<p>নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন সদ্য 'আয়নাঘর' থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ দাবি জানান। </p> <p>সাবেক এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, ‘আমাদের যে জাতীয় সংগীত আছে, তা আমাদের অস্তিত্বের পরিপন্থী। দুই বাংলা এক করার জন্য এই সংগীত রচনা করা হয়েছিল। এটা কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? ১৯৭১ সালে ভারত এটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। তখন আমাদের অস্থায়ী সরকার তা মেনে নিয়েছিল। আমাদের অনেক সুন্দর সুন্দর গান আছে। ধন-ধান্য পুষ্পে ভরা, খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি- আমার দেশের মাটি বা প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশসহ অনেক সুন্দর সুন্দর গান আছে। বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য নতুন করে জাতীয় সংগীত নির্ধারণ করা উচিত। নতুন জাতীয় সংগীত নির্বাচনে প্রয়োজনে সরকার নতুন কমিটি গঠন করুক।’</p> <p>সংবিধানে অনেক অসংগতি আছে উল্লেখ করে তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনীর শত শত মানুষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার নাই। যত ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন আছে, এগুলো বাতিল করে নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানে মানবাধিকার পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় সংসদে কোনো আইন যেন আল্লাহর বিধান পরিপন্থী না হয় সে আইন করতে হবে।এ জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা প্রয়োজন।</p> <p>গুম প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, আমার পৈতৃক পরিচয় এবং তাদের বড় ভয় ছিল, আমি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমি এখনো বলছি, আমরা সৎ প্রতিবেশী বন্ধু চাই। যে দেশ আমাদের ক্ষতি করে, সে বন্ধু হতে পারে না। ভারত যদি শত্রুর মতো আচরণ করে, তবে আমি তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হব। এসব ভয়ের কারণ থেকেই আমাকে গুম করা হয়েছিল। আমাকে ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করা হয়েছে।</p> <p>গুমের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এটা (গুম) করেনি। সরকারের কোনো একটা বাহিনী দিয়ে এটা (আয়নাঘর) করিয়েছে। কোন বাহিনী করেছে, এটা একটা প্রশ্ন। সেনাপ্রধান বলেছেন, ডিজিএফআই করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। </p> <p>তিনি বলেন, ডিজিএফআইয়ের ওপর সেনাবাহিনীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত ডিজিএফআইয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত। সেনাপ্রধান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা সুষ্ঠু তদন্ত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।</p>