কর্মবিরতিতেও চলছে মেট্রো রেল, টিকিট ছাড়াই করা যাচ্ছে ভ্রমণ!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কর্মবিরতিতেও চলছে মেট্রো রেল, টিকিট ছাড়াই করা যাচ্ছে ভ্রমণ!

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে লাঞ্ছিতের ঘটনায় আজ সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। এতে টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে মেট্রো রেল চলাচল। টিকিট ছাড়াই যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারছেন যাত্রীরা।

মেট্রোরেলের কর্মীরা বলছেন, মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ স্বরূপ তারা আজ কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছেন না।

টিকিট ছাড়াই যাত্রীরা মেট্রো রেলে গন্তব্যে যেতে পারছেন। সারা দিন এভাবেই তারা কার্যক্রম চলিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার

ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার

 

এর আগে গতকাল রবিবার মধ্যরাতে ‘ঢাকা ম্যাচ ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দে’র ব্যানারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ছয়টি দাবির কথা তুলে ধরেন তারা।

 

দাবিগুলো হচ্ছে— আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ওই পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতি কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন
ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার

ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবো এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন মহিলা কোনো প্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান।

যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে, সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।
পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন
লিগ কাপ জিতে ৭০ বছরের অপেক্ষা ঘুচাল নিউক্যাসল

লিগ কাপ জিতে ৭০ বছরের অপেক্ষা ঘুচাল নিউক্যাসল

 

কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরো কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীগণ বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে।

উক্ত পরিস্থিতি মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) উক্ত ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সংবাদ প্রকাশের জেরে ইউজিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সংবাদ প্রকাশের জেরে ইউজিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা
অভিযুক্ত দুই কর্মচারী। সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্যতার অতিরিক্ত অর্থ ঋণ দেওয়ার সংবাদ প্রকাশের জেরে মব সৃষ্টি করে এক সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। 

আজ বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কমিশনের ৫ম তলায় লিফটের সামনে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ঘটনা ঘটান। পরে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ওই সাংবাদিক হামলা থেকে রক্ষা পান।  

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মো. শিহাব উদ্দিন।

তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। 

আরো পড়ুন
এনসিপির ‘সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি’ গঠন

এনসিপির ‘সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি’ গঠন

 

অভিযুক্তরা হলেন- সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক খোকন খান। এছাড়াও ঘটনার সময় ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সঙ্গে ছিলেন বলেন জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শিহাব জানান, ইউজিসি সচিব ড. ফখরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের রুমে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে বুধবার দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে যান তিনি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান তাকে জেরা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মব সৃষ্টি করে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় কর্মকর্তা মামুনসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে কমিশনে গিয়েছিলাম।

এ সময় আমার করা আগের একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান, ইউজিসি চেয়ারম্যানের রুমে দায়িত্ব পালন করা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান আমাকে জেরা শুরু করেন। আমি কেন প্রতিবেদন করেছি সে বিষয়ে জানতে চান।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, আমার করা প্রতিবেদনে ভুল থাকলে আপনারা মামলা করুন। মামলার কথা শুনে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় আমাকে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

পরে তারা আমাকে কমিশনের চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে ইউজিসি সচিব ফখরুল এবং জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামসুল আরেফিনের সহযোগিতায় আমাকে ইউজিসির গাড়িতে আগারগাঁওয়ের মেট্রো স্টেশনের নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান দপ্তরে কর্মরত আছি। এজন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমি হামলাচেষ্টায় জড়িত ছিলাম না।’

এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ইউজিসিতে সাংবাদিককে হেনস্থার যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অপ্রত্যাশিত। আমরা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা পরিচালনা আরো কার্যকর করতে আইনি কাঠামো ও অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে অপরাধীরা দায়মুক্তি না পায় এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলাসংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, বায়ু, পানি ও শিল্পদূষণের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেসি কার্যক্রম শক্তিশালী করা হবে এবং মামলা পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আদালতে শক্তিশালী উপস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। দূষণবিরোধী অভিযান আরো কার্যকর করতে এনফোর্সমেন্ট ম্যানুয়াল প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন তিনি।

আরো পড়ুন
স্বামী সঙ্গে মনোমালিন্য, বনিবনার কথা বলে কৌশলে নানা করলেন ধর্ষণ

স্বামী সঙ্গে মনোমালিন্য, মীমাংসার কথা বলে কৌশলে নানা করলেন ধর্ষণ

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, সলিসিটর উইং, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তারা মামলা পরিচালনার চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলার উপায় নিয়ে মতামত দেন।

পরে উপদেষ্টা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি যথাসময়ে ও যথাযথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।

মন্তব্য

প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহর মৃত্যুতে ইউজিসির শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহর মৃত্যুতে ইউজিসির শোক
প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর মৃত্যুতে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজসহ সব কর্মকর্তা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় তার মেয়ের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এক শোকবার্তায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ একজন প্রথিতযশা ইতিহাসবিদ, দক্ষ প্রশাসক ও সংগঠক ছিলেন। ক্লিন ইমেজের কারণে দল-মত-নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনসহ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।

তার মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবক হারাল। এ গবেষকের মৃত্যুতে দেশ, জাতি, শিক্ষা পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

আরো পড়ুন
ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

 

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ প্রথম মেয়াদে ইউজিসির ১৩তম চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১৯ সালের ২৬ মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের মে মাসে ইউজিসি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ইতিহাস বিভাগের প্রধান, কলা অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ ইউজিসি চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৫ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার চলমান উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং এবং উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় প্রকল্প হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) বাস্তবায়নসহ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেন।

মন্তব্য

হাসিনা পালানোর পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে : শেখ বশিরউদ্দীন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাসিনা পালানোর পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে : শেখ বশিরউদ্দীন
সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপার সাপটিও চলে গেছে।’

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ : এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে একটা জিনিস বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছে। তা হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দুর্নীতি।

আমি যখন এ কথাগুলো শুনি, তখন আমার রাসেলস ভাইপার সাপের কথা মনে হয়। শেখ হাসিনা যাওয়ার পর এই সাপটাও চলে গেছে। আমি জানি না বিষয়টা এমন কেন।’

আরো পড়ুন
ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

 

তিনি আরো বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ তো পয়সা-টয়সা নেয় না।

প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে যত উপদেষ্টা রয়েছেন, তারা কেউই টাকার দিকে তাকিয়ে নেই। এই মানুষগুলো এখানে টাকার জন্য আসেননি। আমাদের কাজের সম্পর্ক বেশ স্বচ্ছ। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখি।
আমরা একসঙ্গে কাজ করছি, এটাও দুর্নীতি কমার একটি লক্ষণ।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা চুরি হয়ে চলে গেছে। এখন তো দেশ থেকে এই পরিমাণ টাকা চুরি হচ্ছে না। তবে দুর্নীতি শেষ হয়ে যায়নি। শেষ হওয়া বেশ কঠিন।

এসব সমস্যা সমাধানে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই উদ্যোগগুলো চালুর কারণে দুর্নীতি কমেছে। সামনে আরো কমবে।’

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো দেশ আমাদের বন্ধু নয়, সবাই প্রতিযোগী। এটা মেনে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চ্যালেঞ্জের তুলনায় সামনে সুযোগ অনেক বড়। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ