<p>দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়ন রূপরেখা দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠা ও বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুদের অধিকার ত্বরান্বিত করার জন্য ককাস গঠন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা ও বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত, মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত বৈষম্য বিরোধী আইন দ্রুত পাস এবং দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিদ্যমান নীতিমালা যথাযথ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে ‘দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়ন রূপরেখা সুপারিশমালা’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল আলোচনায় এই আহ্বান জানানো হয়। কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যানাল ও ইউএসএইড বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস কর্মসূচি আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান। কাউন্টারপার্ট ইনন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মহিবুর রহমান মানিক, ইউএসএইড’র মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, কাউন্টারপার্ট ইনন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট গোয়েন ডোলিন এ্যাপেল, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামিমা আক্তার খানম, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফাহানা, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ।</p> <p>আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘সুপারিশমালা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ জাতীয় সংসদে ও সংসদীয় কমিটির সভায় দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের সুপারিশগুলো উত্থাপন করবেন তিনি।</p> <p>রিড এশলিম্যান বলেন, ‘সকল মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। উন্নয়ন সংস্থা ও বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করতে পেরে আমরা খুবই খুশী। যারা মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে, তারে পাশে আছে ইউএসএইড। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। মৌলিক স্বাধীনতা, বহুমুখী সংলাপকে উৎসাহিত করা এবং মানুষের অধিকার রক্ষা বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’</p> <p>সমাপনী বক্তব্যে কেটি ক্রোক বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষ, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই সম্ভব প্রান্তিক মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখা সম্ভব।’ প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।</p>