বদলে গেল নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বদলে গেল নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম
ছবি : কালের কণ্ঠ

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে যে নববর্ষের শোভাযাত্রা বের হয় তার নাম আর মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকছে না। আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। শোভাযাত্রার নাম হচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। 

এবার নববর্ষের শোভাযাত্রার প্রস্তুতির শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নাম পরিবর্তনে জোর দিয়ে আসছিলেন।

সাংবাদিকরা সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেছেন। নাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেবে বলে জানিয়ে আসছিলেন উপদেষ্টা। অবশেষে আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাম নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিসমূহের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ থাকবে।

গত শতকের আশির দশকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। শোভাযাত্রায় প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ বিভিন্ন রঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নানা পেশার মানুষ এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

এবার ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা। 

আরো পড়ুন
ওবামার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে যা জানালেন মিশেল ওবামা

ওবামার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে যা জানালেন মিশেল ওবামা

 

অন্যদিকে রবিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চারুকলার বকুলতলায় থাকবে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
সংগৃহীত ছবি

ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর। দেশটির সরকার প্রবাসীদের বৈধকরণের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেন— যেসব প্রবাসী এখনও বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করেননি, তারা এই সময়ের মধ্যে নিজ উদ্যোগে বৈধতার জন্য আবেদন করলে জরিমানা ছাড়াই বৈধতা লাভের সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, ‘যারা এখনো বৈধ নন, তাদের প্রতি অনুরোধ—এই সুযোগ কাজে লাগান। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

ওমানে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে জেল-জরিমানার মুখে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বৈধকরণের সুযোগ নিতে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দূতাবাস ও অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
সংগৃহীত ছবি

দেশের সাত জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালের মধ্যে এসব জেলায় ঝড় বয়ে যেতে পারে। 

বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

৩ বিভাগে অতিবৃষ্টির শঙ্কা

আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। 

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
 
একইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভোক্তা স্বার্থে ওষুধ কমিটি থেকে ব্যবসায়ীদের ছাঁটাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোক্তা স্বার্থে ওষুধ কমিটি থেকে ব্যবসায়ীদের ছাঁটাই
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ শিল্পে প্রভাব বিস্তার করে আসা কম্পানি প্রতিনিধিদের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে ওষুধসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটি নতুনভাবে গঠন করেছে সরকার। এই প্রথমবারের মতো ওষুধের দাম নির্ধারণ, নতুন ওষুধের নিবন্ধন, কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা মূল্যায়ন এবং নিবন্ধন বাতিলের মতো স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তে আর থাকছে না কোনো কম্পানির প্রতিনিধি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পরিবর্তনের মাধ্যমে জনস্বার্থে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি সরকার এক পরিপত্র জারি করে বেশ কিছু নতুন কমিটি গঠন করেছে।

এর মধ্যে অন্যতম হলো—‘অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রণয়ন ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রদানে টাস্কফোর্স’, ‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি’ এবং ‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির টেকনিকেল সাব-কমিটি’। 

প্রতিটি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে স্বার্থের সংঘাত না ঘটে। এজন্য নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাকে লিখিতভাবে ঘোষণা দিতে হবে যে, সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার আর্থিক বা অন্য কোনো স্বার্থের সম্পর্ক নেই।

আরো পড়ুন
দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান : সারজিস

দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান : সারজিস

 

এই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এতদিন আমরা দেখে এসেছি, ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিরা কমিটিতে থেকে তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন।

সাধারণ জনগণের স্বার্থ সেখানে প্রায়ই উপেক্ষিত হতো। সরকার যদি এখন সত্যিকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কম্পানির প্রভাবমুক্ত কমিটি গঠন করে থাকে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে অবশ্যই এই কমিটিগুলোতে যথাযথ অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন সদস্য নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে শুধু নামমাত্র পরিবর্তনে কোনো লাভ হবে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, অতীতে ওষুধ কমিটিগুলোর মধ্যে স্বজনপ্রীতি ও গোষ্ঠীগত প্রভাব ছিল ভয়াবহ মাত্রায়। ২০০২ সালের পর থেকে ওষুধ কম্পানির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে একে কমিটিতে প্রবেশ করতে থাকে। ২০০৯ সালের পর সেই প্রভাব চরমে পৌঁছে। তখন থেকে ওষুধের দাম নির্ধারণ থেকে শুরু করে কোন কম্পানি কতটি ওষুধের নিবন্ধন পাবে—সেসব সিদ্ধান্ত নিতেন কম্পানির প্রতিনিধিরাই। শুরুতে তারা প্রতিনিধি হিসেবে থাকলেও, পরে সমালোচনার মুখে তারা নাম পাল্টে ‘পর্যবেক্ষক’ পরিচয়ে কমিটিতে থাকতেন।

অথচ কার্যত তারাই নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো প্রক্রিয়া।

এ অবস্থার পরিবর্তন আনতেই সরকার এবার পুরো কাঠামো নতুনভাবে সাজিয়েছে। ‘অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ তালিকা টাস্কফোর্স’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এই কমিটিতে রয়েছেন দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসক, অধ্যাপক ও ফার্মাকোলজিস্টরা। সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মোজাম্মেল হোসেন খানকে। এই ১৬ সদস্যের দলে কোনো ব্যবসায়ী বা শিল্প মালিক নেই।

আরো পড়ুন
গাজায় পানি সংকট নিরসনে পাইপলাইন স্থাপন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত

গাজায় পানি সংকট নিরসনে পাইপলাইন স্থাপন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত

 

ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এবং সদস্য সচিব হবেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এই ১৩ সদস্যের কমিটিতেও নেই কোনো কম্পানি প্রতিনিধি। এখানে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি, ফার্মেসি কাউন্সিল, বিএমডিসি, বিএমএ ও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

তৃতীয় কমিটি ‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির টেকনিকেল সাব-কমিটি’র সভাপতি করা হয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। ২২ সদস্যের এই কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিএমইউ, ঢাবি, বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এখানেও বাদ রাখা হয়েছে ব্যবসায়ী বা কম্পানির কোনো প্রতিনিধি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উদ্যোগ ওষুধ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনস্বার্থ রক্ষায় নতুন দিগন্ত খুলবে। এতে কম্পানির পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নয়, বরং জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা, গুণমান ও ন্যায্য দামের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগকে টিকিয়ে রাখতে হলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, যোগ্য ও নিরপেক্ষ কমিটি অব্যাহত রাখা জরুরি। নয়তো সব অর্জন আবারও পুরনো ছকে ফিরবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পুলিশ সদস্যদের ঝুঁকিভাতা বাড়াচ্ছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুলিশ সদস্যদের ঝুঁকিভাতা বাড়াচ্ছে সরকার

 

পুলিশ সদস্যদের ঝুঁকিভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) এবং এসআই, সার্জেন্ট ও টিএসআইয়ের পদ ও চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হচ্ছে।

গত সোমবার (২৮ জুলাই) যুগ্ম সচিব ড. মো. ফেরদৌস আলম স্বাক্ষরিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত পুলিশ বিভাগের এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ও তদনিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের নিম্নোক্তভাবে মাসিক ঝুঁকি ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।

 

প্রজ্ঞাপনে শর্তাবলী উল্লেখ করে বলা হয়েছে, (ক) এই আদেশ বাস্তবায়ন অনুবিভাগ, অর্থ বিভাগ হতে চাকরি (বাংলাদেশ পুলিশ) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ-২৬ সংশোধন সংক্রান্ত এস.আর.ও জারির তারিখ হইতে কার্যকর হইবে। (খ) ১৮/১০/২০১৫ তারিখে জারিকৃত ৮০নং প্রজ্ঞাপনের (২) নং শর্তানুযায়ী ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে কোনো কর্মচারী উল্লিখিত পরিমাণ ঝুঁকি ভাতার চাইতে বেশি পরিমাণ ঝুঁকি ভাতা ইতোমধ্যে আহরণ করিলে তিনি সেই পরিমাণ ভাতাই পাইতে থাকিবেন। (গ) পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল (নবম বেতন স্কেল)-এ ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকিবে।

জানা যায়, অর্থ বিভাগের প্রবিধি শাখা থেকে পুলিশের নতুন ঝুঁকিভাতার হার চূড়ান্ত করা হলেও তা এখনো কার্যকর করা হয়নি।

শিগগির অর্থ বিভাগ থেকে এসআরও জারি করে নতুন ঝুঁকিভাতা কর্যকর করা হবে। বর্তমানে পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই এবং এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআই ২০১৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঝুঁকিভাতা পাচ্ছেন। সে হিসাবে ১০ বছর পর বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের ঝুঁকিভাতা।

কনস্টেবল পদে চাকরির বয়স ৫ বছর হলে মাসিক ঝুঁকিভাতা বেড়ে হবে এক হাজার ৮০০ টাকা হবে।

এছাড়া চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ১৬০ টাকা, চাকরির বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা, চাকরির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা এবং চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি যাদের তাদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মাসিক ঝুঁকিভাতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ