জুলাই আন্দোলন

আহতদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ দল আসছে ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আহতদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ দল আসছে ঢাকায়
প্রতীকী ছবি

সিঙ্গাপুরের একটি বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক দল জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্তদের চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিতে আসছেন। আগামী শনিবার ও রবিবার ( ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট ধানমন্ডি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি অ্যান্ড হসপিটালে এ সেবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ আই হসপিটাল ধানমণ্ডি থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

 

বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক দলে রয়েছেন প্রফেসর ডা. ডোনাল্ড ট্যান টিয়াং হুই, সিনিয়র পার্টনার আই অ্যান্ড রেটিনা সার্জনস (ই আর এস) সিঙ্গাপুর, ডা. নিকোল তান ওয়ান হুই, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ক্যাটারাস্ট এবং রেটিনা বিশেষজ্ঞ, এশিয়া আই সেন্টার, ডা. রোনাল্ড ইয়োহ ল্যাম সুন, রেটিনা বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক, ডিউক এনইউএস গ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টার (সিএনইসি), ডা. লিম জিয়াও হং ব্রাঞ্চ, কনসালটেন্ট, অকুলোপ্লাস্টি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল।

বিশেষজ্ঞ টিমকে নেতৃত্ব দেবেন-ডা. ইশতিয়াক আনোয়ার, কনসালটেন্ট ( বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট লিমিটেড সাত মসজিদ রোড ধানমন্ডি) এবং ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি এন্ড হসপিটাল, শের ই বাংলা নগর)৷  চিকিৎসা বোর্ডের ডাক্তারগণ চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চোখ পরীক্ষা করবেন এবং যদি চিকিৎসকদের টিম সুপারিশ করেন প্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।

আরো পড়ুন

ভারতে পার্লামেন্টে হাসিনার পাসপোর্ট ইস্যুতে মোদিকে প্রশ্নের দাবিটি মিথ্যা

ভারতে পার্লামেন্টে হাসিনার পাসপোর্ট ইস্যুতে মোদিকে প্রশ্নের দাবিটি মিথ্যা

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট ধানমন্ডি অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য হটলাইন নম্বর ১০৬২০ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
সংগৃহীত ছবি

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।

কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। শাশুড়ির সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে খালেদা জিয়া আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান।

এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

আন্তঃধর্ম সংলাপবিষয়ক বিভাগের (ডিকাস্টেরি) কার্ডিনাল প্রিফেক্ট জর্জ জ্যাকব কুভাকাড ইতালির রাজধানী রোমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন। এ ছাড়া এদিন রোমে উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিও লুবেটকিনও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মন্টেনেগ্রো, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী,আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাজা ও রানি, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় অ্যালবার্ট, নরওয়ের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লিচেনস্টাইনের প্রিন্স ও প্রিন্সেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিয়ন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

মন্তব্য

নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ গেল ২৩ লাখ মৃত ভোটার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ গেল ২৩ লাখ মৃত ভোটার
সংগৃহীত ছবি

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২৩ লাখ মৃত ভোটারের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। আর তালিকায় নতুন ভোটার যোগ হয়েছে ৬৩ লাখ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল মমিন সরকার স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ জন, নারী ভোটার ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৯৪ জন। এঁদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এসব ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ চার হাজার ৭২ জন, নারী ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৩২৬ জন।

 

মন্তব্য

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে পুলিশের জন্য নতুন নির্দেশিকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে পুলিশের জন্য নতুন নির্দেশিকা
প্রতীকী ছবি

‘পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২২’ এর সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও সময়োপযোগী করে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা- ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। 

জানা যায়, পুলিশ সদস্যদের অবাধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া, স্পর্শকাতর ও গোপনীয় তথ্য প্রচার ও পাচার এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারের লাগাম টানতে সম্প্রতি এ নির্দেশিকা জারি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। 

ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করা এবং ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।

আরো পড়ুন
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা

 

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ব্যক্তি, বাহিনী বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট গোপনীয় তথ্য ও দলিল, অস্ত্র-গোলাবারুদ, স্পর্শকাতর স্থাপনার ছবি/ভিডিও বিনা অনুমতি এবং বিনা প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অযাচিত, দৃষ্টিকটু ও আপত্তিকর পোস্ট, কনটেন্ট, ছবি-ভিডিও আপলোড, শেয়ার, লাইক ইত্যাদি পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তির পাশাপাশি বাহিনীর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য/ছবি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং নিরাপত্তা সেটিংসগুলো ঠিক মতো জানা না থাকলে অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্নিত (কম্প্রোমাইজড) হতে পারে।

ডিউটি/কর্তব্যরত অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকা কর্তব্যে অবহেলার শামিল, যা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিটগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম মানতে হবে। ইউনিটের অ্যাকাউন্ট বা পেজের নাম ব্যক্তি বা পদবির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নামে হবে। ইউনিটের অ্যাকাউন্ট বা পেইজের কাভার ফটো হিসেবে ইউনিটকে সুস্পষ্টভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এ ধরনের ছবি ব্যবহার করতে হবে।

ইউনিটের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩/৫ সদস্যের একটি টিম ইউজার অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন বা মডারেটর বা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এক্ষেত্রে ইউনিট প্রধান/মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। দাপ্তরিক পেজের ব্যানার বা প্রোফাইল পিকচারে কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ছবি ব্যবহার করা যাবে না। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যাডমিন/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুদিন পরপর তা পরিবর্তন করবেন।

সদর দপ্তর আরো জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিবেচনায় এবং ইউনিটের সিদ্ধান্তের আলোকে এর কনটেন্ট প্রদর্শন, মন্তব্য/মতামত, সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, প্রবেশাধিকার, প্রাইভেসি ইত্যাদি বিষয়ের সেটিংস সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিন/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচন করা হবে।

পুলিশ সদস্যরা যেভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবেন : নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল নাগরিকসুলভ আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কনটেন্ট ও ফ্রেন্ড সিলেকশনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ারিং পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। সেজন্য প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তা নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে।

নিজের নামে সিম না হলে ব্যবহার করা যাবে না : পুলিশ সদস্যরা নিজ নামে রেজিস্ট্রি করা সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রচলিত আইন মেনে পুলিশ সদস্যদের সিম কিনতে হবে। হারানো বা সিম চূড়ান্তভাবে অচল ও অকার্যকর করে একই নম্বরের বা ভিন্ন নম্বরের নতুন সিম কেনা যাবে। বাহিনীর জন্য বরাদ্দ করা নম্বরের সিম কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে অবশ্যই একই নম্বরের নতুন সিম তুলতে হবে।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও, ছবি, অডিও এবং অন্যান্য তথ্যাদি সহজেই আদান-প্রদান করা যায় বিধায় এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত গুরুত্বপূর্ণ পেশাগত তথ্যাদি অননুমোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর না হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষণস্থলে কোনো প্রশিক্ষণার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। সরকারি মোবাইল ফোন থেকে দাপ্তরিক যোগাযোগ ছাড়া ব্যক্তিগত কল করা যাবে না। দায়িত্বরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হলো।

কনটেন্ট শেয়ার ও কমেন্ট নিয়ে যে নির্দেশনা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি অ্যাকাউন্টে প্রদত্ত কনটেন্ট কিংবা কমেন্ট অবশ্যই বাহিনী অথবা বাহিনী সংশ্লিষ্ট ইউনিটের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। নিজস্ব পোস্টে কনটেন্ট ও কমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে তা যথার্থ ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। এ প্রসঙ্গে স্পর্শকাতর কনটেন্ট ও কমেন্ট সচেতনভাবে পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্ট ও কমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠানের গাইডলাইন, আইনগত বাধ্যবাধকতা, গোপনীয়তা প্রভৃতি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট কোনো কনটেন্ট দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টে/চ্যানেলে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দাপ্তরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট আর্কাইভিং, পুনঃপ্রদর্শন ও শেয়ারিং উৎসাহিত করতে হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর আরো জানায়, রাষ্ট্র, সরকার বা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, ট্যাগিং, রেফারেন্সিং বা শেয়ার করা যাবে না।  জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো রকম কমেন্ট করা কিংবা কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না।

এ ছাড়া নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড করতে পারবে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ, জঙ্গি কর্মকাণ্ড অথবা ধর্মীয় উগ্রবাদ সংশ্লিষ্ট কোনো কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে পারবেন না পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক, বিদ্বেষমূলক বা হেয় প্রতিপন্নকারক কমেন্ট বা কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না।

নির্দেশিকায় বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণামূলক কমেন্ট বা কনটেন্ট প্রদান করা যাবে না।  জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো লেখা, অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না।

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, চিহ্নিত অপরাধী বা বিতর্কিত কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে পারবে না পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা ইউনিট প্রধানের অনুমতি ছাড়া তদন্তাধীন ও বিচারাধীন বিষয়ে কোনো ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন না। ভিকটিমের প্রাইভেসি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।  সর্বোপরি ভিকটিমের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরায় যথেচ্ছভাবে অপারেশনাল কার্যক্রমের ভিডিও, স্থিরচিত্র বা অডিও ধারণ করতে পারবে না। তবে অবৈধ মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি উদ্ধার এবং ক্রাইমসিনের ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ করা যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া এ সকল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা পোস্ট করা যাবে না। গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ বা কর্মকৌশলের সঙ্গে সম্পর্কিত স্পর্শকাতর স্থাপনা ও সরঞ্জামাদি সংক্রান্ত (যেমন- অস্ত্রাগার ও অস্ত্রশস্ত্র) ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। 

আরো বলা হয়েছে, অননুমোদিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এ ধরনের কৌশলগত কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে না। কারণ, অসাধু ব্যক্তি কর্তৃক এ সকল স্পর্শকাতর ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও বা তথ্যাদি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ইউনিফর্ম পরিহিত কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় অথবা সাদা পোশাক পরিধান করে টিকটক বা লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নাচ, গান, অভিনয় ইত্যাদি উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশ সদস্যদের।

অন্যদিকে, ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করার সময় অপ্রীতিকর কোনো কিছু সার্চ করা বা নিষিদ্ধ কোনো সাইটে প্রবেশ  করা (বিশেষ করে অফিশিয়াল ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে), ডার্ক ওয়েভ ব্যবহার করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে বলে নতুন নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে।

নির্দেশিকা পালন হচ্ছে কি না মনিটরিং করা হবে : পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিট প্রধানরা অথবা তার মনোনীত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ নিজ ইউনিটে কর্মরত সকল পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্য এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা সদস্য কর্তৃক ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২৫’ যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কি না তা নিয়মিতভাবে মনিটর করবেন। কোনো সদস্য এ নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণপূর্বক তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নির্দেশিকা-২০২২’ এর সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও সময়োপযোগী করে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা- ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তাই পুলিশ সদস্যরা যাতে ঝুঁকিতে না পড়েন তাই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব পুলিশ সদস্যকে নির্দেশিকা প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ