<p>রাজধানীর রমনা থানার বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে সিআইডিতে তাকে হস্তান্তর করা হলে বেইলি রোডে দায়ের করা আগুনের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।</p> <p>আজ বুধবার (৮ মে) সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোহেল সিরাজকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।</p> <p>সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। <br />  <br /> সিআইডি সূত্র জানায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগার পর থেকেই কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল দেশ থেকে পালিয়ে যান। এ নিয়ে আগুনের মামলায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে ওই আটতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই। ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেকগুলো খাবারের দোকান। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন নারী এবং ৮ শিশু ছিল। তারা সবাই খাবার খেতে ভবনটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।</p>