<p>প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পর্যটনের প্রসারে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক সংযোগের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ।’</p> <p>সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা বলেন।</p> <p>মন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে এটি হবে দেশের পঞ্চম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।’</p> <p>জানা গেছে, আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে কক্সবাজারের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সৈয়দপুর। দেশের সবচেয়ে উত্তরের এই বিমানবন্দরটি ১৩৬ দশমিক ৫৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। রাজধানী ঢাকা থেকে ২৬০ কিলোমিটার উড্ডয়ন দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে মাত্র ৪৮ মিনিট। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোর যাত্রী পরিবহন ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সখ্যাত সাত প্রদেশের ভ্রমণকারীদের অন্যতম পছন্দ বাংলাদেশি এ বিমানবন্দর।</p> <p>বাংলাদেশ তাঁর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ‘সেই লক্ষ্যকে মাথায় নিয়েই সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর এ অঞ্চলের যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’</p> <p>মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে পারে। পর্যটনের প্রসারে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল তা পূর্ণরূপে কার্যকর করা প্রয়োজন।’</p> <p>সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন শিল্প বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং জনগণের সাথে জনগণের বন্ধুত্ব শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রস্তুত হলে তা এই অঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে একটি সত্যিকারের গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।’</p> <p>রাস্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, ‘অতি সম্প্রতি নেপাল কাঠমান্ডুর বাইরেও পোখারা ও ভৈরবাতে দুটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছে। ঢাকা থেকে নেপালের নতুন এই দুটি বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হলে তা দুই দেশের পর্যটকদের যোগাযোগ সহজ করবে। পর্যটনের প্রসারের জন্য যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল তা কার্যকর করতে নেপাল কাজ করবে। দুই দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণেও নেপাল আগ্রহী।’</p>