের সভাপতি, বিএনসিসির (সাবেক ইউওটিসি) কমান্ডিং অফিসার, বাংলাদেশ-জাপান সোসাইটি এবং ঢাকা সমিতির (শিক্ষা) সহসভাপতি, একাধিক কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার আহমেদ (ডলি) ২০১৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে ইন্তেকাল করেন এবং বড় ছেলে ড. মুশতাক আহমেদ (ডালিম) ২০০১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে সবার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
আজ ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উৎযাপন করা হয়। ২০২৫ সালের ধরিত্রী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের শক্তি, আমাদের পৃথিবী’।
এটি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত একটি দিবস।
বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমে ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন।
১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টর একাদশ-রাষ্ট্র সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ফলপ্রসু কোনো আলোচনা হয় নি।
পরের বছর ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১ম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়েছে। তখন এর নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাৎসরিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহকে তা পালনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। এরপর দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ। প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার মাধ্যমে ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে এবং এ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়।
এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে — ‘আমাদের শক্তি, আমাদের পৃথিবী’। পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার অঙ্গীকারে বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে এ বিশেষ দিনটি।
বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়, বন উজাড়, প্লাস্টিক দূষণ ও অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্লাস্টিক দূষণে বছরে প্রায় ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে।
বড় প্লাস্টিক চোখে দেখা যায়। এ কারণে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত বিপদ কেমন হতে পারে– সে ধারণা কম-বেশি সবারই জানা।
বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার অতিরিক্ত বৃদ্ধি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপজ্জনক মাইক্রোপ্লাস্টিক ঠেকানোর উদ্যোগ হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছিল। উপকূলীয় অঞ্চলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকেও লাগাম টানা হয়েছে। পলিথিন আর প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। তবু থামছে না এর ব্যবহার। সরকার এ ব্যাপারে নানামুখী উদ্যোগ নিলেও মানুষকে এখনও সচেতন করা যায়নি।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের তথ্য অনুসারে, প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রতিবছর ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে। ২০৫০ সালে সাগরে যত মাছ থাকবে, তার চেয়ে বেশি থাকবে প্লাস্টিক। প্রতিদিন প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। পরিমাণের দিক থেকে এটি বিশ্বে পঞ্চম।
ময়মনসিংহের পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি, মাটি এবং মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছে আন্তঃরাষ্ট্রীয় এক গবেষক দল। গত ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নদের প্রতি বর্গকিলোমিটার পানিতে ২৫ লক্ষাধিক ভাসমান কণা এবং তলদেশে প্রতি কেজি মাটিতে সাড়ে ৪০০ কণা মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মিলেছে। মাছের পেটেও পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক।
গত ২৫ মার্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম পরিচালিত গবেষণায় সেখানকার সুতাং নদের পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এমনকি হাওরের ধানেও মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকার কথা বলছেন গবেষকরা।
গত বছরের এপ্রিলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভাগীয় শহরে প্রতি গ্রাম ধুলায় ৫২টি, ঢাকায় প্রতি গ্রাম ধুলায় ১০৬টি মাইক্রোপ্লাস্টিক উড়ছে।
গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, গঙ্গা নদী এবং এর উপনদীগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ কোটি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে রেয়ন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মাছে রয়েছে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা। বাজারে পাওয়া যায় এমন দেশি মাছের ওপর গবেষণা করে জানা যায়, ১৫ প্রজাতির মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে।
ঢাকার ১৩টি এলাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বাতাসে জরিপ করে অতি ক্ষুদ্র বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা পাওয়ার তথ্য উঠে আসে ২০২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় পশুর ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানি, মাটি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর হুমকির ইঙ্গিত দেয়। এ ছাড়া এ বছর গবেষকরা বাণিজ্যিক খাদ্য আটার মধ্যেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্বের প্রমাণ পান, যা মানুষের খাদ্যচক্রে এ ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশের একটি উদাহরণ।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার চেষ্টা করছে, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার থেকে মানুষকে সরিয়ে আনতে। পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত সুপারশপে সফল হলেও অন্য জায়গায় আরও কাজ করতে হবে। কারণ পলিথিনের নেতিবাচক দিকগুলো মানুষ জানে না। সেক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পলিথিন ব্যাগসহ একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করার চেষ্টা করব।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস প্রথম উদযাপিত হয় ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গে লর্ড নেলসন এই দিবসের প্রবর্তন করেন পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জনমত গঠনের লক্ষ্যে। সেই থেকে প্রতিবছর এ দিনটিকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। বর্তমানে ১৯৩টিরও বেশি দেশে পালিত হয় ধরিত্রী দিবস।