আদালতের নিষ্পত্তি করা বিষয় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদালতের নিষ্পত্তি করা বিষয় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ

উপসচিব পদোন্নতি নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উচ্চ আদালতের নিষ্পত্তি করা বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে শাসনব্যবস্থার ভারসাম্য বিপর্যস্ত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের প্রতি তা বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানানো হয়। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবিৃতিতে জানিয়েছে, কমিশনের দাখিল করা সুপারিশের মধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব রয়েছে।

তবে কিছু প্রস্তাবের বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা নিয়ে আরো পর্যালোচনা করা উচিত। প্রশাসন ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডের পদ উপসচিবসহ তদূর্ধ্ব যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’-এ অন্তর্ভুক্ত করে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস থেকে ৫০% এবং অন্যান্য সার্ভিস থেকে ৫০% কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়াকে বেশি যৌক্তিক বলে কমিশন মন্তব্য করেছে। এ বিষয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ১০ বছর চলার পর আপিল বিভাগের রায় ও রিভিউ শেষে ২০১৬ সালে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয় এবং উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫% কে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ প্রশাসন ক্যাডারের প্রাসঙ্গিক কর্ম অভিজ্ঞতা ও ঐতিহাসিকভাবেই প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে উপসচিব পদটির সম্পর্ক বিবেচনায় উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে প্রশাসন ক্যাডারের সহজাত অধিকার আছে এবং অন্য ক্যাডারের সহজাত অধিকার নেই বলে ঘোষণা করে।

সুতরাং কমিশনের এই মতামত উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫% কোটা হ্রাস করে ৫০% করা অধিকতর যৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কোটা নেই। বরং অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্যই ১৯৮৯ সালে কোটার প্রচলন করা হয়েছিল।

মামলার পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন ক্যাডার চয়েস দেওয়াদের মধ্যে যেসব প্রার্থী মেধা তালিকায় ওপরের দিকে স্থান অধিকার করিয়াছেন এবং প্রশাসন ক্যাডার যদি পছন্দ জ্ঞাপন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার শূন্য পদ সমূহে তাহাদিগকে নিয়োগ প্রদানের জন্য পিএসসিকে সুপারিশ করিবে।’ 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ৭৫% এর বদলে ৫০% করা হলে বরং বিসিএস পরীক্ষায় মেধায় পিছিয়ে পড়াদের সঙ্গে এগিয়ে থাকাদের সমানভাবে বিবেচনা করা হবে যা মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নির্মাণকে ব্যাহত করবে। এতে করে শাসন ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের ভারসাম্য বিপর্যস্ত হতে পারে। এছাড়া এটি বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক সিভিল সার্ভিসের অভিজ্ঞতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।

১৯৯২ সনে বিসিএস (সচিবালয়) এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একীভূত হওয়ার পর সচিবালয় সার্ভিসের সব পদ তথা সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব ইত্যাদি প্রশাসন সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হয়।

পদসোপান অনুযায়ী উপসচিব পদের ফিডার পদ হচ্ছে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিবের ফিডার পদ সহকারী সচিব। যেহেতু উপসচিব প্রশাসন ক্যাডারের সহজাত পদ, সেহেতু পদসোপান অনুযায়ী উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারকে শতভাগ পদোন্নতি না দিয়ে তার পরিবর্তে পার্শ্ব-নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, যা যৌক্তিক নয়।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পর্যালোচনা বাস্তবায়ন না করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, জনকল্যাণমুখী শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সংস্কার কর্মসূচিসহ সব কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্য বদ্ধপরিকর।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিন দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তিন দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সংগৃহীত ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন। বেতনকাঠামো, পদোন্নতির জটিলতা এবং পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অসন্তোষ এবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে রূপ নিতে যাচ্ছে। 

প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা বলছেন, একাধিকবার সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের এই পথ বেছে নিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
পাসপোর্ট ইস্যুতে বড় সুখবর

পাসপোর্ট ইস্যুতে বড় সুখবর

 

‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনের এ ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে তারা আগামী ৫ মে থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। আগামী ৪ মের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তবে ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ১৬ থেকে ২০ মে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। চূড়ান্তভাবে, ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।

আরো পড়ুন
দুই ধাপে টানা ৬ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

দুই ধাপে টানা ৬ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

 

সংগঠনটির দাবি, প্রথমত তারা কনসালটেশন কমিটির প্রস্তাবিত ১২তম গ্রেড সংস্কার করে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন, যেখানে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি’ পদ হিসেবে বিবেচনার দাবি তোলা হয়েছে। 

দ্বিতীয়ত, ১০ বছর এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে।
 

মন্তব্য

দেশে দ্বিতীয় কার্গো বিমানবন্দর চালু হচ্ছে কাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে দ্বিতীয় কার্গো বিমানবন্দর চালু হচ্ছে কাল

ভারত বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত করে দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো আগামীকাল রবিবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বাসসকে এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, সিলেট থেকে প্রথম মালবাহী বিমান চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, যা ঢাকার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় কার্গো পরিচালনাকারী বিমানবন্দর হবে।

গ্যালিস্টেয়ার এভিয়েশনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি চার্টার্ড এয়ারবাস এ-৩৩০-৩০০ মালবাহী বিমানের রবিবার সন্ধ্যায় স্পেনের উদ্দেশে ৬০ টন তৈরি পোশাক পণ্য নিয়ে রওনা দেবে।

ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

ভূঁইয়া জানান, প্রথম ফ্লাইটের জন্য কার্গো চেক-ইন এবং নিরাপত্তা মোতায়েনসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. মুশফিকুল ফজল আনসারী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান।

ফ্লাইটের নির্ধারিত ছাড়ার আগে বিকাল ৭টা ১০ মিনিটে বেবিচক চেয়ারম্যান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এবং মালবাহী বিমানের সম্মানে জল কামান স্যালুট প্রদান করা হবে।

ভূঁইয়া আরো জানান, সিলেটের ব্যবসায়ী সমাজকে নিজস্ব পণ্য রপ্তানির জন্য উৎসাহিত করতে তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও শিগগিরই কার্গো ফ্লাইট চালু হবে, যা তৃতীয় কার্গো সুবিধাপ্রাপ্ত বিমানবন্দর হবে।

বিমান বাংলাদেশের কার্গো পরিচালক শাকিল মিরাজ নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটের জন্য আমরা ঢাকা থেকে গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছি এবং ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেসামরিক বিমান চলাচল ও গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং চার্জ হ্রাস করে কার্গো সেবা আরও সাশ্রয়ী করতে কাজ করছে।

ভূঁইয়া বলেন, ‌‌‘কার্গো সংক্রান্ত চার্জ সহজীকরণ এবং কমানোর জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা শিগগিরই কম টারিফ ঘোষণা করব।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো টার্মিনালে অতিরিক্ত জনবলও মোতায়েন করা হয়েছে, কারণ তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।

ভূঁইয়া বলেন, ‘বিদ্যমান অবকাঠামো শিগগিরই দুই থেকে তিনগুণ বেশি কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা অর্জন করবে।

অন্যদিকে, সিলেটের আধুনিকায়নকৃত কার্গো টার্মিনাল ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্গো পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

এইচএসআইএ'র বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। এটি চালু হলে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক ট্রানজিট হাবে নির্ভরতা কমবে বলে কর্মকর্তারা আশাবাদী।

তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্গো সক্ষমতা বছরে ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত হবে, যেখানে ৩৬,০০০ বর্গমিটার জায়গার একটি বিশেষ কার্গো জোন থাকবে।

ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন টার্মিনালে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ও বিস্তৃত সংরক্ষণ সুবিধা স্বাধীন এবং দক্ষ কার্গো পরিচালনা নিশ্চিত করবে, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’

এ মাসের শুরুতে ভারত বাংলাদেশি পণ্যের, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের, তাদের বিমানবন্দর হয়ে ট্রানজিটের চার বছরের চুক্তি বাতিল করে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের উপর ব্যাপক চাপ পড়ে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় শুরু হওয়া এই চুক্তির মাধ্যমে, কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করে দ্রুত এবং তুলনামূলক কম খরচে রপ্তানি সম্ভব হতো।

বাংলাদেশ ফ্রেট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সাপ্তাহিক প্রায় ৬শ’ টন বা ১৮ শতাংশ তৈরি পোশাকের রপ্তানি ভারতীয় রুটে পরিচালিত হতো।

বর্তমানে বাংলাদেশ সাপ্তাহিক প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টন পোশাক বিমানযোগে রপ্তানি করে, যেখানে এইচএসআইএ'র কার্গো ভিলেজ দৈনিক ৩০০ টন ধারণক্ষমতার হলেও পিক সিজনে ১২শ টন পর্যন্ত পরিচালনা করে।

বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট বর্তমানে এইচএসআইএ’র মোট কার্গো ভলিউমের প্রায় ১৬-১৭ শতাংশ পরিচালনা করে এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেশ কয়েকটি প্রধান বিদেশি ক্যারিয়ারের জন্য গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং সেবাও প্রদান করে।

বর্তমানে এমিরেটস, ক্যাথে প্যাসিফিক, কাতার এয়ারওয়েজ, তুর্কিশ এয়ারলাইন্স এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের মতো বড় এয়ারলাইনগুলো কেবলমাত্র এইচএসআইএ থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

মন্তব্য

৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি
সংগৃহীত ছবি

বিসিএস ৩৮তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে ফারহান লাবীব (জিসান) ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিলয় রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৫-এর লক্ষ্যে ৩৮তম ব্যাচের সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ইয়াসিন সাদেককে প্রধান এবং শাহেদ আরমান ও জান্নাতুল মাওয়ার সমন্বয়ে এ কমিশন গঠন হয়।

এই কমিশনের ২২ এপ্রিল ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল মোতাবেক প্যানেল দাখিলের সর্বশেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর কোনো প্যানেল দাখিল না করায় জিসান-নিলয় প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন
দেশে তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারায়

দেশে তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারায়

 

এই প্যানেল থেকে ৩৮তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি পদে এ কে এম হাসানুর রহমান, সহসভাপতি পদে মো. এহসানুল হক শিপন ও মো. সানাউল মোর্শেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

আর সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. তারিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. মঈন খান এলিস, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আজহারুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাহবুবুল ইসলাম, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক পদে লাবনী আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মাসুম বিল্লাহ, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে সায়েদা খানম, আন্তঃক্যাডার সম্প্রীতিবিষয়ক সম্পাদক পদে কাজী মো. মেশকাতুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে পলাশ চন্দ্র সরকার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. শরিফুল হক, তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ, উন্নয়ন ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে আফতাব আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাদিয়া আকতার, সহদপ্তর সম্পাদক পদে নাসরিন, বিভাগীয় সম্পাদক (ঢাকা) পদে শাহাদাত হোসেন খান, (চট্টগ্রাম) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন, (রাজশাহী) শামস্ সাদাত মাহমুদ উল্লাহ, (খুলনা) এ এস এম শাহেনওয়াজ মেহদী, (বরিশাল) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ, (সিলেট) সুশান্ত সিংহ, (রংপুর) মো. বোরহান উদ্দিন ও (ময়মনসিংহ) শেখ তাকী তাজওয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতিশ্রুত সময়ে নির্বাচন না হলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে : মোস্তাফিজুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিশ্রুত সময়ে নির্বাচন না হলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে : মোস্তাফিজুর রহমান
সংগৃহীত ছবি

প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর এফডিসিতে ‘বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে’ আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন প্রতিশ্রুত সময়সীমার মধ্যে না হলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

‘টেকসই বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হলেও সেই অনুসারে প্রাপ্ত প্রতিশ্রুতি খুব বেশি নয়,’ বলেন এই গবেষক

বিগত সরকারের আমলে বিনিয়োগ পরিসংখ্যানে অনেক অবাস্তব চিত্র দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ্য করে সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ৩৩ বিলিয়ন ডলার আসার কথা উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলার।’

তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামের বর্তমান এফডিআই স্থিতি ৩৬০ বিলিয়ন ডলার হলেও বাংলাদেশে মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলার। ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগে জন্য উদ্বেগজনক।

যুদ্ধাবস্থায় চলে গেলে ভারতের সামরিক ব্যয় বেড়ে যাবে, ফলে ভারতের সঙ্গে আমাদের শুল্ক সুবিধা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ