<p>জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদের আগামী অধিবেশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>আজ রবিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। বৈঠকে কমিটি সদস্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও ফরিদা খানম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>কমিটি সূত্র জানায়, ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪’ গত ৫ মার্চ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই বিলে গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।</p> <p>বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। ৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।</p> <p>বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো, কোনো চুক্তি রশিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়, কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়, স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধার, কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়, গবাদি পশু অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণ, কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায় এবং স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।</p>